স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ সিরাজদিখান উপজেলায় পদ্মার শাখা নদী তালতলা ডহরি নাটেশ্বর গ্রামের সামনে অবৈধভাবে বালু কাটা চলছেই। জেলার প্রভাবশালী ব্যক্তিরা এসব নিয়ন্ত্রণ করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে নদী থেকে বালু কাটায় হুমকির মুখে পড়েছে নদী তীরবর্তী এলাকার জমি, ঘরবাড়ি ও স্থাপনা। বুধবার দেখা গেছে, ঢাকা-ডহরি, সূবচনী তালতলা, নাটেশ্বর দক্ষিণপাড়া, নাটেশ্বর দাসপাড়া ও মালখানগর ইউনিয়নের ওইসব ঘাট পর্যন্ত আটটি স্থান থেকে বালু কাটা হচ্ছে। পার্শ¦বর্তী টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সিলিমপুর ইউনিয়নের লাবু শিকদার, কাইচাইল এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ছোবাহান হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী মহল বেশির ভাগ স্থান থেকে বালু কাটা নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ছোবাহান হাওলাদার বালু কাটার কথা স্বীকার করে বলেন আমি শুধু বালু কাটার দেখভাল করছি। আমি বালু কাটছি না। বালু কাটার কাগজপত্র ফুলন মেম্বার ও জাহাঙ্গীরের কাছে আছে। ওরা বৈধভাবেই ড্রেজার দিয়ে বালু কাটছে। মালখানগর ইউনিয়নের সাবেক ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য মৃত আউয়াল মোল্লার স্ত্রী নাজমা বেগম বলেন প্রতিবছর বর্ষায় ড্রেজার দিয়ে এবং নদী শুকিয়ে গেলে শত শত ট্রাক্টর-মালিক এখান থেকে বালু কেটে নিয়ে যান। এটা টঙ্গীবাড়ী উপজেলার সিলিমপুর ইউনিয়নের লাবু শিকদার, কাইচাইল এলাকার সাবেক ইউপি সদস্য ছোবাহান হাওলাদারের নেতৃত্বে একটি প্রভাবশালী মহলের পক্ষে কিছু লোকের মাধ্যমে এগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। মালখানগর ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আলামীন মোল্লাসহ এলাকার বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, শুধু শুকিয়ে যাওয়া নদীর মাটিই নয়, জমির নিচ থেকে ইচ্ছা মতো নদীপাড়ের বালু মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। এ কারণে আশপাশের ফসলি জমি ও মুন্সীগঞ্জ সিরাজদিখান সংযোগ কু-লী বাজারের সেতু হুমকির মুখে পড়েছে, নষ্ট হচ্ছে রাস্তাঘাট।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: