ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাষ্ট্রের অস্তিত্বের স্বার্থেই রাষ্ট্রকে সেক্যুলার হতে হয় -স্বদেশ রায়

প্রকাশিত: ০৬:০৪, ১৭ নভেম্বর ২০১৬

রাষ্ট্রের অস্তিত্বের স্বার্থেই রাষ্ট্রকে সেক্যুলার হতে হয়  -স্বদেশ রায়

সেক্যুলারইজম একটি রাষ্ট্রে কেন দরকার তা মনে হয় আমেরিকার নির্বাচনের পরে পৃথিবীর অনেকেই বুঝতে পারছেন। বুঝতে পারছেন, উগ্র ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ বা ধর্মীয়বাদ সামগ্রিক মানুষের জন্য কতটা ভয়াবহ। কেউ যদি মনে করে থাকেন, উগ্র ধর্মীয়বাদ বা সুগারকোটেডভাবে বললে ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ সম্প্রতি হয়েছে- যার উদাহরণ, ট্রাম্পসহ অনেকে- তাহলে তারা ভুল করছেন। রাষ্ট্রের সঙ্গে, রাজনীতির সঙ্গে এই ধর্মকে মেলানো বা ধর্মের নামে রাষ্ট্র শাসন প্রায় কয়েক হাজার বছরের পুরনো। মানুষ বার বার এখান থেকে বের হতে চেয়েছে। কিন্তু ধর্ম নানা আবরণের নাগপাশে বেঁধেছে রাষ্ট্রকে। এমনকি যেই পৃথিবীতে জাতীয়তাবাদ এলো সেই এই জাতীয়তাবাদকেও ধর্ম গিলে খেতে চেয়েছে। জাতীয়তাবাদকে কিন্তু শুধু ধর্ম দিয়ে নয়, নানাভাবে গিলে খাওয়া হচ্ছে। কেউ ভাষা দিয়ে জাতীয়তাবাদকে গিলে খাচ্ছে বা সীমাবদ্ধ করছে, কেউ নৃগোষ্ঠীর নামে জাতীয়তাবাদের ভেতর বিভেদ রেখা টানছে। এমনি নানান শত্রু আছে জাতীয়তাবাদের। কিন্তু বাস্তবে ধর্ম, নৃগোষ্ঠী, ভাষা এমনি কোন ছোট সীমারেখার ভেতর জাতীয়তাবাদ আটকে থাকার নয়। জাতীয়তাবাদ থাকে একটি আকাক্সক্ষার ভেতর। যখন একটি বৃহৎ জনগোষ্ঠী একটি ধারাবাহিক আকাক্সক্ষার সঙ্গে একাত্ম হয় তখনই একটি জাতি বা তার জন্য জাতীয়তাবাদের সৃষ্টি হয়। রোমিলা থাপার, ইরফান হাবিব প্রমুখ কিন্তু এমন করেই বিষয়গুলো ভেবেছেন। আমাদের মতো আমরা যারা ক্ষুদ্র তারাও কিন্তু নিজ সীমারেখার বিষয় নিয়ে ভাবতে গিয়ে ভেবেছি, ’৭১ সালে যে বাঙালী জাতীয়তাবাদের চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটল তা শুধু ভাষাভিত্তিক নয়, একটি ধারাবাহিক আকাক্সক্ষার ফল। হয়ত এ কলামে আগেও লিখেছি, আওয়ামী লীগের সেমিনারেও বলার চেষ্টা করেছি- আমাদের জাতীয়তাবাদ শুধু ভাষাভিত্তিক নয়। বরং ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলনের বিজয়, ’৫২-এর রক্তদানের মধ্য দিয়ে চূড়ান্ত বিজয়, ’৫৪-এ মুসলিম লীগের কবরের ভেতর দিয়ে ধর্মীয় সাম্প্রদায়িকতার কবর, ৬৬তে নিজস্ব অর্থনীতির চেতনা আর ৬৯ থেকে ওই অর্থনৈতিক ও ভাষাসহ সৃষ্ট যাবতীয় আকাক্সক্ষার বাস্তবায়নের জন্য নিজস্ব ভূখ-ের আকাক্সক্ষা এবং তা বাস্তবায়ন যে জনগোষ্ঠীর দ্বারা হয়েছে এই জনগোষ্ঠীই বাঙালী জাতি। অনেকে বলেন, মানবেন্দ্র লারমাকে বঙ্গবন্ধু বাঙালী হতে বলে ভুল করেছিলেন। তারা বঙ্গবন্ধুর ভেতর উগ্র জাতীয়তাবাদ খোঁজেন। অথচ যিনি বঙ্গবন্ধুকে সমালোচনা করছেন, তিনি ভেবে দেখেন না জাতীয়তাবাদ সম্পর্কে তিনি কতটা অজ্ঞ বা কতখানি সীমাবদ্ধতার ভেতর আছেন। তিনি বাঙালী জাতি সৃষ্টির ওই সংগ্রামকে পূর্ণ উপলব্ধি করতে পারেননি। আর বঙ্গবন্ধু ওই সংগ্রামের নেতা, তার চেতনার ভেতর দিয়ে এ জাতির সৃষ্টি, সেই রবীন্দ্রনাথের ভাষায়Ñ ‘আমার জীবনে লভিয়া জীবন জাগোরে সকল দেশ’। আসলে বঙ্গবন্ধুর জীবনের ভেতর দিয়েই তো সকলের বাঙালী হওয়া। এ দেশের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অনেক অংশ ওই চেতনার সঙ্গে ছিল সেই নাচোল, হাজং বিদ্রোহ থেকে। চাকমারা পারেনি তাদের নেতা ত্রিদিব রায় পাকিস্তানের পক্ষে থাকার কারণে, মানবেন্দ্রনাথ লারমা চীনের পক্ষে থাকার কারণে। বঙ্গবন্ধু তাদের একই আকাক্সক্ষার ভেতর আনতে চেয়েছিলেনÑ যে জাতি গঠনের চেষ্টা ভারতে জওয়াহেরলাল নেহরু করেছিলেন। এখন যা বিপদের মুখে। তাই জাতীয়তাবাদের এই আকাক্সক্ষায় কখনই ধর্মীয় কোন দুধের ফোঁটাও ফেলা ঠিক নয়। এই জাতীয়তাবাদ হতে হবে সম্পূর্ণ সেক্যুলার এখানে কোন ধর্মীয় আবরণ থাকবে না। এমনকি কোন ক্ষুদ্রতা থাকলেও চলবে না। আবারও সেই রবীন্দ্রনাথের কথায় আসতে হবে, যেখানে বসুধাকে রাখেনি খ-, ক্ষুদ্র করে। বঙ্গবন্ধু সকল খ-তা, ক্ষুদ্রতা দূর করে প্রকৃত জাতি গোষ্ঠী গড়তে চেয়েছিলেন। আর সে প্রকৃত জাতি গোষ্ঠী হতে হবে সেক্যুলার। বাংলাদেশে অনেকেই মনে করেন, এখানে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টানরা আছে বলেই সংবিধানকে, রাষ্ট্রকে সেক্যুলার হতে হবে। এও কিন্তু এক ধরনের ক্ষুদ্রতা। কোন রাষ্ট্রের নাগরিক কখনই মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান হিসেবে পরিচিত হতে পারে না। সে ওই রাষ্ট্রের নাগরিক, সিটিজেন। ধর্ম তার একান্ত ব্যক্তিগত। সম্প্রতি হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদের এক নেতা বলেছেন, তিনি নাকি দুই কোটি লোকের প্রতিনিধি। আমি বন্ধুদের সঙ্গে হাসতে হাসতে বলেছি, ওনার পরিসংখ্যানে ভুল আছে। অন্তত আমার পরিবারের মতো অনেকেই এর বাইরে। কারণ, আমরা তো বঙ্গবন্ধুর জাতীয়তার আকাক্সক্ষা ধারণ করি, ধারণ করি বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদ অর্থাৎ বাঙালী জাতীয়তাবাদের আকাক্সক্ষা। যা হোক, আগুন লাগলে দেবালয়ও বাদ যায় নাÑ আর সেখানে ধর্মীয় সংগঠনই বা কেন বাদ যাবে! ১৯৭৫-এর পনেরো আগস্টের পর থেকে আমাদের পচন শুরু হয়েছে। তাই এখানে অমুক শুধু পচবে, সে পচবে আমি পচব না এমন কখনও হয় না। বাংলাদেশকে এই পচন থেকে বের হতে হবে। আজ ট্রাম্প প্রকাশ্যে যে বাইবেলিক ন্যাশনালইজমের কথা বলছেন, এ কিন্তু বাংলাদেশে আদৌ নতুন কিছু নয়। সংখ্যাগরিষ্ঠের ওপর এর ধাক্কা কম পড়েছিল বলে সাধারণ মানুষ বোঝেনি, কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের বিজ্ঞজনেরা সব সময়ই বুঝেছেন, তাই তারা সব সময়ের জন্য সেক্যুলার রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবি করেছেন এবং তারা কিন্তু জিয়া ও এরশাদকে ট্রাম্পের থেকেও খারাপ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আজ পৃথিবী ধর্মীয় উন্মাদনার কাছে এতই অসহায় যে ধর্মের নাম করে ট্রাম্প সে দেশ থেকে মানুষকে প্রকাশ্যে বের করে দেয়ার ঘোষণা দিতে পারছেন। পৃথিবীর বড় শক্তি বলেও এ কাজ করার উদ্যোগ নিতে পারছেন। কিন্তু জিয়া ও এরশাদ বাংলাদেশকে মুসলিম জাতীয়তাবাদী বানিয়ে এখান থেকে অন্য ধর্মাবলম্বীদের নীরবে চলে যেতে বাধ্য করেছেন। বাস্তবে সকলেই একই মুদ্রা। শুধু ভিন্ন নামে ভিন্ন ভিন্ন দেশে চলছে। