স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ নানা নাটকীয়তার পর অবশেষে শনিবার রাতে গ্রাম্য সালিশে দুই স্ত্রীকেই মেনে নিয়েছেন প্রবাসী যুবক সুমন হাওলাদার (৩৫)। ঘটনাটি জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের মাগুরা গ্রামের।
জানা গেছে, ওই গ্রামের নুর মোহাম্মদ হাওলাদারের পুত্র মালয়েশিয়া প্রবাসী সুমন হাওলাদার নয় বছর আগে একই এলাকার ছত্তার বেপারীর কন্যা রাবেয়া বেগমকে সামাজিকভাবে বিয়ে করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের সিয়াম নামের সাত বছরের এক পুত্র সন্তান রয়েছে। গত পাঁচ বছর আগে কর্মের সুবাদে সুমন মালয়েশিয়া গমনের পর তার পরিবারের সদস্যরা নির্যাতনের একপর্যায়ে রাবেয়াকে বাধ্য করে তার স্বামী সুমনকে ডির্ভোস দিতে। সেই থেকে (তিন বছর) পুত্র সন্তানসহ রাবেয়া তার বাবার বাড়িতে বসবাস করে আসছিল। সম্প্রতি সুমন ছুটিতে দেশে আসার পর তার পরিবারের লোকজনে তড়িঘড়ি করে পার্শ্ববর্তী গৌরনদী উপজেলার তাঁরাকুপি গ্রামের ইঙ্গুল বেপারীর কন্যা ঝুমা বেগমকে বিয়ে করায়। সূত্রমতে, দ্বিতীয় স্ত্রীসহ পরিবারের সবার অজান্তে সুমন গোপনে তার প্রথম স্ত্রী রাবেয়া বেগমকে পুনরায় বিয়ে করেন। বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।
এ নিয়ে রাজিহার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার, বার্থী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজাহান প্যাদা, ইউপি সদস্য বজলুর রহমান, খাইরুল আহসান খোকন, আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার বেগের উপস্থিতিতে শনিবার রাতে বার্থী বাজারে এক সালিশ বসে। বৈঠকে প্রবাসী সুমন হাওলাদার দুই স্ত্রীকে নিয়েই সংসার করার প্রস্তাব দেয়। ইউপি চেয়ারম্যান ইলিয়াস তালুকদার ও শাহজাহান প্যাদা জানান, সুমনের দুই স্ত্রীও একত্রে সংসার করার পক্ষে মতপ্রকাশ করেন। ফলে দুই স্ত্রীকে নিয়েই প্রবাসী সুমনের দাম্পত্য জীবন শুরু করার রায় ঘোষণা করা হয়।