ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

প্রসঙ্গ চীনা পণ্যে বেশি শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে

প্রকাশিত: ০৫:১২, ১৬ নভেম্বর ২০১৬

যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে চীনও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে

যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী সরকারের চীনের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি কি হবে তা স্পষ্ট নয়। ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হওয়ার পর তার চীননীতি এখনও স্পষ্ট করেননি। তবে তিনি যদি বেজিংয়ের বিরুদ্ধে বাণিজ্যযুদ্ধে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন তবে চীনও পাল্টা পদক্ষেপ নেবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। খবর এএফপির। যুক্তরাষ্ট্র যদি চীনা পণ্যের ওপর অধিক হারে শুল্ক আরোপ করে তবে চীনও মার্কিন কোম্পানিগুলোর ওপর একই নীতি প্রয়োগ করবে। চীনের জাতীয়তাবাদী ভাবধারার দৈনিক গ্লোবাল টাইমসে সোমবার প্রকাশিত উপসম্পাদকীয়তে এ যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ওয়াশিংটন যদি উচ্চহারে শুল্ক আরোপের নীতি গ্রহণ করে তবে বেজিং বসে থাকবে না। বেজিং তখন মার্কিন গাড়ি, বিমান, সয়াবিন ও আইফোনের ওপর একই কৌশল প্রয়োগ করবে। সম্পাদকীয়তে আরও বলা হয়েছে, চীন সেক্ষেত্রে আমেরিকান শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিজেদের শিক্ষার্থী পাঠানোর হার কমিয়ে দেবে। বারাক ওবামা প্রেসিডেন্ট থাকার সময় তার এশিয়ামুখী পররাষ্ট্রনীতিকে বেজিং অনেকটা উদ্বেগের দৃষ্টিতেই দেখেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রনীতির এ অবস্থান চীন সবসময় নিজের ভূরাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে বেড়ে ওঠার প্রতি চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখেছে। কিন্তু ট্রাম্প নিজের এশিয়া নীতি এখনও খোলাসা করেননি। দক্ষিণ চীন সাগরের বিতর্কিত জলসীমায় চীনের অধিকার সম্প্রসারণ থেকে শুরু উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কর্মসূচী এবং তাইওয়ান পর্যন্ত বহু বিষয়ে রয়ে গেছে যেসব ক্ষেত্রে ট্রাম্প স্থিতাবস্থা বজায় রাখবেন, না নতুন নীতি নিয়ে অগ্রসর হবেন সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি। বরং জাপান বা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো মিত্রদের প্রতিরক্ষার পেছনে বিশাল অঙ্কের ব্যয়ভার যুক্তরাষ্ট্র আর বহন করতে প্রস্তুত নয় বলে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। বরং এসব দেশের নিজেদেরই পরমাণু অস্ত্র তৈরি করা উচিত বলে তিনি ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন। লন্ডনভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ক্যাপিটেল ইকনোমিক্সের প্রধান মার্ক উইলিয়াম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি এশিয়ায় নিজের সংশ্লিষ্টতা কমিয়ে দেয় তবে আঞ্চলিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে চীন নিজের ভূমিকা সম্প্রসারণ করতে পারে। চীন তখন যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়েই নিজের অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারের সুযোগ পেয়ে যাবে।
×