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দলের ভেতর বড় দল হিসেবে, বঙ্গবন্ধুর দল হিসেবে আওয়ামী লীগ শুরু থেকে অর্থাৎ ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে এই ট্রাম্পীয় নীতির বিরুদ্ধে। আর সততার সঙ্গে এর বিরুদ্ধে সব সময়ের জন্য বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি কাজ করছে। কিন্তু তারা এখন অনেক ছোট পার্টি। সর্বশেষ কমরেড ফরহাদের আমল অবধি তাদের শক্তি ছিল দেশের ও মানুষের মনোজগত বদলানো। ট্রাম্প যেমন একটি বদলে যাওয়া আমেরিকান মনোজগত পেয়েছেন, অন্যদিকে বাংলাদেশে ১৯৭৫-এর ১৫ আগস্ট থেকে ধীরে ধীরে এ দেশের সকল ধর্মের মানুষের মনোজগত বদলানোর কাজ শুরু হয়েছে। শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠরা নয়, সংখ্যালঘুরাও কিন্তু এক ধরনের সাম্প্রদায়িক হতে বাধ্য হয়েছে। কারও বা মনোজগতে সময়ের ছাপ পড়ে বদলে গেছে। বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীরা এখান থেকে এখনই দেশকে মুক্ত করতে চান। সেটা তাদের দায়িত্ব। উল্লেখ্য, সব বুদ্ধিজীবী নন কিন্তু। এ দেশে ট্রাম্পীয় বুদ্ধিজীবীর সংখ্যাই অনেক বেশি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগ একটি রাজনৈতিক দল। তাকে এগুতে হয় হাতির মতো বিশাল শরীর নিয়ে। আবার রাজনৈতিক দলের সব থেকে বড় সমস্যা হলো হাতির মতো তার চোখ দুটোও ছোট। সে কখনও তার নিজের শরীর দেখতে পায় না। এমনকি ওই শরীরের ওপর কোন পশুপাখি চড়ে বসলেও সে টের পায় না। আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। যা হোক, তার পরেও কিন্তু ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ বা ধর্মীয়বাদ থেকে রাষ্ট্রকে পৃথক করার একটা চেষ্টা সব সময়ই আওয়ামী লীগে আছে। তবে বদলে যাওয়া দেশে বসে তারা এ নিয়ে খুব জোরে চলতে পারছে না যেমনÑ তেমনি তাদের নিজেদেরও একটি বড় অংশের মনোজগত বদলে গেছে। যা হোক, তার পরেও আবার রবীন্দ্রনাথের কথায় ফিরে আসতে হয়, এই খর্বাকৃতি, শঠ, পরশ্রীকাতর জাতির ভেতর ভুলক্রমে দুই/একজন মানুষ জন্মিয়া যায়- আসলে এই যে রবীন্দ্রনাথের মানুষেরা জন্মে যান এরাই কিন্তু রবীন্দ্রনাথ, বঙ্গবন্ধুর জাতিতে বাঁক ফিরিয়ে দেন। আমাদের ইতিহাসের, আমাদের সভ্যতার পতনের সেই বাঁক কিন্তু ফিরিয়ে সোজা পথে তুলে দেন বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক। খালেদা জিয়ার দুঃশাসনের ভেতর বসেও তিনি সব ধরনের ঝুঁকি নিয়ে মুন সিনেমা হল মামলার রায় দিতে গিয়ে পঞ্চম সংশোধনীকে বাতিল করেন। বাংলাদেশ পথ ফিরে পায় আবার রাষ্ট্রকে ’৭২-এর সংবিধানের ধারায় নিয়ে যাওয়ার। বিচারপতি খায়রুল হক একাই একটি যুদ্ধ করে জিতে জাতিকে যে বিজয় উপহার দিয়ে গেছেন তা চিহ্নিত হবে শতবর্ষ পরে। তিনিও সম্মানিত হবেন শতবর্ষ পরে। যা হোক, রাজনৈতিক দল হিসেবে, এক ব্যক্তি এক ভোটের এই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বসে কোন রাজনৈতিক দল