ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্প-পুতিন প্রথম ফোনালাপ

সম্পর্ক উন্নয়নে উদ্যোগ নেবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১৬ নভেম্বর ২০১৬

সম্পর্ক উন্নয়নে উদ্যোগ নেবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া পারস্পরিক সম্পর্কোন্নয়নে চেষ্টা চালিয়ে যাবে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমবারের মতো রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ফোনে কথা বলেছেন। ঐতিহাসিক জয়ের জন্য পুতিন ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানান। দুই নেতা ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাতের বিষয়েও একমত হয়েছেন বলে ক্রেমলিন জানিয়েছে। খবর বিবিসির। নির্বাচনী প্রচারাভিযান চালানোর সময় থেকেই ট্রাম্প পুতিনের গুণগান করে এসেছেন। ক্ষমতায় এলে যে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নে পদক্ষেপ যে নেবেন সেটি তিনি তখনই জানিয়ে রাখেন। ফোনালাপের সময় দুই নেতা একমত হন যে, রুশ-মার্কিন সম্পর্ক বর্তমানে সন্তোষজনক পর্যায়ে নেই। এই সম্পর্ক উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। সিরিয়া ইস্যু নিয়েও তারা দুজন কথা বলেন। আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেও ঐক্যবদ্ধ উদ্যোগ নেয়ার ব্যাপারে একমত হন ট্রাম্প ও পুতিন। এ সময় প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের সাফল্য কামনা করেন পুতিন। ফোন কলটি প্রথমে কে করেন সে বিষয়ে মস্কো কিছু না জানালেও ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায় পুতিনই ফোনটি প্রথমে করেন। তারা এ সময় পারস্পরিক হুমকি ও চ্যালেঞ্জ ছাড়াও কৌশলগত অর্থনৈতিক সম্পর্কোন্নয়ন নিয়ে কথা বলেন। বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার আট বছর মেয়াদকালে রুশ-মার্কিন সম্পর্কে যথেষ্ট টানাপোড়েন তৈরি হয়। প্রচারাভিযানকালে এ নিয়ে ওবামার সমালোচনা করেন ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেন, নেতা হিসেবে ওবামার চেয়ে পুতিন অনেক অনেকগুণ এগিয়ে আছেন। অন্যদিকে পুতিনও ট্রাম্পকে অসাধারণ ব্যক্তি ও প্রখর মেধাবী মানুষ হিসেবে অভিহিত করেন। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর রাশিয়ার সরকারী প্রচার মাধ্যমে বলা হয়, জনগণের নেতার জয় হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বিভিন্ন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া পরস্পরের মুখোমুখি অবস্থানে চলে যায়। যার সর্বশেষ ঘটনা হলো সিরিয়া। দেশটিতে কয়েক বছর ধরে চলমান গৃহযুদ্ধে শাসক বাশার আল আসাদের বিপক্ষে অবস্থান নেয় যুক্তরাষ্ট্র আর পক্ষে থাকে রাশিয়া। বিদ্রোহী বাহিনীগুলো সমর্থন উভয় দেশ সেভাবেই সহায়তা করে। আরেকটি ইস্যু ছিল ইউক্রেনে রুশ হস্তক্ষেপ। বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটন ও মস্কোর মধ্যে সম্পর্কের গুরুতর অবনতি ঘটে। এছাড়া ওয়াশিংটনের গোপন নজরদারি তথ্য ফাঁস করে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এডওয়ার্ড স্নোডেনকে আশ্রয় দিয়ে উত্তেজনার মাত্রা আরও একদফা চড়ায় মস্কো। নির্বাচনী প্রচারাভিযানকালে উত্তর আটলান্টিক চুক্তি সংস্থা ন্যাটো নিয়েও নিজের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়ে ছিলেন ট্রাম্প। তবে নির্বাচিত হওয়ার পর এ বিষয়ে নিজের মত পাল্টাবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন ওবামা। সোমবার হোয়াইট হাউসে সংবাদ সম্মেলনে ওবামা বলেন, নতুন প্রেসিডেন্ট মিত্রদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবেন বলে তিনি আশাবাদী। তিনি বলেন নতুন নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে, তাকে দেশের মূল সম্পর্কগুলো বজায় রাখার বিষয়ে খুবই আন্তরিক মনে হয়েছে।
×