ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বিধান লঙ্ঘন করলে ৬ মাসের জেল ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা ॥ ইসি

কঠোর বিধান রেখে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণবিধি জারি

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৫ নভেম্বর ২০১৬

কঠোর বিধান রেখে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন আচরণবিধি জারি

তপন বিশ্বাস ॥ ছয় মাসের কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকার জরিমানার বিধান রেখে সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে পাঁচজনের অধিক ব্যক্তি নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। গেট, তোরণ, প্যান্ডেল আলোকসজ্জা করা যাবে না। জনসভা, শোভাযাত্রা নিষিদ্ধের পাশাপাশি কোন অবস্থাতে নির্বাচনের ব্যয়সীমা লঙ্ঘন না করার বিধান আরোপ করা কয়েছে। নির্বাচনী প্রচারের সময় কোন ব্যক্তির চরিত্র হনন করে বক্তব্য প্রদান বা তিক্ত বা উস্কানিমূলক বা মানহানিকর বা সাম্প্রদায়িক বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য কেউ দিতে পারবেন না। কোন মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোন ধর্মীয় উপসনালয়ে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। এ জাতীয় কঠোর বিধান রেখে সোমবার নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশ করেছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। অবিলম্বে এটি কার্যকর হবে। একই সঙ্গে সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন) বিধিমালা, ২০১০ রহিত করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, গেজেটে বলা হয়েছে, কোন প্রার্থী তার পক্ষে রাজনৈতিক দল, অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন-পূর্ব সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকায় অবস্থিত কোন প্রতিষ্ঠানে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোন প্রকার চাঁদা বা অনুদান প্রদান করতে বা প্রদানের অঙ্গীকার করতে পারবেন না। প্রতীক বরাদ্দের আগে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচার শুরু করা যাবে না। কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নির্বাচন-পূর্ব সময়ে সরকারী সার্কিট হাউস, ডাকবাংলো বা রেস্ট হাউসে অবস্থান বা তার পক্ষে কেউ এটিকে প্রচারের স্থান হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন না। কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে কোন রাজনৈতিক দল বা অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান পথসভা ও ঘরোয়া সভা ব্যতীত কোন জনসভা বা শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পথসভা ও ঘরোয়া সভা করতে হলে প্রস্তাবিত সভার কমপক্ষে ২৪ ঘণ্টা আগে পুলিশের অনুমতি নিতে হবে। প্রতিপক্ষের পথসভা বা ঘরোয়া সভা বা অন্যান্য প্রচারাভিযান প- বা তাতে বাধা প্রদান বা কোন গোলযোগ সৃষ্টি করা যাবে না। রঙিন নির্বাচনী পোস্টার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নির্ধারিত মাপের পোস্টারে প্রার্থী ও প্রতীক ছাড়া অন্য কোন ছবি ব্যবহার করা নিষিদ্ধ। তবে রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী পোস্টারে দলীয় প্রধানের ছবি ব্যবহার করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্র ব্যতীয় নির্বাচনী এলাকার অন্য স্থানে পোস্টার, লিফলেট বা হ্যান্ডবিল ঝুলানো যাবে না। ভোট কেন্দ্রের ১৮০ মিটারের বাইরে ভোটার সিøপ বিতরণ করা যাবে না। আচরণবিধিমালায় বলা হয়েছে, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের সময় কোন প্রকার মিছিল বা শো-ডাউন করা যাবে না। প্রার্থী পাঁচজনের বেশি সমর্থক নিয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ বা জমা দিতে পারবেন না। নির্বাচন-পূর্ব সময়ে কোন প্রকার মিছিল বা কোনরূপ শো-ডাউন করা যাবে না। মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বী কোন প্রার্থী প্রতি থানায় একের বেশি নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থাপন করতে পারবে না। কাউন্সিলর পদে কোন প্রার্থী ৩০ হাজার ভোটার হলে একের অধিক তবে সর্বোচ্চ তিনটির অধিক নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিস স্থান করতে পারবেন না। নির্বাচনী ক্যাম্প বা অফিসে কোন টেলিভিশন, ভিসিআর, ভিসিডি, ডিভিডি ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে কোন রাজনৈতিক দল বা অন্য কোন ব্যক্তি, সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান- কোন ট্রাক, বাস, মোটরসাইকেল, নৌযান, ট্রেন কিংবা যান্ত্রিক যানবাহনে করে কোন প্রকার মিছিল করতে পারবেন না। নির্বাচনের দিন কোন প্রার্থীর পক্ষে কোন ভোট কেন্দ্রে বা ভোট কেন্দ্র থেকে ভোটারদের আনা নেয়ার জন্য যানবাহন ভাড়া করা বা ব্যবহার করা যাবে না। কোন প্রার্থী বা তার পক্ষে কেউ দেওয়াল লিখন, গেট, তোরণ প্যান্ডেল ও আলোকসজ্জা করতে পারবেন না। নির্বাচনী প্রচারের জন্য কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর ছবি বা তার পক্ষে প্রচারের লক্ষ্যে কোন বক্তব্য বা অন্য কারও ছবি বা প্রতীক চিহ্নসম্বলিত শার্ট, জ্যাকেট, ফতুয়া ইত্যাদি ব্যবহার করা যাবে না। নির্বাচনী প্রচারের সময় কোন ব্যক্তির চরিত্র হনন করে বক্তব্য প্রদান বা তিক্ত বা উস্কানিমূলক বা মানহানিকর বা সাম্প্রদায়িক বা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে এমন বক্তব্য দিতে পারবেন না। কোন মসজিদ, মন্দির, গির্জা বা অন্য কোন ধর্মীয় উপসনালয়ে কোন প্রকার নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। সরকারী সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এবং কোন সরকারী কর্মকর্তা বা কর্মচারী নির্বাচনে প্রচার কাজে অংশ নিতে পারবেন না। কোন প্রার্থী তার নির্বাচনী এলাকায় সরকারী উন্নয়ন কর্মসূচীতে কর্তৃত্ব করতে পারবে না। কোন প্রার্থী তা তার পক্ষে অন্য কোন ব্যক্তি নির্বাচন বিধান লঙ্ঘন করলে অনধিক ছয় মাস কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয় দ-ে দ-িত হবেন। কোন রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীর পক্ষে কোন সংস্থা বা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন-পূর্ব সময়ে এই বিধিমালার কোন বিধাল লঙ্ঘন করতে অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবে।
×