ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রাবি অধ্যাপক শফিউল হত্যা

দু’বছরেও গঠন হয়নি অভিযোগ ॥ সহকর্মীদের ক্ষোভ

প্রকাশিত: ০৩:৫৭, ১৬ নভেম্বর ২০১৬

দু’বছরেও গঠন হয়নি অভিযোগ ॥ সহকর্মীদের ক্ষোভ

রাবি সংবাদদাতা ॥ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. একেএম শফিউল ইসলাম লিলন হত্যাকা-ের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহত অধ্যাপকের সহকর্মীরা। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনের সামনে অধ্যাপক লিলন হত্যার দুই বছর পূর্তিতে রাবি শিক্ষক সমিতি আয়োজিত মানববন্ধন থেকে দ্রুত এ মামলার বিচারকাজ শুরুর আহ্বান জানান বক্তারা। মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. শহীদুল্লাহ বলেন, আমাদের সহকর্মী হত্যার দুই বছরে শুধু চার্জশীট দেয়া হয়েছে। এখনও বিচারিক কার্যক্রমের কোন অগ্রগতি নেই। উচ্চ আদালত থেকে আসামিরা জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আমরা চাই দ্রুত এ মামলার কার্যক্রম শুরু হোক। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ওয়ারদাতুল আকমাম বলেন, দুই বছর আগে আমরা যে দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলাম আজ আবারও একই দাবি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছি। স্যার আর আমাদের মাঝে ফিরে আসবে না এটা ঠিক, তবে হত্যাকারীরা শাস্তি পেলে স্যারের পরিবার, সহকর্মী, শিক্ষার্থীরা একটু হলেও প্রশান্তি পাবে। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. শাহ্ আজমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন, সমাজকর্ম বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন মাতিন, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিবুল আলম প্রধান প্রমুখ। ২০১৪ সালের ১৫ নবেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন চৌদ্দপাই এলাকায় বাসার কাছে খুন হন অধ্যাপক শফিউল ইসলাম লিলন। পিতা হত্যার বিচার চাওয়ায় ফের হুমকি ॥ শিশুর স্কুল বন্ধ নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ১৫ নবেম্বর ॥ সুখী! বাবা খুব আদর করে নাম রেখেছে। কিন্তু সুখ নেই তার। পটুয়াখালীতে পিতার হত্যার বিচার দাবি করায় আসামিদের হুমকির মুখে স্কুলে যেতে পারছে না ৫ম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী সুখী আক্তার। এ অবস্থায় প্রতিবন্ধী দুই ভাইকে নিয়ে চরম অনিশ্চয়তায় দিন কাটাচ্ছে এই অসহায় পরিবারটি। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সহযোগিতা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন তারা। মঙ্গলবার সুখীর বাড়িতে এসে আবারও হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। জানা যায়, সদর উপজেলার বড়বিঘাই ইউনিয়নের তিতকাটা এলাকার বাসিন্দা শাহ-জামালা গাজী। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর গত কয়েক বছর আগে নিজ বাড়িতে ফিরে শুরু করে সাংসারিক কাজ। গত ২১ অক্টোবর রাতে পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় আনোয়ার খন্দকার গং তাকে হত্যা করে বাড়ির পাশে ফেলে রাখে। এ ঘটনায় নিহতের বোন তাছলিমা বেগম বাদী হয়ে সদর থানায় মামলা দায়েরা করলেও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। উল্টো আসামিদের হুমকির কারণে বিদ্যালয়ে যাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন নিহত শাহজামাল গাজীর মেয়ে সুখী আক্তার। সুখী মধ্য তিতকাটা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েল মেধাবী ছাত্রী হলেও আগামী ২০ নবেম্বর প্রাথমিক বিদ্যালয় সমাপনী পরীক্ষা দেয়া নিয়ে অনিশ্চতা দেখা দিয়েছে।
×