ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলনে দোকান মালিক সমিতি

ভ্যাট না কমালে দোকানে তালা দেয়ার হুমকি

প্রকাশিত: ০৪:২০, ১০ নভেম্বর ২০১৬

ভ্যাট না কমালে দোকানে তালা দেয়ার হুমকি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চল?তি ন?বেম্ব?রের মধ্যে ব?র্ধিত প্যাকেজ ভ্যাট না কমা?লে আগামী ডি?সেম্ব?রে দোকানে তালা দিয়ে আন্দোলনে নামার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি। বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুমকি দেয়া হয়। সংগঠনটির সভাপতি এসএ কাদের কিরণ বলেন, প্যাকেজ ভ্যাটের সমস্যা নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এন?বিআর) স?ঙ্গে আমাদের পক্ষে এফবিসিসিআই আলোচনা করছে। আমরা আলোচনার ফলাফলের জন্য এ মাসটি (নবেম্বর পর্যন্ত) অপেক্ষা করব। এরমধ্যে আমাদের দাবি মানা না হলে আমাদের সামনে সহজ পথ খোলা আছে। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করব। দোকানে তালা মেরে ঘরে বসে থাকব। কাঁচামালের দোকান মালিক সমিতিও আমাদের সঙ্গে আছে। রাস্তায় নেমে ভাংচুর, জ্বালাও-পোড়াও না করে দু’দিন দোকান ও কাঁচামালের বাজার বন্ধ রাখলেই কাজ হয়ে যাবে বলে তিনি বলেন। এ অর্থবছরে মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য প্যাকেজ ভ্যাট দ্বিগুণ করা হয়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে সর্বনিম্ন প্যাকেজ ভ্যাট ছিল ১৪ হাজার টাকা ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৮ হাজার টাকা। অন্যান্য সিটি কর্পোরেশনে ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার টাকা, জেলা শহরে ৭ হাজার ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৪ হাজার টাকা এবং উপজেলায় ৩ হাজার ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। কিরণ বলেন, এফবিসিসিআইতে পাঠানো একটি প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এ বছর আমরা ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে ভ্যাট দিতে রাজি আছে। আর পরবর্তীতে প্রতিবছর প্যাকেজ ভ্যাট ১০ শতাংশ হারে বাড়ানো যাবে।’ ইলেক্ট্র্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) নিয়ে কিরণ বলেন, সব দোকানে ইলেক্ট্রনিক ক্যাশ রেজিস্ট্রার (ইসিআর) বসানো সম্ভব না। তাই আমরা প্রস্তাব দিয়েছি প্রথমে বড় বড় দোকানগুলোত ইসিআর বসানো হোক। পরবর্তীতে মাঝারি দোকানগুলোতে বসানোর উদ্যোগ নিতে হবে। সমিতিটির মহাসচিব মোঃ শাহ আলম খন্দকার সংবাদ সম্মেলনে দোকান মালিকদের পক্ষ থেকে তিনটি দাবি তুলে ধরেন। এর ম?ধ্যে গরিবের জন্য তৈরি রুটি, বিস্কুট ও প্লাস্টিকের হাওয়াই চপ্পল ভ্যাটের আওতামুক্ত রাখতে হবে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের ভ্যাট হারের সঙ্গে ২০ শতাংশ হারে বর্ধিত করে প্যাকেট ভ্যাটের হার পুনঃনির্ধারিত করতে হবে এবং স্থায়ীভাবে প্যাকেজ ভ্যাট, ভ্যাট আইন ২০১২ তে সংযোজন করতে হবে। আমদানি পর্যায়ে এটিভি (অগ্রিম ভ্যাট) ৪ শতাংশ পরিশোধের পর আমাদিনকারকরা কোন দাবি না করলে অথবা এটিকে যদি চূড়ান্ত বিবেচনা করা হয় সেক্ষেত্রে আমদানি কারকদের থেকে পুনরায় ভ্যাট আদায়ের নামে হয়রানি করা যাবে না।
×