ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকার দুই মেয়রকে প্রধান বিচারপতি

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা এলে বিচার বিভাগ আপনাদের সাহায্য দেবে

প্রকাশিত: ০৫:৩৪, ১৩ নভেম্বর ২০১৬

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধা এলে বিচার বিভাগ আপনাদের সাহায্য দেবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও গাইবান্ধার ঘটনা যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলাদেশ সুন্দরভাবে এগিয়ে চলেছে। এখানে গণতন্ত্র আছে, আইনের শাসন আছে। এই উন্নয়নের ধারা বাধাগ্রস্ত করতে কিছু দুষ্কৃতকারী জনগণের সম্পদ লুট করছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ভাল উদ্যোগ নিয়েছে। হাজারীবাগ থেকে বুড়িগঙ্গা পর্যন্ত ফুটপাট উচ্ছেদে হাত দিয়েছে। যারা সিটি কর্পোরেশনের জমি দখল করে রেখেছে সেগুলোসহ রাস্তাঘাটের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে যদি কোন প্রতিবন্ধকতা আসে, তাহলে আপনাদের (দুই মেয়রকে) জন্য বিচার বিভাগ হাত প্রসারিত করবে। শনিবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অর্থায়নে নারিন্দায় মাধব গৌড়ীয় মঠের ‘ভক্তি বিলাস তীর্থ ভবনের’ ৪র্থ ও ৫ম তলার নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেছেন তিনি। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, গাইবান্ধায় সাঁওতালদের ওপর যে হামলা চালানো হয়েছে, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে তারা অত্যন্ত গরিব সম্প্রদায়ের। আমি আশা রাখব যারা প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীতে আছেন তারা যদি একটু সচেতন হন তাহলে এই ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না। ধর্মীয় উপাসনালয়ে যাতে কোন আঘাত না আসে আপনারাও (দুই মেয়র) সেদিকে খেয়াল রাখবেন।’ বাংলাদেশে গণতন্ত্র ও আইনের শাসন আছে। এখানে কিছু লোক বেশ কিছু দিন ধরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা করছে। যারা ক্ষমতায় আছেন আমি তাদেরকেও বলছি, যারা ভিন্ন ধর্মাবলম্বী তাদের ধর্ম পালনে যেন বাধা না আসে। তাদের ধর্মীয় উপাসনালয় বানিয়ে দিই। কেউ কারও প্রতি যেন আঘাত না করি, মন্দির মসজিদে বাধা না দিই। তাদের সহাবস্থানে বাধা সৃষ্টি করব না। যারা এসব করছে তারা ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য করছে। ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক মুক্তির সংগ্রামে এগিয়ে যাচ্ছে। সকল ধর্ম চর্চার অধিকার রাখছে সরকার। এখানে ধর্ম যার যার, উৎসব হলো সবার। দেশে ধর্মনিরপেক্ষতা বিরাজমান রয়েছে। কিছু ক্ষুদ্র গোষ্ঠী রয়েছে যারা সাম্প্রদায়িকতাকে উস্কে দিচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। যাতে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত না করতে পারে। তারা চায় না বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়াক। তিনি আরও বলেন, যেখানে সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে সেখানে একসঙ্গে প্রতিহত করা হবে। ধর্মনিরপেক্ষতার চেতনায় এ দেশ এগিয়ে যাবে। মাধব গৌড়ীয় মঠের সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি গিরিধারী লাল মোদির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বিশেষ অতিথি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তাপস কুমার পাল, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মজুমদার, ইসকন মন্দিরের সভাপতি সত্যরঞ্জন বাড়ৈ, মঠের সাধারণ সম্পাদক উৎপল কুমার রায়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর, বিচারপতি সৌমেন্দ্র সরকার, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, সুপ্রীমকোর্টের আপীল বিভাগের রেজিস্ট্রার অনুরানাভ চক্রবর্তী সিনিয়র এ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীসহ অনেকে।
×