ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

অংশ নিচ্ছেন ৪০ হাজার চবিয়ান

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

অংশ নিচ্ছেন ৪০ হাজার চবিয়ান

চবি সংবাদদাতা ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে আজ শুক্রবার। আর এ সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজন করা হয়েছে দু’দিনব্যাপী বর্ণাঢ্য আয়োজন। ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠানের সার্বিক প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয়দিন কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে মূল অনুষ্ঠান। এতে অংশ নিচ্ছেন প্রায় ৪০ হাজার নবীন প্রবীণ। সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বুধবার বেলা সাড়ে তিনটায় চবি প্রক্টর অফিসে আয়োজন করা হয় এক সংবাদ সম্মেলনের। সেখানে চবি প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী অনুষ্ঠানের বিস্তারিত তুলে ধরেন। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি বিস্তারিত তুলে ধরেন সাংবাদিকদের কাছে। প্রক্টর জানান, সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নেয়া হয়েছে সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। এদিন ক্যাম্পাসে ৫ শতাধিক পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি র‌্যাব, গোয়েন্দা সদস্যরাও মোতায়েন থাকবে ক্যাম্পাসে। অনুষ্ঠানস্থল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে নির্মাণ করা হয়েছে ওয়াচ টাওয়ার। এখান থেকে পুরো অনুষ্ঠানস্থল নজরদারির মধ্যে রাখা হবে। এছাড়া পুরো অনুষ্ঠানস্থল ঘিরে রাখবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। অনুষ্ঠানের প্রথমদিন আজ চট্টগ্রাম নগরীতে অবস্থিত চবি চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে বেলা ৩টায় সুবর্ণজয়ন্তী শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে। শোভাযাত্রাটি নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সিআরবি শিরীষ তলায় গিয়ে শেষ হবে। পরে সন্ধ্যায় নগরীর জিইসি মোড়ে জিইসি কনভেনশন সেন্টারে সাবেক শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের জন্য আয়োজন করা হবে অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের। থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। পরদিন ১৯ নবেম্বর চবি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত হবে মূল অনুষ্ঠান। এদিন অনুষ্ঠানটি টেলিকনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিন। এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বানান হয়েছে মঞ্চ। মঞ্চের পেছনেই সাবেক শিক্ষার্থীদের জন্য খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া মাঠের চারপাশে বসানো হয়েছে বিভাগসমূহের বুথ। সাবেক শিক্ষার্থীরা এই সকল বুথ থেকেই টোকেন সংগ্রহ করে খাবার ও সুবর্ণজয়ন্তী ব্যাগ, সুভ্যেনির সংগ্রহ করবেন। এছাড়া বর্তমান শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ হল থেকে টোকেন সংগ্রহ করে খাবার সংগ্রহ করবেন। তবে যারা রেজিস্ট্রেশন করেননি তারা এই সুবিধা পাবেন না। সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাসহ চবির ১৬ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা প্রদান করা হবে। প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এ সম্মাননা প্রদান করা হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। এছাড়া সুবর্ণজয়ন্তী বক্তব্য প্রদান করবেন প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান। এদিকে চবি সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ক্যাম্পাসকে সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। কাল কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে বসবে মূল অনুষ্ঠান। সেখানে নির্মাণ করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। এতে পারফর্ম করবেন দেশের তিনটি বিখ্যাত ব্যান্ড লালন, আর্টসেল, ওয়ারফেজ। এছাড়াও থাকছে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক আয়োজন।
×