ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঝলক ॥ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে ছড়া

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ১৮ নভেম্বর ২০১৬

ঝলক ॥ শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে ছড়া

বাবা-মা গল্প ও ছড়া শোনালে তা শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশে সহায়ক হয়। সম্প্রতি ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় এই তথ্য উঠে এসেছে। শিশুর নিরাপদে ও পিতামাতার ভালবাসার সঙ্গে বেড়ে ওঠাও মস্তিষ্ক বিকাশের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডক্টর ভিক্টোরিয়া লেয়ংয়ের তত্ত্বাবধানে গবেষণাটি পরিচালিত হয়। গবেষণার অংশ হিসেবে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে কিছু শিশু ও মায়ের ওপর গবেষণা করেন তারা। এতে দেখা যায়, মায়েরা শিশুকে গানের সুরে আদর করলে ও ছড়া শোনালে ওই শিশু তা ভালমতো বুঝতে পারে। গবেষকরা শিশুকে গানের সুরে আদর করার এই ভাষার নাম দিয়েছেন ‘মাদারইজি’। গবেষণায় স্পষ্টভাবে উঠে এসেছে যে, মায়েদের বেলায় শিশুদের শেখানোর একটি সহজ পদ্ধতি হলো ছড়া। শিশুর সামনে ছড়া বললে শিশু অত্যন্ত সহজে তা আয়ত্ত করতে পারে। এ বিষয়ে ভিক্টোরিয়া লেয়ংয়ের যুক্তি হচ্ছে, মায়েরা শিশুকে গানের সুরে আদর করলে তা বড়দের কাছে বিরক্তির কারণ হতে পারে। কিন্তু শিশু ভরাট কণ্ঠের তুলনায় মায়েদের এই ধরনের ভাষা শুনতে বেশি পছন্দ করে। মায়েদের গানের সুরে আদর করার সময় উচ্চারিত শব্দগুলো শিশু মনোযোগ দিয়ে শোনে। এই ধরনের শব্দ শিশুর কানে স্পষ্ট শোনায়। এজন্য যেসব শিশুর সামনে বেশি বেশি ‘মাদারইজি’ উচ্চারিত হবে সেসব শিশুর ভাষাগত দক্ষতা ততটা বাড়বে। কিন্তু একই শিশুর বাবা, দাদা, চাচা ও মামাসহ অন্য কেউ সুরেলাকণ্ঠে কথা বললেও শিশু তা সহজে বুঝতে পারে না। গবেষণায় বলা হয়েছে, শিশুরা একজন নারী কণ্ঠের কথা যতটা বুঝতে পারে তার তুলনায় পুরুষ কণ্ঠের কথা কম বুঝতে পারে। আরও মজার তথ্য হলো একজন মা যদি শিশুর চোখে চোখ রেখে ছড়া বলে তাহলে শিশুটি এই ছড়া শোনার দিকে বেশি মনোযোগী হয়। এ সময় শিশুর চোখ ও মায়ের চোখের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ ঘটে। কিন্তু শিশুকে রেখে সামান্য দূরে দাঁড়িয়ে অথবা বসে ছড়া বললে শিশুরা এই ছড়া শোনার প্রতি মনোযোগী হয় না। এসব বিবেচনা করে গবেষকরা শিশুর প্রতি বাবা-মায়ের বেশি মনোযোগী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তারা বলেছেন, শিশুর প্রতি বাবা-মায়ের অবহেলা ও অমনোযোগ অনেক সময় শিশুর ভবিষ্যত নষ্ট করে ফেলতে পারে।-বিবিসি অবলম্বনে। পতাকার রঙে মাছ একটি মাছের দাম আর কত হতে পারে? কয়েক টাকা বা কয়েক শ’; তাই না? কিন্তু থাইল্যান্ডে বৃহস্পতিবার একটি মাছ বিক্রি হয়েছে পাক্কা ১ লাখ ২০ হাজার টাকায়। মাছটির বিশেষত্ব হচ্ছে, এটির রং থাই পতাকার মতো। স্থানীয় ভাষায় মাছটির নাম বেটা ফিশ। বিশেষ করে একুরিয়ামে এই ধরনের মাছ পালন করা হয়। খবরে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডে একটি মাত্র মাছ এত দামে বিক্রির খবর আগে শোনা যায়নি। এই মাছের খবর ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই এটি কেনার আগ্রহ দেখায়। পরে তোলা হয় নিলামে। একজন ক্রেতা স্থানীয় মুদ্রায় ৫৩ হাজার ৫শ’ বাথ দিয়ে মাছটি কিনে নেন। মাছটির মালিক কাচেন ওরাচি বলেন, আমার বিশ্বাস হয়নি মাছটি এত দামে বিক্রি হবে। আমি অনেক মাছ পালন করেছি; তবে এই ধরনের মাছ এই প্রথম। আমার মনে হয় আমি একজন ভাগ্যবান। -সিয়াটল টাইমস অবলম্বনে
×