রাজশাহীতে নিজের পিস্তলের গুলিতে বিএনপি নেতার মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নিজ পিস্তলের গুলিতে রাজশাহী মহানগর বিএনপির সহসভাপতি ও ঠিকাদার খন্দকার মাইনুল ইসলামের (৫৯) মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। মাইনুল ইসলাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক। নগরীর হোসনীগঞ্জ এলাকার নিজ বাসা থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিয়ে যায় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক আরিফুল হক জানান, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগেই খন্দকার মাইনুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। তার দুই কান দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। তবে তার বাম কানে ছিদ্র রয়েছে। ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে বলা যাবে না। রাজশাহী ফায়ার স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শরীফুল ইসলাম জানান, ফায়ার স্টেশনের পাশেই খন্দকার মাইনুল ইসলামের বাসা। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, এমন খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তার বাসায় ছুটে যান। দুপুর ২টা ১০ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তিনি জানান, খন্দকার মাইনুল ইসলামের বাসার সামনে প্রাচীরের ভেতরেই বসার জন্য একটি ঘুন্টিঘর আছে। ওই ঘরের মেঝেতেই তিনি অচেতন অবস্থায় পড়েছিলেন। তার কানের পাশে ছিদ্র ছিল এবং সেখান দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। খন্দকার মাইনুল ইসলামের ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, ঠিকাদারি ব্যবসার কারণে তার প্রচুর টাকা ঋণ ছিল। এ কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন। তবে নিহতের পরিবারের কোন সদস্য এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি। বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান বলেন, পুলিশ বিষয়টি অনুসন্ধান করছে। র‌্যাব ও সিআইডির কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। সেটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। নিহতের লাশেরও ময়নাতদন্ত করার জন্য মর্গে নেয়া হয়েছে।