প্রথম মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে জন কেরি শুক্রবার দক্ষিণ মেরু সফর করেন। বরফাচ্ছাদিত মহাদেশটি এই প্রথম যুক্তরাষ্ট্র সরকারের কোন কর্মকর্তার পদচারণা ঘটল। জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক ঝুঁকির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করা ছিল তার এ সফরের অন্যতম লক্ষ্য। খবর বিবিসি ও পিবিএস অনলাইনের।
জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে কেরি ইতোপূর্বেও কাজ করেছেন। মাত্র দু’সপ্তাহ আগেই তিনি বিশ্বের বৃহত্তম সংরক্ষিত সমুদ্রাঞ্চল বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক চুক্তি সম্পাদন করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে তার মেয়াদ ফুরানোর খুব বেশিদিন বাকি নেই। ২০ জানুয়ারি ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের কাছে তিনি দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন। দক্ষিণ মেরুতে যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাকমার্ডো গবেষণা কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর তিনি অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যম-িত ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালি পরিদর্শনে যান। খারাপ আবহাওয়ার জন্য দক্ষিণ মেরুতে তার এর আগের নির্ধারিত সফর বাতিল করতে হয়। ট্রাম্পের নির্বাচনে জয়লাভ সম্পর্কে কেরির বক্তব্য জানতে চাওয়া হলে তিনি এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি। শুক্রবার সকালে তিনি সেনাবাহিনীর একটি কার্গো প্লেনে করে দক্ষিণ মেরু এসে পৌঁছেন। ক্রাইস্টচার্চ থেকে ম্যাকমার্ডো পর্যন্ত এসে পৌঁছাতে তার সময় লাগে পাঁচ ঘণ্টা।
কার্বন নির্গমন সীমিত করে গত বছর প্যারিসে যে ঐতিহাসিক জলবায়ু চুক্তিটি হয়েছিল সে কথা উল্লেখ করে কেরি তার সঙ্গে আসা বিজ্ঞানী ও স্টাফদের উদ্দেশে বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক যুদ্ধে আমরা এখনও জিততে পারিনি।
এ বিষয়ে এখনও অনেক কিছু করার বাকি। এ কাজে আমাদের ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে সংশ্লিষ্ট করতে হবে।’ এর আগে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে অবস্থানকালে তিনি নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। কেরি বলেন, তিনি আশা করছেন কাল বিলম্ব না করে দায়িত্বভার হস্তান্তর করা হবে। কেবল রাজনৈতিক কারণেই জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে মার্কিন সরকারের নীতি পরিবর্তন করা ঠিক হবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।