ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

চার ব্যাংকের ১২ লাখ রুপী ফেরত দেবে বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ১১ নভেম্বর ২০১৬

চার ব্যাংকের ১২ লাখ রুপী ফেরত দেবে বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে ৫শ’ ও হাজার রুপীর যেসব নোট রয়েছে সেগুলো এক্সচেঞ্জ করবে সোনালী ব্যাংক। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে সোনালী ব্যাংককে এ বিষয়ে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে এটি লিখিত আকারে ব্যাংকগুলোকে জানানো হবে বলেও জানা গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা এবং রূপালী ব্যাংকের কাছে ৫শ’ ও হাজার রুপীর নোট রয়েছে। যার মূল্যমান প্রায় ১২ লাখ রুপীর সমান। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রয়েছে সোনালী ও অগ্রণীর কাছে। এ দুটি ব্যাংকের কাছে রয়েছে যথাক্রমে প্রায় ৪ লাখ ও ৩ লাখ রুপী। সবগুলো রুপী একসঙ্গে করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক সোনালী ব্যাংককে নির্দেশনা দিয়েছে। সোনালীর একজন মহাব্যবস্থাপক পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে। তিনি অন্য তিনটি ব্যাংকের কাছ থেকে নোটগুলো সংগ্রহ করবে। এরপর ব্যাংকটির শিলিগুড়ি শাখার মাধ্যমে নোটগুলো নির্ধারিত সময়ে সেখান থেকে এক্সচেঞ্জ করা হবে। এ নির্দেশনা প্রদানের পূর্বে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জনকণ্ঠকে বলেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার সময় সাধারণত ট্রাভেল কোটায় অনেকে রুপী সংগ্রহ করেন। ট্রাভেল কোটায় খুব বেশি পরিমাণ রুপী নেয়া যায় না। ফলে দেশে বৈধ রুপীর পরিমাণ বেশি না। বাতিলকৃত ৫০০ ও ১০০০ রুপীর নোট বিনিময় (এক্সচেঞ্জ) করার জন্য কোন ব্যবস্থা নেয়া যায় কিন সে বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ। তবে অবৈধ প্রক্রিয়া কেউ যদি রুপী সংগ্রহ করে থাকে তবে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু করণীয় নেই বলে জানান মুখপাত্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক উর্ধতন কর্মকর্তা জানায়, যাদের হাতে রুপী রয়েছে তারা যেসব জায়গা থেকে তা কালেক্ট করেছে সেখানেই একচেঞ্জ করতে হবে। কারণ তারা তো সেগুলো ব্যাংকে দিতে পারবে না। এর বিকল্প কোন পথ নেই। এদিকে সোনালী ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, টাকাগুলো এক্সচেঞ্জ করার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি অনাপত্তিপত্র নিতে হবে। এর সে নোটগুলোর আবার বীমা করতে হবে। তারপর সেগুলো সংশ্লিষ্ট শাখায় পাঠানো হবে। প্রক্রিয়াটি একটু লম্বা। এদিকে রাজধানীর মতিঝিলের খোলাবাজারে বৈদেশিক মুদ্রার কেনাবেচা করেন এমন একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জনকণ্ঠকে বলেন, আমার কাছে প্রায় ৭৯ হাজারের মতো নোট ছিল, যা আমি ৮০ পয়সা করে বিক্রি করেছি। আজকের বাজার দরে ১ রুপী মূল্যমান ছিল ১ টাকা ২০-২১ পয়সা। তিনি জানান, অনেকেই তাদের কাছে থাকা রুপী বিক্রির জন্য তাদের কাছে নিয়মিত যোগাযোগ করছেন। উল্লেখ্য, জাল নোট এবং কালো রুপীর বিস্তার রোধের কারণ দেখিয়ে গত মঙ্গলবার ৫০০ ও ১০০০ রুপীর নোট বাতিলের ঘোষণা দেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঘোষণা অনুযায়ী পর্যটকরা ভারতের যে কোন ব্যাংকে গিয়ে ১১ নবেম্বর তারিখের পর নির্ধারিত ফরম নিয়ে তা পূরণ করে রুপী পরিবর্তন করে নিতে পারবেন। আর ৩০ ডিসেম্বরের পর শুধু রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বাতিল হওয়া নোট নেবে।
×