ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ড. আর এম দেবনাথ

ট্রাম্পের আমেরিকা বিজয় ॥ অর্থনীতিতে বিশ্বায়ন নীতি কি বর্জিত হবে?

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ১১ নভেম্বর ২০১৬

ট্রাম্পের আমেরিকা বিজয় ॥ অর্থনীতিতে বিশ্বায়ন নীতি কি বর্জিত হবে?

গত মঙ্গলবার বাংলাদেশের তাবত মানুষকে তো বটেই, এমনকি সারা বিশ্বের মানুষকে অবাক করে দিয়ে বিশ্বের এক নম্বর ধনী ও অর্থনীতির দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ডোনান্ড ট্রাম্প। তার নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মিডিয়ার সমস্ত ভবিষ্যদ্বাণী এক কথায় মিথ্যায় পর্যবসিত হলো। তা হোক, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রীয় এই অভাবনীয় ঘটনায় বিশ্বের কী লাভ বা ক্ষতি এটাই হচ্ছে এখন মূল প্রশ্ন। বলাবাহুল্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সাধারণ কোন ঘটনা নয়। এই নির্বাচনের রয়েছে বৈশ্বিক রাজনৈতিক, কূটনৈতিক এবং অর্থনৈতিক গুরুত্ব। আমি ট্রাম্পের বিজয়ে আমার কলামে সংক্ষিপ্তভাবে শুধু অর্থনৈতিক গুরুত্বটুকু তুলে ধরে সময় হলে দেশীয় বিষয়ে আলোচনা করার ইচ্ছা পোষণ করি। নির্বাচনে প্রচারের সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প যে যে বিষয়ের ওপর কথা বলেছেন, অঙ্গীকার করেছেন সেসব বিষয়ের একটা বিশ্লেষণ করলে বোঝা যায় তিনি ‘গ্লোবালাইজেশন’ বা বাণিজ্যের বিশ্বায়নের বেশ বিরোধী, অথচ সারা বিশ্ব, বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকসহ পুরো দুনিয়া এই ‘বিশ্বায়ন নীতির’ নীতি অনুসরণ করে চলছে কম পক্ষে দুই দশক ধরে। বাণিজ্য, অর্থনীতি, যোগাযোগ ইত্যাদির সবই এখন ‘বিশ্বায়ন নীতির’ অধীন। বিশ্বের এক দেশ থেকে অন্য দেশে মাল যাচ্ছে, কোন বাধা নেই। এর জন্য গড়ে তোলা হচ্ছে বিশাল বিশাল অবকাঠামো। রাস্তাঘাট, রেললাইন ও নদীপথে যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে বিশাল বাণিজ্য বহরের চাহিদা মেটানোর জন্য। সর্বশেষ চীনের উদ্যোগে ‘ওয়ান বেল্ট, ওয়ান রোড’ও একই উদ্দেশ্যে গড়ে তোলা হচ্ছে। সারা পৃথিবীর বীমা ও ব্যাংকগুলো চলছে একই নীতির অনুসরণ করে। ‘ক্যাপিটেল ফ্লো’ করছে প্রায় অবাধে। এখন ২০১৬ সালে এসে দেখা যাচ্ছে যে দেশ ‘বিশ্বায়ন’ বা অবাধ পুঁজিবাদী বিকাশের মূল উদ্যোক্তা ও মদদদাতা সেই যুক্তরাষ্ট্রই বেঁকে বসেছে। তার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যিনি জানুয়ারির দিকে ক্ষমতার শপথ নেবেন তিনি প্রকাশ্যে যা বলছেন তা ‘বিশ্বায়ন নীতির’ ঘোরতর বিরোধী। যেমন তিনি ‘টিপিপি’ (ট্রান্স প্যাসিফিক পাটনারশিপ এগ্রিমেন্ট) এর বিরোধী। এই চুক্তিটি যুক্তরাষ্ট্র এবং ১১টি দেশের মধ্যে সই হয়েছে যা এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মতিপ্রাপ্ত বা র‌্যাটিফাই হয়নি। এর অধীনে বারোটি দেশের মধ্যে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য হওয়ার কথা। এসব দেশের মধ্যে রয়েছে ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, চিলি ইত্যাদি দেশও। ট্রাম্প বলছেন, তিনি এই চুক্তি মানেন না। কারণ তার ধারণা, এতে যুক্তরাষ্ট্রে বেকারত্ব বাড়ছে, সস্তা শ্রমের নামে চাকরি চলে যাচ্ছে বিদেশে। তিনি আরেকটি চুক্তি ‘ট্রান্স-আটলান্টিক ট্রেড এ্যাড ইনভেস্টমেন্ট পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (টিটিআইপি)’-এরও বিরোধী। এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে হওয়ার কথা। মুক্ত বাণিজ্যের জন্য কিন্তু ট্রাম্প এর বিরোধী। ‘নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট’ (নাফটা) বলে আরেকটি চুক্তি আছে আমেরিকার সঙ্গে উত্তর আমেরিকার দেশগুলোর, ট্রাম্প সেই চুক্তিও নতুনভাবে লিখতে চান। একই অভিযোগ, এসব মুক্তবাণিজ্য চুক্তি আমেরিকানদের বেকার করছে। এখানেই শেষ নয়। তিনি চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে কঠোর হওয়ার কথা বলেছেন তার নির্বাচনী প্রচারণায়। তিনি বলেছেন, চীনের মুদ্রা ‘ইউয়ান’ অবমূল্যায়িত অর্থাৎ চীনা মুদ্রার দাম কম এবং তা কম রাখা হয়েছে ইচ্ছা করে। চীনের মুদ্রার দাম কম থাকার ফলে চীনের মাল অবারিতভাবে ঢুকছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। চীনের বাণিজ্য যুক্তরাষ্ট্রে হচ্ছে রমরমা। যুক্তরাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। চীন এই বাণিজ্য করে বিশাল সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে। চীনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি আকাশসম। চীনকে তাই ট্রাম্প বলেছেন, ‘কারেন্সি ম্যানিপুলেটর’। এই বিবাদ দীর্ঘদিনের। যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা তার চীন সফরকালে ঐতিহাসিক একটি উপদেশ চীনকে দিয়েছিলেন। তিনি চীনকে বলেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর নির্ভর করে চীনের অগ্রগতি করলে চলবে না। চীনের উচিত নিজের দেশে বাজার গড়ে তোলা। অর্থাৎ অভ্যন্তরীণ বাজার গড়ে না তোলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারের ওপর নির্ভরশীল হলে তা হবে আত্মঘাতী। বলা বাহুল্য, দুনিয়ার এক নম্বর ধনী দেশের বাজারের ওপর চীনের এই প্রভাব চীনকে করেছে অকল্পনীয়ভাবে ধনী যার লক্ষণ এখন সর্বত্র। চীন আমেরিকার বাজারই শুধু দখল করেনি, আমেরিকায় জমিজমা কিনছে, আমেরিকাকে ঋণ দিচ্ছে, আমেরিকায় বিনিয়োগ করছে সর্বত্র চীন। এসব দেখে আমেরিকানরা অবাক। ট্রাম্প তাই হয়েছেন জাতীয়তাবাদী। তিনি একে বলছেন অগৌরবের বিষয়। তাই তিনি নতুন আমেরিকা গড়ে তুলতে চান, যাতে বিদেশীরা বাজার দখল করতে না পারে, যাতে আমেরিকানদের চাকরি না যায়। তাই তিনি বলেছেন চীনের মালের আমদানির ওপর ৪৫ শতাংশ কর বসাবেন। তিনি চীনের সঙ্গে ‘ব্যালেন্সড ট্রেড’ চান। চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজার খুলে দিতে তিনি রাজি নন। তিনি মনে করেন চীনের মাল যুক্তরাষ্ট্রের ‘দুঃখ’। তিনি ‘মেক্সিকান’ মালেরও বিরুদ্ধে। মেক্সিকানরা দলে দলে আমেরিকা ঢুকুক সেটাও তিনি চান না। এটা