ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সবার নজরে মেহেদী মারুফ

প্রকাশিত: ০৬:১৭, ১০ নভেম্বর ২০১৬

সবার নজরে মেহেদী মারুফ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ কথায় আছে, আগে দর্শনধারী, পরে গুণবিচারী। ক্রিকেটে সেই সুযোগটি নেই। ক্রিকেট মাঠে একজন ক্রিকেটারের চেহারা যতই সুন্দর হোক, তাতে কারোরই কিছু যায় আসে না। সে কতটা ভাল পারফর্ম করতে পারছে, সেটিই বিবেচনায় আসে। আর সেই বিবেচনাতে সরাসরি গুণবিচারই হয়ে যায় মুখ্য। সেই বিচারেতো এক শ’তে ১০০ মার্কই তুলে নিয়েছেন ঢাকা ডায়নামাইটসের মেহেদী মারুফ। টাঙ্গাইলের এ ছেলেতো সবার চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছেন। কি সব দুর্দান্ত শট খেলে ঢাকা ডায়নামাইটসকে আবার বিপিএলের চতুর্থ আসরের প্রথম ম্যাচে মঙ্গলবার জয়ও এনে দিয়েছেন। ৪৫ বলে ৫ চার ও ৫ ছক্কায় অপরাজিত ৭৫ রানও করেছেন। তার রানের দিকে কারোরই নজর নেই। সবারই নজর তার ব্যাটিংয়ে ছিল। ঢাকার ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই আল আমিনের করা বলটি ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে যে ছক্কা হাঁকালেন, তাতে কি আত্মবিশ্বাস লুকিয়ে থাকল। আল আমিনের ফর্ম ভাল না। এই দোষে নির্বাচকরা জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডেও রাখেননি আল আমিনকে। মেহেদী মারুফ যেন আল আমিনের সেই ব্যর্থতাগুলো আরও বড় করে দেখালেন। আল আমিনের বলগুলোকেতো কিছুই মনে করলেন না। তৃতীয় ওভারে যখন আবারও আল আমিন বল করতে আসলেন দ্বিতীয় ও পঞ্চম বলে ছক্কা ও চার হাঁকিয়ে দিলেন। মঙ্গলবার বরিশাল বুলসের এমন কোন বোলার নেই, যার বলে বাউন্ডারি হাঁকাননি মেহেদী। ক্যারিয়ারের প্রথম টি২০ অর্ধশতকও তুলে নিয়েছেন। অনুর্ধ-১৯ দলের হয়ে খেলেন মারুফ। কিন্তু খুব বেশি আলোড়ন ছড়াতে পারেননি। তবে বিপিএল দিয়ে নিজেকে যেন সবার নজরে এনে ফেললেন। বরিশালের শাহরিয়ার নাফীসতো রীতিমত অবাক। মেহেদীকে নিয়ে শাহরিয়ারের বিস্ময়, মেহেদী মারুফ খুব ভাল খেলেছে। ও খুব ভাল খেলোয়াড়। ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলে। সে এ্যাকাডেমিতেও ছিল। আজকে (মঙ্গলবার) রীতিমত সে একাই তো ম্যাচ শেষ করে দিল। ও যদি এমন ইনিংস না খেলত তাহলে ম্যাচটা হয়তো আরেকটু টাইট হতো। সে খুব ভাল একটি প্রতিভা। এই প্রতিভা নাকি আবার ছক্কা খেলতেই পছন্দ করেন। নিজেই মঙ্গলবার ম্যাচ শেষে বলেছেন, আমি ছক্কা মারতেই সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি। সঙ্গে যোগ করেন, টি২০ মানেই পজিটিভ থাকা, নিজের শটস খেলা। মঙ্গলবার আমার দিন ছিল, ব্যাট হাসছে। এরকম ইনিংস অনেক খেলেছি। টি২০তে গতবারই ঢাকার সঙ্গে এরকম একটি ইনিংস খেলেছিলাম। সেটাতে আমরা ম্যাচ জিতেছিলাম। শেষ খেলেছি; প্রিমিয়ার লীগে আবাহনীর বিপক্ষে, একই ধরনের ইনিংস ছিল। আমি ছয় মারতে বেশি পছন্দ করি। টি২০তে এটার চান্স বেশি থাকে। বড় বড় ছয় মারার জন্য টাইমিংটার দরকার পড়ে। টাইমিংটা ভাল ছিল। মেহেদী হাসানের বলে সিম্পল ব্যাকফুট কাভার ড্রাইভ ছিল। সেটা আমার কাছে সেরা শট। ব্যাকফুটে সিম্পল পাঞ্চ ছিল। সবচেয়ে বড় ছক্কা ওটাই।
×