ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

যুদ্ধাপরাধী বিচার ॥ ৫ রাজাকারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পটুয়াখালীর পাঁচ ‘রাজাকারের’ বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার এ অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আগামী ৯ জানুয়ারি তারিখ ধার্য করেন। এ সময় প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম ও রেজিয়া সুলতানা চমন। এর আগে গত অক্টোবরে এই পাঁচজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর পটুয়াখালী সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা হলেন- ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের গিলাবুনিয়া গ্রামের এছহাক শিকদার, বল্লভপুর গ্রামের সোলায়মান মৃধা, গলাচিপা গ্রামের আবদুস সাত্তার পেদা, আবদুল গনি হাওলাদার ও মোঃ আউয়াল ওরফে মৌলভী আবদুল আউয়াল। তাদের বিরুদ্ধে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাটসহ একাধিক মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ট্রাইব্যুনাল এই ৫ রাজাকারের বিরুদ্দে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। গ্রেফতারকৃত রাজাকাররা হলো পটুয়াখালী সদর থানার ইসাহাক শিকদার, আব্দুল গনি হাওলাদার, আব্দুল আওয়াল ওরফে মৌলভী আওয়াল, আব্দুস সাত্তার পেদা ও সুলাইমান মৃধা। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সত্যরঞ্জন রায় বলেন, তাদের সকলের বয়স ষাটোর্র্ধ। আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে সংঘটিত হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগসহ ৬ ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে। মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) প্রাথমিক তদন্তে এ সব অভিযোগ পেয়েছেন। উল্লেখ্য , আসামিদের বিরুদ্ধে একাত্তরে হত্যা ও ১৭ জনকে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে এখনও ৮ বীরঙ্গনা জীবিত আছেন। ট্রাইব্যুনালে তাদের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানান প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। শুনানিতে তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালীতে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার তদন্তে ইতোমধ্যেই হত্যা ও ধর্ষণে জড়িত থাকার তথ্যপ্রমাণ মিলেছে।
×