আবার অভিবাসন নীতির মধ্যে পড়ে। যুক্তরাষ্ট্রের অবৈধ অভিবাসীদের দফায় দফায় বৈধ করে নেয়ার বিপক্ষে তিনি। এতে মার্কিনীদের কর্মসংস্থান হয় না। মার্কিনীদের মধ্যে বেকারত্ব বাড়ে। তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ১৯৯৬ সালের পর থেকে আজ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে মার্কিনীদের প্রকৃত মজুরি এক ছটাকও বাড়েনি। তারা ২০ বছর আগে মজুরির দিক থেকে যেখানে ছিল আজও সেখানে। বাইরের মালের অবাধ প্রবেশ এবং টেকনোলজি পরিবর্তনের ফলে মার্কিনীরা হয়ে পড়ছে কর্মহীন। ট্রাম্প এই গভীর ক্ষতকেই সামনে নিয়ে এসেছেন। তিনি ‘মিডিয়াকে’ দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আখ্যায়িত করেছেন, আমেরিকান ‘এস্টাব্লিসমেন্ট’কে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে আখ্যায়িত করেছেন। ট্রাম্প মার্কিনীদের দুঃখের কথা না বলার জন্য ‘মিডিয়া’ এর এস্টাব্লিসমেন্টকে দোষারোপ করেছেন। উদারীকরণের বিশ্বায়নের ফলে আমেরিকার লোকজনদের যে কর্মহীন হতে হচ্ছে এবং বিপরীতে চাকরির সুযোগ পাচ্ছে চীন এবং অন্যান্য রফতানিকারক দেশগুলোতে সেই কথাই ট্রাম্প বলেছেন। এই প্রেক্ষাপটে তিনি মেক্সিকোর মানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা চান। অবাধ বাণিজ্য নয়। ট্রাম্প বলছেন মেক্সিকান মাল আমেরিকায় ঢুকবে, কিন্তু কর দিতে হবে ৩৫ শতাংশ। এদিকে দেশের ভেতরে ট্রাম্প কর সংস্কার করবেন বলে তার নির্বাচনী-প্রচারণার সময় বলেছেন তিনি ধনীদের কর কমাবেন, কর্পোরেট ট্যাক্স কমাবেন বলে অঙ্গীকার করেছেন। বেতন-ভাতা বাড়াবেন না। এমনকী চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রেও তিনি কঠোর হওয়ার অঙ্গীকার করেছেন। আমদানি বাণিজ্যের ক্ষেত্রে তিনি যেমন রক্ষণশীল হবেন, তেমনি অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে তাকে দেখা যাবে রক্ষণশীল হিসেবে বিশ্বের অনেক অর্থনৈতিক ইস্যুতেই ট্রাম্প হতে চান রক্ষণশীল। পরিবেশ, অভিবাসন, সারাবিশ্বে মার্কিনী অভিভাবকত্ব ইত্যাদি বিষয়ে ট্রাম্প কড়া নীতি অবলম্বন করবেন। আন্তর্জাতিক সংস্থা যেখানে মার্কিনীদের প্রভাব রয়েছে, সেগুলোকে তিনি নতুন চোখে দেখবেন বলে জানিয়েছেন। দৃশ্যত তিনি মনে হয় চীনের ‘ওয়ান বেস্ট, ওয়ান রোড’ নীতিরও বিরুদ্ধে। সংক্ষেপে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে ট্রাম্পের প্রচারের বিষয়গুলো ওপরে তুলে ধরা হলো। এখন আগামী দিনে তিনি কী করেন তাই দেখার বিষয়। দেখার বিষয় এই কারণে যে, এসব বিষয় শেষ পর্যন্ত কোন দেশকেন্দ্রিক ঘটনা থাকবে না। বিশ্ব আজ বেশ অনেকটাই ‘গ্লোবালাইজড’। এর মধ্যে ট্রাম্প যেভাবে জল ঢাললেন তার ফলাফল বিশ্বের জন্য কী হবে তা আগামী দিন দেখতে হবে। বিশ্বায়নের ফলে সারা বিশ্ব আজ কম্পমান। বৈশ্বিকভাবে এবং দেশে দেশে বিশ্বায়ন যে অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে অনেকটাই দ্রুততর করেছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। পূর্ব এশীয় এবং এশীয় দেশগুলোর উত্থান ঘটেছে। জাপান পেছনে পড়েছে। চীনের উত্থান ঘটেছে, বলা যায় নাটকীয় উত্থান। উত্থান ঘটেছে ভারতের অর্থাবস্থার। ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, কোরিয়া ইত্যাদি দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়নের এক ধরনের জোয়ার বইছে। বিশ্বের দেশগুলো বিশ্বায়নের সুযোগ নেয়ার জন্য নামা ট্রেড ও ইকোনমিক ব্লক তৈরি করেছে এবং করছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম হয়। আমরা ‘সার্কের’ সদস্য ‘বিমসটেকের’ সদস্য, ‘বিবিএনের’ সদস্য। নানা দেশের সঙ্গে আমাদের রয়েছে বাণিজ্যিক সম্পর্ক। আমরা ৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছি যা ঈর্ষণীয় একটা ঘটনা। এটা এশীয় অনেক দেশের জন্যই প্রযোজ্য। বলা হয় এসব সম্ভব হয়েছে ‘বিশ্বায়নের’ ফলে, অবাধ বাণিজ্যের ফলে। এই ধরনের উপসংহারের বিরুদ্ধে বলার কিছু নেই। কিন্তু পাশাপাশি যে কথাটি এখন দিনের আলোর মতো সত্য তা হলো ‘অসাম্য’। সারা বিশ্ব আজ মারাত্মক অসাম্য ও বৈষম্যের শিকার। আমেরিকা বলেছে যে দেশের সকল সম্পদ এক শতাংশ লোকের হাতে কেন্দ্রীভূত হয়েছে। এই ঘটনা সকল দেশের জন্যই সত্য। বাংলাদেশ কী তার ব্যতিক্রম? মোটেই না। সাত শতাংশ ‘জিডিপি’ প্রবৃদ্ধি যেমন সত্য, তেমনি বৈষম্যের কথাও দারুণ সত্য। অসাম্য, বৈষম্য, সন্ত্রাসবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা বৃদ্ধি ইত্যাদি এখন দৃশ্যমান ঘটনা। সর্বত্র সমাজ ভেঙ্গেচুরে খান খান হয়েছে এবং হচ্ছে। উন্নয়নের পাশাপাশিই এসব ঘটছে। সব কিছু চলে যাচ্ছে ‘কর্পোরেটদের’ হাতে। ছোট ও মাঝারি বলে আর কিছু থাকছে না। ক্ষমতাসীনদের পোষ্য ও অযোগ্যদের হাতে যাচ্ছে সম্পদ। যখন তখন লোকের চাকরি যাচ্ছে। সমাজ হচ্ছে অস্থির। এক শতাংশ লোকের হাতে বিশ্ব আজ বন্দী। পৃথিবীর দেশে দেশে জনমানুষ বন্দী। এই প্রেক্ষাপটেই বিশ্বায়নের বিরুদ্ধে জনমতও গড়ে উঠছে। তবে কর্পোরেট অত্যাচারের জনমত গড়ে ওঠাটা সাধারণভাবে দেশে দেশে কঠিন হয়ে উঠেছিল। মানুষ প্রতিবাদ করতে চায় কিন্তু প্রতিবাদের শক্তি রহিত হচ্ছিল। ট্রাম্পের নির্বাচন কী ঐ আকাক্সক্ষাকে বাড়িয়ে তুলবে, ঐ আকাক্সক্ষাকে আরও তীব্র করবে? শত হোক যে অবাধ পুঁজিবাদী বিকাশের দেশ আমেরিকা সেই দেশেই যদি এ সম্পর্কে কথা ওঠে তাহলে অন্য দেশ বসে থাকবে কেন? এই অর্থে আমরাও কী জড়িয়ে পড়ব নতুন বিতর্কে? বাংলাদেশ আজ অনেকটাই বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্গে যুক্ত। আমেরিকা আমাদের খুবই বড় রফতানি বাজার, চীন নয়। গার্মেন্টসসহ অনেক দ্রব্য আমেরিকায় রফতানি হয়। লাখ লাখ বাংলাদেশী আমেরিকায় আছে। অনেকে আবার দুই দেশের নাগরিকও। আমেরিকায় আমাদের ‘জিএসপি’ (জেনারেলাইজড সিস্টেম অব প্রেফারেন্স) সুবিধা ঝুলে আছে। ট্রাম্পের নতুন নীতিতে কী আমরা অনুকূলভাবে উপকৃত হব, না প্রতিকূলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব? বড় অর্থে বিশ্ব কিভাবে প্রভাবিত হয় তাই হচ্ছে এখন দেখার বিষয়। লেখক : সাবেক শিক্ষক, ঢাবি
×