ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

মুনীর চৌধুরীর ছায়া দেখতে পাবে দর্শক ॥ প্রবীর দত্ত

প্রকাশিত: ০৬:২২, ১৭ নভেম্বর ২০১৬

মুনীর চৌধুরীর ছায়া দেখতে পাবে দর্শক ॥ প্রবীর দত্ত

নাট্যকার, নির্দেশক ও অভিনেতা প্রবীর দত্ত। দীর্ঘদিন ধরে মঞ্চ ও টিভি নাটক নির্দেশনার পাশাপাশি গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির নাট্য সংগঠন থিয়েটার অঙ্গনের প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। বাংলাদেশের নাট্যান্দোলনের অগ্রপথিক শহীদ বুদ্ধিজীবি মুনীর চৌধুরীর কর্মময় জীবন নিয়ে এই প্রথমবারের মতো নাটক রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। দলের দশম প্রযোজনা আগামীকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার প্রধান মিলনায়তনে ‘মুনীর চৌধুরী’ নাটকের উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে । এ প্রসঙ্গে তাঁর সঙ্গে কথা হয়। ‘মুনীর চৌধুরী’ নাটক প্রসঙ্গে বলুন। প্রবীর দত্ত : নাটকটি মূলত শহীদ বুব্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর জীবন, কর্ম ও দর্শনের ওপর বিশ্লেষণী আলোক নিক্ষেপণ। মোটকথা তাঁর বর্ণময় জীবনের নানা দিন দৃশ্যকাব্য আকারে এতে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। নাটকটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করছেন গীতাঞ্জলি ললিতকলা একাডেমির পরিচালক ও থিয়েটার অঙ্গনের সভাপতি মাহবুব আমিন মিঠু। মুনীর চৌধুরীকে নিয়ে নাটক কেন? প্রবীর দত্ত : মুনীর চৌধুরী আমাদের দেশের নাট্যজগতের পথিকৃৎ। তাঁর নাটক সব সময়ই সমসাময়িক। ছোটবেলা থেকেই তাঁর নাটকের সঙ্গে আমার পরিচয়। এতবড় মাপের একজন নাট্যব্যক্তিত্বের জীবন-দর্শন অনেকেরই অগোচরে। মুনীর চৌধুরীকে নিয়ে নাটক লেখার জন্য থিয়েটার অঙ্গনের সভাপতি মাহবুব আমিন মিঠু আমাকে প্রথম প্রস্তাব দেন। আমার কাছে মনে হয়েছে শিল্পের মধ্য দিয়ে শিল্পশ্রষ্টাকে আবিষ্কার করা কঠিন এক কর্ম, যে কর্মের মধ্যে আছে শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। সেই বোধ থেকে মিঠু ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় নাটকটি লেখা ও নির্দেশনায় এগিয়ে আসি। মুনীর চৌধুরীকে নিয়ে নাটক লিখতে গিয়ে আপনার অভিজ্ঞতার কথা বলুন? প্রবীর দত্ত : নাটকটি লিখতে গিয়ে তাঁকে নিয়ে অনেক গবেষণা করতে হয়েছে। আমার মনে হয়েছে, যে ‘কবর’ নাটকের জন্য তিনি আজও বিখ্যাত, সেই মুনীর চৌধুরীর কোন কবর নেই, যেটা তাঁর জীবনেরই প্রতিচ্ছবি। তবে যে ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আমরা এখন নাট্যচর্চা করছি, সেই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকারীদের অন্যতম একজন ব্যক্তিত্বকে নিয়ে নাটক লেখা আমার জন্য কঠিন হলেও বড় এক পাওয়া। নাটকটি লিখতে গিয়ে কাদের সহযোগিতা বেশি ছিল? প্রবীর দত্ত : আমি মুনীর চৌধুরী সম্পর্কে বেশ কিছু বই পড়ি। শ্রদ্ধেয় শিক্ষাবিদ এমিরিটাস প্রফেসর রফিকুল ইসলাম স্যার আমাকে বিভিন্ন তথ্য ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছেন। এছাড়া এমিরিটাস প্রফেসর আনিসুজ্জামান স্যার, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, প্রয়াত মুনীর চৌধুরীর সন্তান আসিফ মুনীর তন্ময়সহ অনেকেই আমাকে সহযোগিতা করেছেন। নাটকটি নিয়ে আপনি কেমন আশাবাদী? প্রবীর দত্ত : নাটকের মূল সৈন্দর্য পরিবেশনায় নিহিত। আমি এবং দলের সর্বাত্মক চেষ্টা রয়েছে নাটকটিকে মঞ্চ উপযোগী করে তোলা। থিয়েটার অঙ্গনের নাট্য বন্ধুরা অনেক পরিশ্রম করে এ বিশাল কর্মটি মাথায় তুলে নিয়েছেন। আশা করি আমাদের পরিবেশনার মধ্যে দর্শকরা মুনীর চৌধুরীর ছায়া দেখতে পাবেন। -গৌতম পা-ে
×