ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আওয়ামী লীগ রতিনিধি দল কাল যাচ্ছে

গাইবান্ধার ঘটনা তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৫:৪৯, ১২ নভেম্বর ২০১৬

গাইবান্ধার ঘটনা তদন্তে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে সাঁওতাল সম্প্রদায়ের ওপর হামলার ঘটনা সরেজমিন পরিদর্শনে আগামীকাল রবিবার সেখানে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এ ঘটনায় কারও দায় পাওয়া গেলে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দিয়েছে দলটি। শুক্রবার ধানম-িতে দলীয় সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ। প্রতিনিধি দলে থাকবেন দলটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক এমপি, রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক টিপু মুন্সি এমপি, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সুজিত রায় নন্দী ও কেন্দ্রীয় সদস্য রেমন্ড আরেং। সংবাদ সম্মেলনে মাহবুবউল আলম হানিফ এ প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনাটি জেনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। তাঁর পক্ষ থেকে তদন্তের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ঘটনা তদন্ত করতে রবিবার আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থলে যাবেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা সাঁওতাল সম্প্রদায়, সাধারণ গণমান্য ব্যক্তি ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং ঘটনার বিষয়ে খোঁজখবর নেবেন। গত ৬ নবেম্বর সংঘটিত সংঘর্ষের জের ধরে ওই এলাকায় যে অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের বিভিন্ন দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। বিএনপির সমাবেশ প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, রাজনীতিতে মিথ্যাচার ও শিষ্টাচার বহির্ভূত কাজকে যারা আদর্শ মনে করে সেই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন খালেদা জিয়া। মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছে আবেদন করা চিঠিতে বিএনপি সমাবেশের জন্য সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যান ও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনের কথা উল্লেখ করেছে। সে অনুযায়ী পুলিশ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সমাবেশের অনুমতি দেয়। কিন্তু বিএনপি থেকে বলা হচ্ছে তারা যেখানে সমাবেশ করতে চায় সেখানে তাদের দেয়া হচ্ছে না। এদেশের মিথ্যাচারের যে বড় তালিকা আছে এতে আরেকটি মিথ্যাচার যুক্ত হলো। তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্যান্টনমেন্টে যেসব দলের আবির্ভাব তাদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি প্রত্যাশা করা যায় না। আমি মনে করি দেশের মানুষ অতীতের মতো বিএনপির এই মিথ্যাচারকেও ষড়যন্ত্র হিসেবেই দেখবে। গণমাধ্যমকে দেয়া খালেদা জিয়ার সাক্ষাতকারের জবাবে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া দাবি করেছেন দেশের ভোটাধিকার নেই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সেই। কিন্তু আমি বলব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পৃথিবীর যে কোন দেশের চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ভাল। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সম্পাদকম-লীর সদস্য ফরিদুন্নাহার লাইলী, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, আবদুস সবুর, শামসুন নাহার চাঁপা, রোকেয়া সুলতানা, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, পারভীন জামান কল্পনা প্রমুখ।
×