ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মার্শের পদত্যাগ, অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে ঝড়

প্রকাশিত: ০৬:৩৫, ১৭ নভেম্বর ২০১৬

মার্শের পদত্যাগ, অস্ট্রেলিয়া  ক্রিকেটে  ঝড়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে সিরিজ হারে কেঁপে উঠেছে গোটা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট। হোবার্টের দ্বিতীয় টেস্টে ভরাডুবির পর সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ বলেছিলেন, মুখ দেখাতেও লজ্জা পাচ্ছেন তিনি। দু’দিনের মাথায় এবার পদত্যাগ করলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) প্রধান নির্বাচক রডনি মার্শ। যদিও ব্যক্তিগত সমস্যাকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন দেশটির সাবেক এই তারকা উইকেটরক্ষক। ‘এটা আমার একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। সিএ’র পক্ষ থেকে কোন চাপ দেয়া হয়নি। বরং তারা আমাকে দায়িত্বটা চালিয়ে যেতেই বলেছিলেন। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটের ভবিষ্যতের কথা ভেবে আমি সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মনে হয়েছে, এই মুহূর্তে এমন কাউকে দায়িত্বে আনা উচিত যিনি আগামীর পথচলা মসৃণ করতে পারবেন। ’ সিএ’র পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকম-লীর চেয়ারম্যান রডনি মার্শের পদত্যাগপত্র তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে। খারাপ অবস্থার মধ্যেও তার প্রতি বোর্ডের প্রধান নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড, প্রধান কোচ ড্যারেন লেহম্যান ও হাইপ্রোফাইল ম্যানেজার প্যাট হাওয়ার্ডের সমর্থন ছিল। ‘আমরা মনে করি প্রত্যেকের মতো মার্শও নিজের সেরাটা দিয়েছেন। দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। আমরা তাকে থেকে যেতে বলেছিলাম। কিন্তু তিনি রাজি হননি। তার সিদ্ধান্তকে সম্মান জানাই। অবশ্যই অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য যেটি ভাল আমাদের সেভাবে এগোতে হবে।’ বলেন সাদারল্যান্ড। মার্শের অধীনে গতবছর বিশ্বকাপ পুনরুদ্ধার করে অসিরা। সম্প্রতি সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না। শ্রীলঙ্কা সফরে ৩-০তে হোয়াইটওয়াশ হয়ে টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষস্থান খোয়ায় স্মিথের দল। এরপর ঘরের মাটিতে টানা দুই হারে এক ম্যাচ আগেই প্রোটিয়াদের কাছে এই লজ্জা। অর্থাৎ টানা পাঁচ টেস্টে হারের লজ্জা রেকর্ড গড়ে তারা। মাঝে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোন সিরিজে ৫-০তে হোয়াইটওয়াশ হয়। সিরিজে টিকে থাকতে হলে হোবার্টের দ্বিতীয় টেস্টে জিততেই হতো। সেখানে মাত্র আড়াই দিনে ইনিংস ও ৮০ রানের হার। প্রথম ইনিংস ৮৫ রানে অলআউট হওয়া। সব মিলিয়ে আসলেই দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া। যতই ব্যক্তিগত কারণ দেখান, লজ্জা দীর্ঘ করতে চাননি বলেই মার্শের এমন সিদ্ধান্ত। হোবার্টে ভরাডুবির পর অধিনায়ক স্মিথ বলেন, ‘সত্যি বলতে আমি বিব্রত, লজ্জিত, স্তম্ভিত। এর কোন জবাব থাকতে পারে না। এখানে বসে আপনাদের সঙ্গে কথা বলতেও আমার কষ্ট হচ্ছে। ভক্তদের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমরা এখন কেবল শেষ ম্যাচটার দিকেই তাকাতে পারি।’ তবে নির্বাচক মার্শ ও কোচ লেহম্যানের কোন দোষ দেখছেন না তিনি। ২৪ তারিখ এ্যাডিলেডে শুরু তৃতীয় ও শেষ টেস্ট।
×