ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের জয়ে বিশ্ব পুঁজি ও মুদ্রাবাজারে ধস

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১০ নভেম্বর ২০১৬

ট্রাম্পের জয়ে বিশ্ব পুঁজি ও মুদ্রাবাজারে ধস

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ বিপুল জয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন, তার জয়ের আভাসে বিশ্ববাজারে তৈরি হওয়া অস্থিরতা তখনও কাটেনি। খবর বিবিসি ও এএফপির। ট্রাম্পের বিজয়ে অর্থনৈতিক ও বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের শঙ্কার মধ্যে ডলারের ব্যাপক দরপতন হয়েছে। সেই সঙ্গে পুঁজিবাজার উল্টোপথে হাঁটা দিয়েছে। নির্বাচনের আগের দিন এক জরিপে হিলারি ক্লিনটনকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এগিয়ে রাখা হয়, যার প্রভাবে বিশ্ববাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাওয়ায় উল্টো প্রভাব পড়ে বাজারে। ডলারের বিপরীতে মেক্সিকান পেসোর দরপতন হয়ে এ যাবতকালের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে ঠেকেছে। বিনিয়োগকারীরা স্টকের মতো ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ থেকে দূরে সরে থাকছে। এক রাতের লেনদেনের মধ্যেই এসএ্যান্ডপি ৫০০ ইনডেক্স ফিউচারস ৫ শতাংশ দর হারিয়ে ‘সার্কিট ব্রেকার’ ভেঙ্গে পড়েছে, বুধবার সকালে দিনের বাজার শুরুর আগে এর চেয়ে কম দামে তারা লেনদেন করতে পারবে না। ইউরোপীয় শেয়ারগুলো ৪ শতাংশ দর হারিয়েছে। প্রতিটি টেলিভিশনের পর্দায় ট্রাম্পকে জয়ের কাছাকাছি দেখে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদের দিকে ছুটছে। সে কারণে বন্ড ও সোনার দাম বেড়েছে, সঙ্গে বেড়েছে জাপানী ইয়েনের দরও। ব্রেক্সিটের পর যে দরপতন হয়েছিল তাতে বিশ্ববাজার ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন ডলার হারিয়েছিল। এরচেয়ে মারাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, ইউএস স্টক ফিউচারস ৫ শতাংশ পড়েছে। বুধবার বিশ্ববাজারে মারাত্মক টালমাটাল লেনদেনে ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দর ৩ শতাংশের বেশি পড়েছে, সঙ্গে অন্যান্য প্রধান মুদ্রারও পেছনে পড়েছে ডলার। আগের দিন হিলারি ক্লিনটনের জয়ের সম্ভাবনায় ইয়েনের বিপরীতে ডলারের দর বেড়ে ১০৫ দশমিক ৪৮০ পয়েন্টে উঠলেও নির্বাচনের পর চিত্র উল্টে গেছে। ডলারের দর ৩ দশমিক ১ শতাংশ কমে ১০১ দশমিক ৮৯০ পয়েন্টে ঠেকেছে। সুইস ফ্রাঁর বিপরীতে ডলারের দর ১ দশমিক ৮ শতাংশ পড়ে শূন্য দশমিক ৯৬০৬ পয়েন্টে নেমেছে। আগের দিন ডলারের বিপরীতে মেক্সিকান পেসোর দর বাড়লেও বুধবার ডলারের দর ১১ শতাংশ বেড়ে ২০ দশমিক ৪৪ পেসোতে দাঁড়িয়েছে। ট্রাম্পের জয়ের উদ্বেগ থাকায় কয়েক মাস ধরে পেসোকে মূল্য দিতে হয়েছে। কারণ তিনি হুমকি দিয়েছিলেন মেক্সিকোর সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি ছিঁড়ে ফেলবেন, মেক্সিকোর অভিবাসীদের পাঠানো অর্থের ওপর করারোপ করে তা দিয়ে দেশটির সঙ্গে সীমান্তে দেয়াল তুলে দেবেন। ট্রাম্পের নীতিগুলো যুক্তরাষ্ট্রের রফতানি বাণিজ্যের জন্য ক্ষতিকর মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। ট্রাম্পের জয়ে বিশ্ব রাজনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হতে পারে ভাবনায় থাকা বিনিয়োগকারীরা মর্মাহত হওয়ায় বাজারে তার প্রভাব পড়েছে।
×