কিন্তু জনমত সৃষ্টি ছাড়া এগুতে পারে না। যে কারণেই বঙ্গবন্ধু ও মওলানা ভাসানীর মতো নেতাদের শুরুতে আওয়ামী মুসলিম লীগ করতে হয়েছিল। ’৫৪-এ মুসলিম লীগের কবর দিয়ে, জনমত পরিবর্তন করার পরই আওয়ামী মুসলিম লীগ নিজেকে আওয়ামী লীগ হিসেবে চিহ্নিত করেন। কিন্তু একটু খেয়াল করলে বা পুরনো দিনের পত্রপত্রিকা পড়লে দেখতে পাবেন ওই সময়ে আরমানীটোলার মাঠের প্রায় জনসভায় বা বাহাদুর শাহ্ পার্কের জনসভায় তৎকালীন যুব নেতা শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী মুসলিম লীগ খুব একটা বলতেন না, তিনি আওয়ামী লীগই বলতেন। অর্থাৎ নেতার ভেতর আকাক্সক্ষা ছিল পরিবর্তনের। এবারও খায়রুল হকের ওই রায় আওয়ামী লীগ জনমতের সঙ্গে বিচার করেই পরিবর্তন করে। তারা সবটুকু ’৭২-এর সংবিধানে যেতে পারেনি। যেমন রাষ্ট্রধর্ম তারা রেখে দেয়। কিন্তু সংবিধান পরিবর্তনের পর তৎকালীন জেনারেল সেক্রেটারি সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমরা এ মুহূর্তে এটা পারিনি কিন্তু অবশ্যই ভবিষ্যতে জনমত পরিবর্তন করে এটা করব। কারণ সৈয়দ আশরাফ জানতেন, তাদের ওই স্থানে যেতে হবেই- কারণ এই সেক্যুলার আকাক্সক্ষাতেই বাংলাদেশের সৃষ্টি। সম্প্রতি আইনমন্ত্রীও বলেছেন, সংবিধানের ৯৬কে ’৭২-এর অবস্থানে ফেরত নেয়া নয় কেন? অর্থাৎ সার্বিকভাবে দেখা যায়, আওয়ামী লীগে শত পচন হলেও তাদের প্রকৃত নেতাদের ’৭২-এর সংবিধানে অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর আকাক্সক্ষার বাংলাদেশে ফিরে যাওয়ার লক্ষ্য থেকে তারা সরেননি। সম্প্রতি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়ামের সদস্য ড. আবদুুর রাজ্জাক বলেছেন, জনমত পরিবর্তন করে এক সময়ে আমরা ঠিকই রাষ্ট্রধর্ম সংবিধান থেকে উঠিয়ে দেব। রাজনৈতিক দলকে, নেতাকে এভাবে জনমত গঠন করেই এগিয়ে যেতে হয়, যা আওয়ামী লীগ ও বাঙালী জাতিকে বঙ্গবন্ধু শিখিয়ে গেছেন এবং বঙ্গবন্ধু এও শিখিয়েছেন, রাষ্ট্রকে সেক্যুলার হতে হবে। আর এটা হতে হবে রাষ্ট্রের অস্তিত্বের স্বার্থে। আগেই উল্লেখ করেছি রাষ্ট্রধর্ম উঠিয়ে দিতে হবে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীস্টানের জন্য নয়, এটা রাষ্ট্রের অস্তিত্বের স্বার্থে। এ রাষ্ট্রে যদি একজনও হিন্দু, বৌদ্ধ বা খ্রীস্টান নাও থাকে তার পরেও রাষ্ট্রধর্ম উঠিয়ে দিতে হবে। যারা বিশ্ব রাজনীতি ও মনোজগতের খোঁজ রাখেন তারা জানেন সৌদি আরবেও এক শ্রেণীর নারী, নতুন প্রজন্মের ছেলেরা মনোজাগতিকভাবে একটি আধুনিক রাষ্ট্র খুঁজছে। আর এ কথা সত্য, মুসলিম বিশ্ব আজ যে বড় বিপদে তার মূল কারণ কিন্তু ট্রাম্প বা আমেরিকা নয়, মূল কারণ, সৌদি আরব একটি আধুনিক রাষ্ট্র নয় এটাই। আগামীকাল ভোরে সৌদি আরব আধুনিক রাষ্ট্র হোক- তখন ট্রাম্প থাকুন আর নতুন কোন হিলারি থাকুন তাকে নতুন হিসাবের খাতা নিয়ে বসতে হবে। এছাড়া তাদের কোন পথ থাকবে না। এ কারণে এটাই সত্য রাষ্ট্র থেকে ধর্মকে পৃথক করতে হয় সামগ্রিক রাষ্ট্রের অস্তিত্বের স্বার্থে কোন একটি বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষের জন্য নয়। [email protected]
×