স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপর চাপ কমাতে অন্যান্য হাসপাতালে যাওয়ার জন্য জনগণকে উদ্ধুদ্ধ করার পরামর্শ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেন, রাজধানীর প্রতিটি সরকারী হাসপাতালই উন্নত অবকাঠামো ও যন্ত্রপাতি দিয়ে গড়ে তোলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সেখানে নিয়মিত চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন।
মঙ্গলবার ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে ‘নেগলেকটেড ট্রপিক্যাল ডিজিজেস এ্যান্ড লেপ্রোসী রিসার্চ’ শীর্ষক পরামর্শমূলক সম্মেলন উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। দি লেপ্রোসী মিশন ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এই সম্মেলনের আয়োজন করে। লেপ্রোসী মিশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর সলোমান সুমন হালদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, রাজধানীতে ঢামেক হাসপাতালের মতো সোহ্রাওয়ার্দী, কুর্মিটোলা, মুগদা হাসপাতালেও আইসিইউ সমৃদ্ধ একই সেবা নিশ্চিত করেছে সরকার। পাশাপাশি নিউরোসায়েন্স, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, কিডনী হাসপাতাল, নাক-কান-গলা ইনস্টিটিউট, চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটসহ বেশ কয়েকটি বিশেষায়িত হাসপাতাল সরকার চালু করেছে যেখানে অত্যাধুনিক মানের যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হয়েছে। এই হাসপাতালগুলোতে এখন আন্তর্জাতিকমানের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। প্রতিটি হাসপাতালে জনগণ আধুনিক চিকিৎসা পাবে, এই তথ্য সকলের কাছে পৌঁছে দিতে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ নেয়ার জন্য মন্ত্রী আহ্বান জানান।
বাংলাদেশে কুষ্ঠ রোগ নির্মূলে জনসচেতনতা বাড়িয়ে সমন্বিত সেবা কার্যক্রম হাতে নিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারী সংস্থাগুলোকে জোরালো ভূমিকা রাখতে হবে বলে জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, কুষ্ঠ রোগীকে অবহেলা না করে পাশে থেকে সেবা দেয়ার জন্য জনগণকে সচেতন করে তুলতে হবে। তিনি বলেন, অতীতে দারিদ্র্যের কারণে দেশে বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগের প্রকোপ দেখা দিত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে আজ দারিদ্র্যের হার অনেক কমে গেছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য খাতে সরকারের নিরলস প্রচেষ্টার ফলে বাংলাদেশ পোলিও, ধনুস্টংকার, যক্ষ্মাসহ অনেক রোগকে পরাজিত করেছে। সভায় অন্যান্যের মাঝে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্বাস্থ্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল কালাম আজাদসহ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের উর্ধতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।