ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

যশোরে কৃষি বিভাগের সরকারী ভবন দখল হয়ে যাচ্ছে

প্রকাশিত: ০৪:১৯, ১১ নভেম্বর ২০১৬

যশোরে কৃষি বিভাগের সরকারী ভবন দখল হয়ে যাচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ সদর উপজেলায় কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী অফিসারদের কোয়ার্টারগুলো বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে বেদখলকৃত কোয়ার্টারগুলো ভেঙ্গে ফেলাও শুরু হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, এই বেআইনী কাজ ঠেকাতে এখন কৃষি বিভাগকে মামলা-মোকদ্দমা করে বেড়াতে হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, কৃষি প্রযুক্তিকে কৃষকের হাতের কাছে পৌঁছে দিতে ১৯৬১ সালে দেশে চার হাজার বীজাগার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। মাত্র এক বছরের মধ্যে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হয়। ডেপুটি কমিশনারদের দানকৃত অথবা অধিকৃত জমিতে গণপূর্ত বিভাগের মাধ্যমে এই বীজাগার নির্মাণ করা হয় বলে জানা গেছে। ১৯৮১ সালের দিকে সরকারী সিদ্ধান্তে বীজাগারগুলেকে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের কোয়ার্টারে রূপান্তরিত করা হয়। আধুনিক পদ্ধতিতে উচ্চ ফলনশীল ফসল চাষাবাদ সম্প্রসারণে এখান থেকে কৃষি অফিসাররা কৃষকদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করতেন। কিন্তু ১৯৯৪-৯৫ সালে ভূমি জরিপের সময় এক শ্রেণীর ধুরন্ধর ইউপি চেয়ারম্যান বীজাগার/উপ-সহকারী কৃষি অফিসারদের কোয়ার্টারের জমি ইউনিয়ন পরিষদের নামে রেকর্ড করিয়ে নেন। কৃষি বিভাগের অবহেলার কারণে এই বেআইনী কাজটি হয় বলে সংশ্লিষ্ট অনেকে অভিযোগ করেছেন। এদিকে জমি জরিপের পর মূল রেকর্ড প্রকাশ হওয়ায় ওইসব ইউপি চেয়ারম্যানরা কৃষি অফিসগুলো দখল করে নিচ্ছে। ইতোমধ্যে চুড়ামনকাটি অফিসটি দখল করে নিয়ে তা ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। ভাঙ্গার কাজ চলছে বারীনগর অফিসটি। আর নরেন্দ্রপুর অফিসটি ভাঙ্গা হবে বলে ঘর ছাড়তে উপ-সহকারী কৃষি অফিসারকে ছাপ-ছাফ বলে দিয়েছে। এ বিষয়ে যশোর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার খালিদ সাইফুল্লাহ জানান, সরকারী ভবন একতরফাভাবে ভাঙ্গা বেআইনী। এ বিষয়টি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের ডিজিকে জানানো হয়েছে। বারীনগরের ঘটনায় মামলাও হয়েছে বলে তিনি জানান। তিনি জানান, ভবনগুলো উদ্ধার করে সীমানা প্রাচীর দেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে।
×