স্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ ॥ ত্রিশালের বালিপাড়ায় ইউপি নির্বাচনের দ্বন্দ্বের জেরে বুধবার দুপুরে যুবলীগ নেতাকর্মীর হামলায় নিহত হয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল মোল্লা (৪৫)। আহত হয়েছে ১০ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত আব্দুল হাই মোল্লা (৫৫), তার পুত্র হুমায়ুন কবীর মোল্লা (২৫), শরীফুল মোল্লা (৪০) ও সুমন মোল্লাকে (২৮) ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরে যুবলীগ নেতা আব্দুল বারীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় পুলিশ কোন ব্যবস্থাই নেয়নি। পুলিশের নির্বিকার ভূমিকার কারণেই বুধবার আওয়ামী লীগ নেতাকে প্রাণ দিতে হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয় নেতাকর্মীর।
জানা যায়, গত ৩০ অক্টোবর ত্রিশালের বালিপাড়ায় স্থগিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী গোলাম মোঃ বাদল বিজয়ী হওয়ার পর স্থানীয় যুবলীগ নেতা আব্দুল বারীর বাড়িঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, আব্দুল বারী ও তার কর্মীসমর্থক বাদলের নির্বাচনে অংশ নেয়নি। এর জের ধরে কয়েকদফা হামলা চালানো হয় বারীর বাড়িঘরে। পাল্টা প্রতিশোধ হিসেবে বুধবার দুপুরে বালিপাড়া স্টেশন রোডের বাদল চেয়ারম্যানের কর্মীসমর্থক সাইফুল মোল্লার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয়।
হামলায় আহত আব্দুল হাই মোল্লা জানান, বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে আব্দুল বারেক, বাতেন, এমদাদুল হক ও শাহীদের নেতৃত্বে ১৫/১৬ জনের একটি দল সাইফুলের দোকানে হামলা চালায়। বাধা দিলে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান সাইফুল। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং নিহত সাইফুলের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ত্রিশাল থানায় নিয়ে আসে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: