ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মঞ্চে আসছে কিস্সা কাহিনীর ‘মহাবিদ্যা’

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১৫ নভেম্বর ২০১৬

মঞ্চে আসছে কিস্সা কাহিনীর ‘মহাবিদ্যা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকার মঞ্চে নতুন নাট্য সংগঠন কিসসা কাহিনী। প্রথম প্রযোজনা ‘সুখ চান্দের মোড়’ নাটকের মাধ্যমে আলোচনায় এসেছে দলটি। অচিরেই মঞ্চে আসছে দলের দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘মহাবিদ্যা’। দল সূত্রে জানা গেছে আগামী ১৮ নবেম্বর শুক্রবার বিকেলে মহিলা সমিতি মিলনায়তনে নাটকটির উদ্বোধনী মঞ্চায়ন হবে। একই দিন সন্ধ্যায় নাটকটির দ্বিতীয় মঞ্চায়ন হবে। এছাড়া পরদিন ১৯ নবেম্বর বিকেল ও সন্ধ্যায় নাটকটির আরও দুটি প্রদর্শনী হবে। কিসসা কাহিনীর দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘মহাবিদ্যা’ নাটকটি রচনা করেছেন মনোজমিত্র। নির্দেশনা দিয়েছেন দলের সিনিয়র সদস্য এনামতারা সাকী। নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবেন এনামতারা সাকী, মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, মোহাম্মদ শামীম মিয়া, আদনান অভি, মোঃ রাব্বী শেখ, মোঃ মেহেদী হাসান, তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, মাহবুব মালিতা, খোকন চন্দ্র দাস প্রমুখ। নাটকে নির্দেশনার পাশাপাশি পোশাক পরিকল্পনায় এনামতারা সাকী, সঙ্গীত অরূপ রাহী, আলোক পরিকল্পনায় শওকত হোসেন সজীব, আবহ ও শব্দ পরিকল্পনা মাহবুব মালিতা, গ্রাফিক্স ডিজাইন আদনান অভি, ব্যবস্থাপনায় মিজানুর রহমান, পোশাক পরিকল্পনা সহযোগী সিনথিয়া রহমান। নতুন নাটক প্রসঙ্গে নির্দেশক এনাম তারা সাকী বলেন, মনোজ মিত্রের নাটক ‘মহাবিদ্যা’ নিয়ে নির্দেশক হিসেবে আমি প্রথম মঞ্চে দাঁড়াতে যাচ্ছি। এই পা-ুলিপিটি খুবই জনপ্রিয় এবং বহুল মঞ্চয়িত। বলতে দ্বিধা নেই যে, প্রথম নির্দেশনায় আমি পান্ডুলিপির বিষয়ে খুব বেশি ঝুঁকি নিতে চাইনি। সহজ-সরল গল্প এবং শক্তিশালী বক্তব্যের একটা পা-ুলিপি হিসেবে ‘মহাবিদ্যা’ আমাকে আকৃষ্ট করেছে। ‘মহাবিদ্যা’ প্রযোজনার উপস্থাপনায় আমরা শুধুই নাট্যকারের পা-ুলিপির অনুগামী থাকতে চাইনি বরং নাট্যকারের পা-ুলিপির ওপর ভিত্তি করে একটি নির্দেশকের পা-ুলিপি নির্মাণের চেষ্টা করেছি। এ কারণেই নাটকে দুটি নতুন চরিত্র দেখা যাবে। যার একজন চোর এবং অন্যজন বাউল। নাটকে দেখা যাবে- নিশীথ রাতে এক গৃহস্থ বাড়িতে চুরি হচ্ছে। চোর একজন নয়, বেশ ক’জন। এই চোরের দলে দেশের সান্ত্রী, কোতোয়াল, দেওয়ান এমনকি রাজা পর্যন্ত আছেন। প্রত্যেক চোরের আবার চুরির যৌক্তিক কারণও রয়েছে। নাটকে ব্যক্তিকে নয় রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক বিধিকেই দায়ী করেছেন নাট্যকার। সমাজ-রাষ্ট্রের এই বিধি কেবল বর্তমান বাংলাদেশের নয়, যে কোন সময়ের যে কোন কালের। তাই এ নাটকের বক্তব্য শেষ পর্যন্ত কোন বিশেষ দেশ বা কাল নয় বরং সর্বকালের সর্বসময়ের হয়ে ওঠে। নিদের্শক সাকী আরও বলেন, প্রযোজনায় আমরা পুতুলনাট্য, ছায়ানাট্য, মুখোশনাট্য ইত্যাদি থেকে উপাদান সংগ্রহ করে নানাভাবে প্রয়োগ করেছি। এছাড়া সঙ্গীত শিল্পী অরূপ রাহীর ‘মরার দেশে ভাল লাগে না’ গানটিও ব্যবহার করেছি। তবে নাট্যনির্মাণে শুধু আমার একার চিন্তাই প্রতিফলিত হয়নি বরং মহড়া কক্ষ এবং এর বাইরে অভিনেতা ডিজাইনারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের আলোচনা-সমালোচনা-বিতর্কের ভিত্তিতে উপস্থাপিত চিন্তা-মতামত-ভাবনা ইত্যাদি যুক্ত করা হয়েছে। হাস্যরসাত্মক আবহে উপস্থাপিত কিসসা কাহিনীর দ্বিতীয় প্রযোজনা ‘মহাবিদ্যা’ দর্শকদের ভাল লাগবে বলে আমরা আশা রাখি।
×