ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফলনও ভাল

বন্যাসহিষ্ণু বিআর ৫২ জাতের ধান উদ্ভাবন

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১২ নভেম্বর ২০১৬

বন্যাসহিষ্ণু বিআর ৫২ জাতের ধান উদ্ভাবন

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ১১ নবেম্বর ॥ বন্যায় ধানক্ষেত পানির নিচে একটানা ১৪/১৫ দিন পর্যন্ত তলিয়ে থাকলেও ধানের কোন ক্ষতি হবে না বরং ক্ষেত থাকবে সজীব ফলনও হবে বাম্পার। এমনি এক বন্যা সহিঞ্চু বিআর ৫২ জাতের ধান উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা। রংপুরের বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা আরডিআরএস এই ধান চাষ করতে কৃষকদের বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে আসছে। আর এই ধান চাষ করে লাভবান হয়েছেন এখানকার কৃষকরা। ভলান্টিয়ার সার্ভিস ওভারকাম বাংলাদেশ ও সিনজেন্টার সহযোগিতায় আরডিআরএস রংপুর এটি বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রংপুরের লতিফপুর, ভাংনি, রানীপুকুর খাফ্রিখাল ও পায়রাবন্দ ইউনিয়নের একশত নয়টি কৃষক গ্রুপের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এই পাঁচটি ইউনিয়নের বন্যাকবলিত প্রায় ২০ হেক্টর নিচু জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়েছে কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের উদ্ভাবিত বিআর ৫২ ধান। সুবিধাভোগী কৃষকেরা জানান, এ ধানের চারা রোপণ করার পর বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছিল পুরো এলাকা। তলিয়ে গিয়েছিল ধানক্ষেত। ১২ দিন ধানক্ষেত তলিয়ে থাকার পর পানি সরে গেলে রোপণ করা ধান গাছ আগের মতো সজীব ও সতেজ ছিল। এ ভাবেই বন্যা সহিঞ্চু জাতের ধান চাষ করে অভাবনীয় সাফল্য পেয়েছে কৃষকরা। রংপুরের পায়রাবন্দ ইউনিয়নের বিশ্বনাথপুর পশ্চিম পাড়া গ্রামে শুক্রবার বিআর ৫২ ধানের কাটা মাড়াই উপলক্ষে আয়োজিত মাঠ দিবসে কৃষকরা জানান, তাদের জমিতে বিঘা প্রতি ১৬/১৭ মণ ধান ফলেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ফয়জার রহমান জানান, বিআর ৫২ ধান বন্যা প্রবণ এ অঞ্চলের জন্য উপযোগী। এর ফলনও ভাল চারা রোপণ থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১৩৫ দিনে ধান কাটা যায়। কৃষি বিশেষজ্ঞ ফারজান আহাম্মেদ জানান, বিআর ৫২ জাতের বন্যা সহিঞ্চু ধান কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীদের অন্যন্য সাফল্য। এ ক্ষেত বন্যার পানিতে দুই সপ্তাহ তলিয়ে থাকলেও ক্ষেতের যেমন ক্ষতি হবে না তেমনি ফলনও কম হবে না। আরডিআরএসের ফিল্ড ফেসিলিটেটর ফারুক ম-ল জানান, বন্যা সহিষ্ণু বিআর ৫২ জাতের ধান বন্যা কবলিত এলাকার কৃষকদের আশীর্বাদ হিসেবে দেখা দিয়েছে। সে কারণে কৃষকদের এ ধান চাষে আরও উৎসাহিত করা হবে ।
×