ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁয় ফসলি জমির মাটি বিক্রির হিড়িক

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ১৫ নভেম্বর ২০১৬

নওগাঁয় ফসলি জমির মাটি বিক্রির হিড়িক

বিশ্বজিৎ মনি, নওগাঁ ॥ বদলগাছী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলি জমির টপ সয়েল কেটে বিক্রির হিড়িক চলছে। জমির মালিকরা তাদের জমি ব্যবসায়ীদের কাছে ইজারা দিয়েছেন। এসব ব্যবসায়ী ফসলি জমির মাটি কেটে ইটভাঁটি মালিকদের কাছে বিক্রি করছেন। গভীর করে জমি থেকে মাটি কেটে তোলায় আশপাশের ফসলি জমিগুলোতে ধস দেখা দিয়েছে। এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকলে ফসলি মাঠগুলো খাল-বিলে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সরেজমিন স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দুই-তিন বছর ধরে উপজেলার কসবা গ্রামের ফসলি জমির মাটি কাটার হিড়িক চলছে। বর্তমানে মাঠের অনেক জমির শ্রেণী পরির্বতন করা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা। এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকলে অচিরেই ফসলি মাঠগুলো খাল-বিলে পরিণত হবে। এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কসবা গ্রামের ফসলি মাঠটিতে মাটি কাটার হিড়িক চলছে। গ্রামের মাঠটির ৮-১০টি স্থানে বিশাল অংশজুড়ে দুই-তিন ফসলি জমির মাটি গভীর করে কাটার কাজ চলছে। প্রতিটি স্থানেই একসঙ্গে ৫-৭টি ট্রাক্টর এসে মাটি নিয়ে যাচ্ছে। অবাধে ট্রাক্টর চলাচলের ফলে সাগরপুর থেকে কসবা গ্রাম পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, সেখানে ফসলি জমির মাটি প্রতি ট্রাক্টর এক শ’ বিশ টাকা করে বিক্রি দেয়া হয়। সেখানে গত দুই বছরে ৩ হাজার ৩শ’ ২২ ট্রাক্টর মাটি বিক্রির তথ্য জানা গেছে। ওই জমির মাটি গভীর করে তোলায় সেটি এখন খালে পরিণত হয়েছে। চলতি ইটভাঁটির মৌসুমে সেখান থেকে ফের মাটি কাটায় আশপাশের উচুঁ জমিগুলো ধসের হুমকিতে রয়েছে। বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান আলী বলেন, ফসলি মাঠে জমির মাটি কেটে বিক্রি দেয়ায় অন্য জমিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। জমির শ্রেণীও পরির্বতন হচ্ছে। বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী অফিসার হুসাইন শওকত বলেন, কসবা গ্রামে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জেনেছি। সেখানে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) যেতে বলা হয়েছে। প্রাইমএশিয়া ভার্সিটিতে কর্মশালা রবিবার, সকালে প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে ‘রিসার্স মেথড, টুল্স এ্যান্ড টেকনিক্স’ শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. গিয়াস উদ্দিন আহ্মদ প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেজারার এ. কে. এম. আশরাফুল হক। রিসোর্স পার্সন ছিলেন হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন। প্রাইমএশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আইকিউএসি-এর পরিচালক ড. হেলাল উদ্দিন কর্মশালায় কোর্স পরিচালক এবং অতিরিক্ত পরিচালক ড. শাহজালাল কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। -বিজ্ঞপ্তি
×