ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নিউইয়র্ক অধ্যায় শেষ হচ্ছে ল্যাম্পার্ডের

প্রকাশিত: ০৬:২১, ১৬ নভেম্বর ২০১৬

নিউইয়র্ক অধ্যায় শেষ হচ্ছে ল্যাম্পার্ডের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের পুরো সময়ই খেলেছেন ইংল্যান্ডে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের মায়া ছেড়ে কোথাও যাননি। সেই ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড নিউইয়র্কে নতুন ইনিংস শুরু করেন ২০১৪ সালে। ওই বছর ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ইংলিশ অধ্যায় শেষ করে তারকা এই মিডফিল্ডার যোগ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লীগের দল নিউইয়র্ক সিটিতে। দুই বছর খেলার পর নিউইয়র্ক অধ্যায়ও শেষ হতে যাচ্ছে ৩৮ বছর বয়সী ল্যাম্পার্ডের। চলতি বছর শেষে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলে নিউইয়র্ক সিটিতে আর থাকছেন না চেলসির সাবেক এই তারকা। এমএলএস ক্লাবের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ভাগ্যের নিষ্ঠুর পরিহাসই বলতে হবে। লন্ডনের স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে কাটিয়েছেন টানা ১৩ বছর। ২০০১ থেকে ২০১৪ সাল। প্রাণের সেই ক্লাব ছেড়ে ২০১৪-১৫ মৌসুমে ল্যাম্পার্ড নাম লেখান নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখান থেকে আবার ধারে খেলেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের দল ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে। সিটির মায়া ত্যাগ করে এক বছরের মধ্যেই তিনি যোগ দেন নিউইয়র্ক সিটিতে। সেই অধ্যায়ও এবার শেষ হচ্ছে। সাবেক ইংলিশ মিডফিল্ডার ২০১৪ সালে উত্তর আমেরিকার ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর ৩১টি ম্যাচে ১৫ গোল করেছেন। কলোরাডো র‌্যাপিডসের বিরুদ্ধে ক্লাবের ইতিহাসে প্রথম হ্যাটট্রিক করার রেকর্ডও গড়েন। শুধু তাই নয়, প্রথমবারের মতো নিউইয়র্ককে প্লে-অফে খেলতে রাখেন অগ্রণী ভূমিকা। ক্লাবের ওয়েবসাইটে এ সম্পর্কে ল্যাম্পার্ড বলেছেন, নিউইয়র্কের সঙ্গে আমার সময় শেষ হয়ে গেছে। গত দুই বছরে যে ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থন আমি পেয়েছি সেজন্য সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ক্লাবের সতীর্থরা ছিল চমৎকার। তাদের সঙ্গে খেলতে পারাটা সত্যিই সৌভাগ্যের। অসাধারণ কিছু সমর্থক আমাদের সবসময়ই সমর্থন দিয়ে গেছে। এখানকার সময়টা আমি দারুণ উপভোগ করেছি। দারুণ একটি ক্লাবে খেলতে পেরে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। ১৯৯৫ সালে ওয়েস্টহ্যামের হয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ল্যাম্পার্ড। ওই ক্লাবে তার বাবাও খেলতেন। ২০০১ সালে চেলসিতে যোগ দেয়ার পর টানা ১৩ মৌসুম স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে কাটিয়েছেন। এই ক্লাবের হয়ে ২১১ গোল করে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছেন। নিউইয়র্ক সিটি কোচ প্যাট্রিক ভিয়েরাও ল্যাম্পার্ডের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, মধ্যমাঠ থেকে ল্যাম্পার্ডের গোল করার রেকর্ডের কথাই সবাই বলে থাকে। কিন্তু এক বছর তার সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলব যে গোল করার থেকেও দলের মধ্যে অনেক কিছুই সে নিয়ে এসেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো অভিজ্ঞতা। তরুণদের সঙ্গে সুসম্পর্ক, উদার মানসিকতা এসব দিয়েই সে আমাদের দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছে। একটা সময় চেলসি আর ল্যাম্পার্ড ছিলেন পরিপূরক। কিন্তু ২০১৪-১৫ মৌসুমে ব্লুজদের কোচ পদে জোশে মরিনহো আসার পর ল্যাম্পার্ডের অবস্থান দলে নড়বড়ে হতে থাকে। যে কারণে তিনি ঠিকানা পরিবর্তন করেন। যোগ দেন নিউইয়র্ক সিটিতে। সেখান থেকে আবার ধারে ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেন। তবে তার ওই যোগ দেয়াটা এতই সফলতার মুখ দেখেছিল যে সিটিজেনরা তার যুক্তরাষ্ট্রের ক্লাবের সঙ্গে একটি চুক্তির মাধ্যমে ধারের খেলোয়াড় হিসেবে ল্যাম্পার্ডকে দলভুক্ত করেন। চুক্তি মোতাবেক ২০১৪-১৫ মৌসুমের শেষ অবদি ইংলিশ লীগে খেলার কথা ছিল তার। কিন্তু চুক্তির পর সে সময়ের সিটি কোচ ম্যানুয়েল পেলিগ্রিনি নিয়মিত একাদশে না রাখায় হতাশ হয়ে পড়েন ল্যাম্পার্ড। যে কারণে চুক্তির মেয়াদ আর বাড়েনি, তাইতো পাড়ি দিতে হয়েছিল মার্কিন মুলুকে।
×