ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

বরিশালে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ১০

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১১ নভেম্বর ২০১৬

বরিশালে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ আহত ১০

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বুধবার রাতে বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষে সাবেক দুই ইউপি চেয়ারম্যানসহ ১০ জন আহত হয়েছে। এ সময় দুটি মোটরসাইকেল ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান ও সদস্য খলিলুর রহমান সিকদারের সমর্থকদের মধ্যে উপজেলার কাঠেরপুলে এ সংঘর্ঘের ঘটনা ঘটে। তবে সাবেক এমপি আবুল হোসেন খান অভিযোগ করেন, দলীয় লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়নি। ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা পুলিশের ছাত্রছায়ায় বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। অপরদিকে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খলিলুর রহমান সিকদার বলেন, ফরিদপুর ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি গঠন উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে সভা আহ্বান না করে আবুল হোসেন তার নিজ বাসায় নেতাকর্মীদের আসতে বলেন। তিনি অভিযোগ করেন, আবুল হোসেন চক্রান্ত করে পকেট কমিটি গঠন করার জন্যই তার বাসায় সভা আহ্বান করেন। সভায় তার ঘরানার বাইরে কাউকে দাওয়াত দেয়া হয়নি। এতে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ হন। সূত্রমতে, সাবেক এমপি আবুল হোসেন খানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি মিজানুর রহমান চুন্নু ও উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক কামরুজ্জামান মিজান ও তাদের সহযোগীরা রাত সাড়ে নয়টার দিকে মোটরসাইকেলে সভা শেষ করে ফিরছিলেন। পথে কাঠেরপুলে পৌঁছলে বিএনপির ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর হামলা চালায়। চসিকের ব্যবস্থাপনায় ৮১ তীর্থযাত্রীর ভারত যাত্রা স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ব্যবস্থাপনায় ভারতের উদ্দেশে চট্টগ্রাম ত্যাগ করেছেন ৭১ তীর্থযাত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে নগর ভবনের বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে তারা তীর্থ দর্শনের উদ্দেশে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা করেন। আগামী ৩ ডিসেম্বর তারা দেশে ফিরে আসবেন। চসিক সূত্রে জানানো হয়, সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানে সনাতন ধর্মীয় নেতা এ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার তীর্থ যাত্রীদের সফলতা কামনা করে বলেন, বাংলাদেশ ও ভারত বন্ধুপ্রতিম দেশ। দু’দেশের সাধারণ জনগণ অসাম্প্রদায়িক ও শান্তিপ্রিয়। উভয় দেশের কিছু কিছু ধর্মীয় স্থান রয়েছে। বিশেষ করে ভারতের দর্শনীয় স্থান ও তীর্থস্থানগুলো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তীর্থ দর্শনের মধ্যেদিয়ে উভয় দেশের সম্প্রীতির বন্ধন আরও সূদৃঢ় হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কমিটির আহ্বায়ক ও কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, প্রকৌশলী সুদিব বসাক ও তীর্থ পরিচালনা পরিষদের সদস্য সচিব লায়ন আশিষ কুমার ভট্টাচার্য প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, সনাতন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের তীর্থ যাত্রীগণ ভারতের হর কি প্যায়ারি ঘাট-হরিদ্বার, মথুরা, বৃন্দাবন-গোবর্ধন, বুদ্ধগয়া, আগ্রার তাজমহল, হরিদ্বার গঙ্গা আরতী ও স্থান, হরিদ্বার, দিল্লী লোটাস টেম্পল, কাশী (বেনারস) শ্রী দশাশ্বমেধ ঘাট, গয়া-ফল্লু নদীতে পিন্ডদান, পুস্কর, ব্রক্ষকুন্ড, দিল্লী গেইট, কাশী-রাজা হরিশ্চন্দ্র ঘাট, আজমীর শরীফ, বৃন্দাবন নিকুঞ্জবন ভ্রমণ করবেন।
×