ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

আকিল জামান ইনু

আভিজাত্য ও ফ্যাশনে ঘড়ি

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১১ নভেম্বর ২০১৬

আভিজাত্য ও ফ্যাশনে ঘড়ি

প্রবাদ আছে ঘড়ির কাঁটায় দুনিয়া ঘোড়ে। সময়কে ধরে রাখার সবচেয়ে বিস্ময়কর ধারণা ঘড়ি আবিষ্কার। আবিষ্কারের পর থেকে বার বার রূপ বদলেছে ঘড়ির। সেই চেনসহ পকেট ঘড়ি থেকে রিস্ট ওয়াচ, টেবিল ঘড়ি, দেয়াল ঘড়ি থেকে হালের ইলেকট্রনিক্স ঘড়ি পর্যন্ত। তৈরির উপকরণেও এসেছে ব্যাপক পরিবর্তন ধাতু থেকে প্লাস্টিক পর্যন্ত। হালের ইলেকট্রনিক্স ঘড়ি বা সস্তা উপকরণের ধাতব ঘড়ি এখন ক্রেতার আয়ত্তের মধ্যে। এক সময় আভিজাত্যের প্রতীক ঘড়ি এখন নিতান্ত প্রয়োজনীয় সামগ্রী। ঘড়ি নিয়ে আছে বিস্তর ঐতিহাসিক ঘটনা, অঘটনও কম নয়, সহজলভ্য হলেও কিছু প্রতিষ্ঠানের তৈরি ঘড়ি এখনও আভিজাত্যের প্রতীক হয়েই আছে। আর আপনার ফ্যাশন স্টেটমেন্টসও ঘড়িকে অবহেলা করার উপায় নেই। ঘড়ি আপনার স্টাইল আউটফিটে যোগ করতে পারে নতুন মাত্রা। আভিজাত্যও ফ্যাশন আইকন বলে বিবেচিত তিনটি ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের তথ্য দেয়া হলো নিচে। ফেভার লুইবা : সুইজারল্যান্ডের জাগে এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠা ১৩ মার্চ ১৭৩৭। ঘড়ি নির্মাতা আব্রাহাম ফেভার এটি প্রথম প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে আব্রাহাম ফেভার ও তার দুই ছেলে ফ্রেডারিক ও হেনরি লুইস ১৭৯২-এ নতুন নাম করেন এ ফেভার এ্যান্ড ফিলস। সেই থেকে তারা মূল কোম্পানির অধীনে ফেভার লুইবা নামে ঘড়ি বাজারজাত করে আসছেন। ঘড়ি শিল্পে আব্রাহাম ফেভার ও তার দুই সন্তানের অবদান অসীম। প্রথম থেকেই তারা ঘড়ির সৌন্দর্য ও নিখুঁত সময় দানের ওপর জোর দিয়ে আসছেন। বলা হয় তাদের হাতেই ঘড়ি নিখুঁত রূপ পায়। জিজাইনের বৈচিত্র্য, টেকসই আর ঐতিহ্য নিয়ে ফেভার লুইবা ঘড়ি আজ ঘড়িপ্রেমীদের স্বপ্ন। রোলেক্স : রোলেক্স এসএ আজ সারা বিশ্বে পরিচিত ল্যাক্সারী সুইস ঘড়ি নির্মাতা হিসেবে। কোম্পানির প্রতিষ্ঠাস্থল কিন্তু লন্ডন, ইংল্যান্ড। ১৯০৫ সালে এ কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন হ্যান্স ইউলসডর্ফ এবং আলফ্রেড ডেভিস। ১৯১৯ এ কোম্পানিটি সুইজারল্যান্ডের জেনেভাতে স্থানান্তরিত হয়। ফোর্বস ম্যাগাজিন তাদের ১৯১৬ তে প্রকাশিত সারাবিশ্বে সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্র্যান্ডের তালিকায় রোলেক্সকে রেখেছে ৬৪নং স্থানে। বর্তমানে কোম্পানিটি কোন বাণিজ্যিক কর না দিয়েই একটি ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হয়। রোলেক্স প্রতিদিন ২০০০ গড়ি উৎপাদন করে। বর্তমানে রোলেক্স সারা বিশ্বে স্ট্যাটাস সিম্বল বলে বিবেচিত। রাডো : সুইস ঘড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রাডো যার সদর দফতর সুইজারল্যান্ডের লেংগুনাউয়ে। বলা হয় ঘড়িতে স্ক্র্যাচ প্রুফ ধাতু ব্যবহারের পথ প্রদর্শক রাডো। প্রতিবছর কোম্পানিটি ৫ লাখের বেশি ঘড়ি উৎপাদন করে থাকে। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানের কর্মী সংস্থা ৪৭০। রাডো তাদের ঘড়ি ১১৫টি দেশে ৫ হাজার ৯০০ বিক্রয় কেন্দ্রের মাধ্যমে বিক্রি করে থাকে। ঘড়িতে টাংস্টেন এবং টাইটেনিয়া কার্বাইড ব্যবহারের পথ প্রদর্শকও রাডো। গুণগত মান নিশ্চিত করেই রাডো আজ ফ্যাশন দুনিয়ায় ঘড়ির অন্যতম আইকন।
×