ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

শচীন দেববর্মণ উৎসবে নৃত্যনাট্য ‘সাবিনা কইন্যার পালা’

প্রকাশিত: ০৫:১৩, ১৫ নভেম্বর ২০১৬

শচীন দেববর্মণ উৎসবে নৃত্যনাট্য ‘সাবিনা কইন্যার পালা’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ তারুণ্যের জোয়ারে ভাসছে হাসান। যৌবনের উচ্ছ্বাসে একান্ত করে ভালবাসে তার প্রেয়সী সাবিনাকে। তাদের প্রণয় কোন এক সময়ে বিবাহবন্ধনে রূপ নেয়। পেশাদারিত্বের তাগিদে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায় হাসান, কিন্তু প্রকৃতির করাল গ্রাসে মৃত্যু হয় তার। আর ফিরে আসে না সে। প্রাণের মানুষের বিয়োগ ব্যথায় কাতর হয়ে পড়ে সাবিনা। এমনই এক সাধারণ পরিবারের আনন্দ-বেদনার কাহিনী ফুটে উঠেছে ‘সাবিনা কইন্যার পালা’ নৃত্যনাট্যে। রবিবার শচীন দেববর্মণ সঙ্গীত ও নৃত্য উৎসবের শেষ সন্ধ্যায় বিশেষ আকর্ষণ ছিল ভারতের নৃত্য সংগঠন বহরমপুর কলাক্ষেত্রের এ নৃত্যনাট্য। শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীর শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে তিনদিনব্যাপী এ উৎসবের আয়োজন করে সাংস্কৃতিক সংগঠন বহ্নিশিখা। শেষ দিনের নৃত্যসন্ধ্যার উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ আলম সারোয়ার ও বাংলাদেশ নৃত্যশিল্পী সংস্থার সভাপতি মিনু হক। সভাপতিত্ব করেন শচীন দেববর্মণ সঙ্গীত উৎসব ও নৃত্যসন্ধ্যা উদ্যাপন পর্ষদের আহ্বায়ক, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে বসেছিল বাংলাদেশ এবং ভারতের কোলকাতা, ত্রিপুরা ও আসামের শিল্পীদের মিলনমেলা। উৎসবের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আইএফআইসি ব্যাংক লিমিটেড। শেষ সন্ধ্যায় আলোচকরা বলেন, কুমিল্লায় জন্মগ্রহণকারী শচীন দেববর্মণ বাংলার লোকসঙ্গীতের দূত। লোকগানের জনপ্রিয়তা ও প্রসারে তার ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ভারতের নৃত্যসংগঠন বহরমপুর কলাক্ষেত্রের নৃত্যনাট্য ‘সাবিনা কইন্যার পালা’ ছিল উপভোগ্য। নৃত্যনাট্যটি গ্রন্থনা অভিজিৎ সরকার এবং পরিচালনা করেছেন অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়া ছিল অসমের শিলচরের সৌমিত্র ডান্স গ্রুপের কোরিওগ্রাফি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘সহজপাঠ’ এবং সুকান্ত ভট্টাচার্যর ‘রানার’। নৃত্য পরিবেশন করেন আয়োজক সংগঠন বহ্নিশিখার শিল্পীরাও। নৃত্য পরিচালনা করেন সাহিদা রহমান সুরভী। উৎসবের তিন দিনই বাংলাদেশ ছাড়াও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, অসম এবং ত্রিপুরার সঙ্গীত ও নৃত্যশিল্পীরা অংশগ্রহণ করেন। এর আগে ১১ নবেম্বর সন্ধ্যায় তিন দিনব্যাপী উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
×