ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চবির সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের শুরু আজ

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

বর্ণাঢ্য আয়োজনে চবির সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের শুরু আজ

রহমান শোয়েব, চবি ॥ বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও নানান অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার থেকে শুরু হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব। যাত্রার পর অর্ধশত বছর পূর্ণ হয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের। দীর্ঘ সময়ের এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাফল্যের সঙ্গে শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করে ব্যক্তিগত ও সমাজজীবনে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন অনেকে। বাংলাদেশের জন্য এ পর্যন্ত যে একটিমাত্র বিশ্বসেরা সম্মানের পুরস্কার অর্থাৎ নোবেল পুরস্কার এসেছে তার প্রাপ্তিও এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক শিক্ষকের। যিনি এ বিশ্ববিদ্যালয়েরই ছাত্র ছিলেন; যার নাম বর্তমান সময়ে বিশ্বব্যাপী পরিচিত। তিনি হলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়াও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খ্যাতিমান বরেণ্য বহু ব্যক্তি জন্ম দিয়েছে এ বিশ্ববিদ্যালয়। সবুজে ঘেরা পাহাড়ের কোল ঘেঁষে প্রতিষ্ঠিত এ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম। মাত্র ৮ শিক্ষক ও ২০২ শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করে এ বিশ্ববিদ্যালয় আজ ১৮ নবেম্বর ৫০ বছর পূর্ণ করতে যাচ্ছে। কাল একান্ন বছরে পদার্পণ করবে। এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আয়োজন করেছে দুই দিনব্যাপী সুবর্ণজয়ন্তীর নানান অনুষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এখন উৎসবমুখর। কাল পরিণত হবে পুরনো ও নতুন শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মিলনমেলায়। প্রধান অতিথি হিসেবে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের উদ্বোধন করবেন জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। ১৯৬৬ সালের ১৮ নবেম্বর। চারটি বিভাগ। ২০২ জন শিক্ষার্থী। ৮ জন শিক্ষক। এই নিয়ে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। হাঁটি হাঁটি পা পা করে বিশ্ববিদ্যালয়টি পার করতে যাচ্ছে ঐতিহ্যের ৫০ বছর। বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালায় ১৮ ও ১৯ নবেম্বর দুই দিনব্যাপী উদযাপন করা হবে চবির সুবর্ণজয়ন্তী। রচিত হবে সাবেক ও বর্তমানদের মহামিলনের নতুন ইতিহাস। মাত্র চারটি বিভাগ, ২০২ জন শিক্ষার্থী ও ৮ জন শিক্ষক নিয়ে শুরু হওয়া বিশ্ববিদ্যালয়টি গত ৫০ বছরে কলেবরে বেড়েছে অনেকটাই। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পর এসে চবিতে বর্তমানে ৮টি অনুষদ, ৪৩টি বিভাগ, ৭টি ইনস্টিটিউট, ৫টি গবেষণাকেন্দ্র, প্রায় ২৪ হাজার শিক্ষার্থী, ৮৯৯ জন শিক্ষক ও প্রায় ২ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ২৭ হাজার সদস্যের বর্তমান চবি। পরিবারের সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে এগিয়ে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। সবুজে মোড়ানো পাহাড়ের কোল ঘেঁষে গড়ে ওঠা এ বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম। গত ৫০ বছর ধরে নতুন জ্ঞান সৃষ্টি ও বিতরণে রেখে চলেছে অনন্য অবদান। বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা এখন দেশ বিদেশে স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত। নিজেদের মেধা ও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কাজে লাগিয়ে প্রতিনিয়ত দেশ ও জাতির অগ্রগতিতে অবদান রেখে যাচ্ছেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী কেউ কেউ এখন এই বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষক। কেউ আবার হয়েছেন মন্ত্রী, মেয়র, রাষ্ট্রদূত ও সচিব বা উপসচিব। আবার কেউ হয়েছেন বিচারপতি, সাংবাদিক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ। প্রত্যেকেই নিজ নিজ ক্ষেত্রে রেখে চলেছেন মেধার যোগ্য প্রমাণ। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে গৌরবময় এ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্বমহিমায় প্রতিষ্ঠিত। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রমতে, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ১১ জন শিক্ষার্থী বর্তমানে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দেশের প্রখ্যাত শিক্ষক, বিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ, সাহিত্যিক সমৃদ্ধ করেছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়কে। বিশ্বজুড়ে এক নামে পরিচিত নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসও ছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। জামাল নজরুল ইসলামের মতো বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। নিজ আলোয় আলোকিত করেছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়কে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান ছিলেন চবি উপাচার্য। চবি ও দেশকে দিয়েছেন দু’হাত ভরে। প্রফেসর ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান এখানকারই সাবেক শিক্ষক। প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা এ শিক্ষাঙ্গনের ছাত্র। এছাড়াও ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বর্তমান মেয়র আনিসুল হক ছিলেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। একুশে পদকপ্রাপ্ত সমাজবিজ্ঞানী ড. অনুপম সেন, ইতিহাসবিদ ড. আব্দুল করিম, একুশে পদকপ্রাপ্ত সাহিত্যিক হুমায়ুন আজাদ, জাতীয় অধ্যাপক সৈয়দ আলী আহসানের মতো বরেণ্য ব্যক্তিত্ব এ বিশ্ববিদ্যালয়কে করেছে সমৃদ্ধ। বর্তমান ভিসি ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী ও বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির প্রাক্তন সভাপতি ড. মঈনুল ইসলাম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। চবির বেশ কয়েকজন শিক্ষকের লেখা বই পাঠ্য হয়েছে বিদেশের নামীদামী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, যা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম বিশ্ব দরবারে করেছে উজ্জ্বল। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের এসব উপাদান আমাদের তৃপ্তি দেয়। অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়ায় আগামীর পথচলায়। আলো দেখায় নতুন পথের সন্ধানে। কিন্তু এতসব অর্জনের মাঝে রয়েছে কিছুটা না পাওয়ার বেদনা। ৫০ বছরে চবির যেখানে পৌঁছানোর দরকার ছিল সেখানে পৌঁছতে পেরেছে কি-না, তা নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের সুযোগ-সুবিধার ক্ষেত্রে এখনও অনেক পিছিয়ে চবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জন যেমন রয়েছে ঠিক তেমনিভাবে না পাওয়ার তালিকাও দীর্ঘ। টিএসসি ॥ প্রতিষ্ঠার পর নানান প্রাপ্তি যেমন চবিকে সমৃদ্ধ করেছে, তেমনি কিছু অপ্রাপ্তিও করেছে হতাশ। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপনের সময়ও চবি শিক্ষার্থীরা বলতে পারে না আমাদের টিএসসি আছে, যা সত্যিই একটি দুঃখজনক বিষয়। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, শিক্ষক-ছাত্র সম্পর্ক গভীর হয় টিএসসির মাধ্যমে। এখানে শিক্ষক ও ছাত্ররা মিলিত হয়। শ্রেণীকক্ষের ভাবগাম্ভীর্যতা ভুলে গিয়ে সম্পর্ক চলে যায় বন্ধুত্বের পর্যায়ে। পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকা-ের বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এই টিএসসি। এ বিষয়ে চবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল জানান, ‘টিএসসি না থাকায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক ততটা মধুর নয়। এখানে ছাত্ররা একদিকে থাকলে শিক্ষকরা থাকেন অন্যদিকে। তাছাড়া টিএসসি থাকলে সেখানে বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের অফিস থাকতে পারত। আমরা সাংস্কৃতিক দিক থেকে আরও এগিয়ে যেতে পারতাম। কিন্তু এখন আমাদের সে সুযোগ সীমিত।’ আবাসন সঙ্কট ॥ প্রতিষ্ঠার সময় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে পূর্ণ আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলার কথা ছিল। কিন্তু প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর পরেও এ বিশ্ববিদ্যালয় নিজেকে সম্পূর্ণ আবাসিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারেনি। শুধু তাই নয়, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সমস্যা এতটাই প্রকট যে, এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সুবিধার বাইরে। ২৪ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে প্রায় ১৮ হাজার শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক সুবিধার বাইরে রয়েছে। আর এ আবাসিক সঙ্কটকে পুঁজি করে ছাত্রসংঠনগুলো মেতে ওঠে হল দখলের খেলায়। এতে বিভিন্ন সময় পঙ্গুত্ববরণের পাশাপাশি প্রাণ হারিয়েছেন অনেক শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে চবি ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মেহেদী হাসান নোবেল বলেন, ‘আবাসন সঙ্কটের কারণেই চবির বেশির ভাগ সঙ্কট। যেমন পরিবহন সঙ্কট। আর এ কারণেই চবিতে চলে আসছে দখলদারিত্বের রাজনীতি। হল দখল, শাটলে বগি দখলের মতো বিষয়গুলোর পেছনে মূলত কাজ করছে এ আবাসিক সঙ্কট। প্রতিটি শিক্ষার্থীর হলে নিজস্ব আসন থাকলে এসব সমস্যা থাকত না। শিক্ষার্থীরা সুষ্ঠু পরিবেশে পড়াশোনায় মনোযোগ দিতে পারত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আরও বেশি শিক্ষা ও গবেষণায় অবদান রাখতে পারত।’ পরিবহন ॥ চবির আরেক ভোগান্তির নাম পরিবহন ব্যবস্থা। প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে চবিতে ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকা- হয়েছে। কিন্তু পরিবহন খাত ছিল বরাবরই অবহেলিত। দিনকে দিন পরিবহন ব্যবস্থার কেবল অবনতিই হয়েছে। প্রতিবছর শিক্ষার্থী বাড়লেও পরিবহন সুবিধা বাড়েনি এতটুকু। ৫-৭ বগির শাটল ট্রেন ৪০০ থেকে ৫০০ শিক্ষার্থী ধারণে সক্ষম। কিন্তু এ শাটলের ওপর নির্ভর করতে হয় প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শীতে গাদাগাদি করে বসে, দাঁড়িয়ে এমনকি ইঞ্জিন ও ছাদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এ কারণে বিভিন্ন সময় ঘটেছে নানান দুর্ঘটনা। কিন্তু এসবও পারেনি কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে। অবহেলিত থেকেছে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের এ মাধ্যমটি। অন্যদিকে বেসরকারীভাবে পরিচালিত মিনিবাস সার্ভিসের অবস্থাও করুণ। মালিক-চালকদের স্বেচ্ছাচারিতায় অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, ইচ্ছামতো রুট পরিবর্তনের কারণে ভোগান্তি গিয়ে ঠেকেছে সীমাহীন পর্যায়ে। আর এসব কারণে প্রায়ই শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাধে ঝগড়া এমনকি মারপিট। রাজনৈতিক অস্থিরতা ॥ চবির আরেকটি বড় সঙ্কট এখানকার রাজনৈতিক অস্থিরতা। চবির ছাত্র রাজনীতি এতটাই সহিংস যে, গত ২০ বছরে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯ শিক্ষার্থীর প্রাণ ঝরেছে অকালে শুধু রাজনৈতিক বিরোধিতার জেরে। চবিতে সহিংস রাজনীতির শুরু মৌলবাদী প্রতিক্রীয়াশীল শিবিরের হাত ধরে। পরবর্তীতে তাদের দেখানো পথে চলেছে ছাত্রলীগ, ছাত্রদলের মতো প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোও। আর সেই রাজনৈতিক অস্থিরতাকে আরও ত্বরান্বিত করেছে ছাত্রলীগের বিভিন্ন উপগ্রুপ। দীর্ঘদিন যাবত চবিতে ছাত্রলীগ ছিল বিভিন্ন উপগ্রুপে বিভক্ত। আর এর ফায়দা নিয়েছে শিবির। তবে বর্তমানে ছাত্রলীগের উপগ্রুপগুলোকে নিষিদ্ধ করেছে চবি ছাত্রলীগ। সেশনজট ॥ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে রয়েছে ভয়াবহ সেশনজট। শুনতে অবাক লাগলেও সত্য যে, চবি কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষে রয়েছে ৪ ব্যাচ। শুধু এই বিভাগেই নয়, চবির আরও অনেক বিভাগেই সেশনজট রয়েছে ২ মাস থেকে দেড় বছর পর্যন্ত। চবির ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের প্রায় প্রতিটি বিভাগেই রয়েছে সেশনজট। এছাড়া বিজ্ঞান অনুষদ, কলা অনুষদের ইংরেজী, বাংলা বিভাগ, সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অর্থনীতিসহ কয়েকটি বিভাগে রয়েছে সেশনজট। ফলে শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্যবান সময়গুলো গ্রাস করে নিচ্ছে সেশনজট। এ বিষয়ে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুকান্ত ভট্টাচার্য বলেন, ‘ছাত্র সংগঠনগুলোর বিভিন্ন সময়ে কোন্দলে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যায়। আর এসব কারণসহ নানাবিধ কারণে সেশনজটগুলো হয়েছে। তবে আশা করছি আগামী এক বছরের মধ্যে সেশনজটের সমস্যা থাকবে না। এক্ষেত্রে শুধু শিক্ষার্থী নয়, শিক্ষকদের মধ্যেও যদি কোন কোন্দল থেকে থাকে তা নিরসন করা দরকার এবং এগুলো কমে এসেছে অনেকাংশে।’ এদিকে আজকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুবর্ণজয়ন্তী বক্তা হিসেবে থাকবেন প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান। বিশেষ অতিথি থাকবেনÑ গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পানিসম্পদমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ভূমি প্রতিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও চবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আবদুল মান্নান এবং চট্টগ্রামের বরেণ্য রাজনীতিবিদ ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগণ। সুবর্ণজয়ন্তী উৎসবের প্রাক্কালে গত মঙ্গলবার চিটাগাং ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব উদযাপন পরিষদ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে চবি ভিসি ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানমালার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।
×