ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

মৃধা মোহাম্মাদ বেলাল

সাম্প্রদায়িকতার বলি

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৭ নভেম্বর ২০১৬

সাম্প্রদায়িকতার বলি

ইসলাম কি কখনও সমর্থন করে অন্য সম্প্রদায়ের বসতবাড়ি উচ্ছেদ, ভাংচুর, ধর্মীয় মূর্তি, স্থাপনা ধূলিস্যাত করা কিংবা সংখ্যালঘু কন্যার ওপর বর্বরোচিত পাশবিকতা। নিশ্চয়ই নয়। কিছু নরাধম অমুসলিমদের ওপর হামলে পড়ছে। তা আমার বোধগম্য নয়। শান্তির ধর্মের অধিকারী হয়েও বিবেকের বিচারে অত্যাচারিতের সামনে আজ মাথা নিচু, লজ্জিত। প্রকৃতপক্ষে, উগ্র ধর্মরক্ষকরাই আজ অশান্তির সবচেয়ে বড় অভিভাবক। ইসলাম ক্ষমার ধর্ম, শান্তির ধর্ম। বিশ্বের সকল মানুষের ওপর বর্ণিত বিশ্বজনীন ও সর্বজনীন ধর্ম। যারা গ্রহণ করেছে তারা মুসলিম, বাকিরা অমুসলিম। রামু কিংবা নাসিরনগরের মতো এভাবে অমুসলিম সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, ভাংচুর ও দেবমূর্তি ধূলিস্যাত করে মহৎ ধর্মের উদ্দেশ্য, ভাবমূর্তি ও সার্বজনীনতার পরিধি সঙ্কোচন করা হচ্ছে। আশা রাখি, এসব লোকের হৃদয়ে রক্তিম সূর্যের ন্যায় শুভবুদ্ধির উদয় হবে। ধর্মান্ধতা দূর করে ইসলামের মহীমা উজ্জ্বল রাখবে। অন্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর হামলে পড়া ধর্মরক্ষক ব্যক্তিগণ সত্যিই কি তাদের আসল পরিচয় জানেন? নাকি না জেনেই পণ্ড শ্রমের মতো দৌড়-ঝাঁপ দিচ্ছেন! হামলাকারীদের পেছনের দিকটাতে ফিরে তাকালেই অনুধাবন হবে এদের আসল পরিচয়। হামলাকারী বললাম এ কারণেই যে, কারণ ইসলাম কখনও নির্বিচারে হামলা মামলা করে ধর্ম রক্ষার কথা বলেনি। এমনকি সমর্থনও নয়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে
×