ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অবৈধ এমডি নিয়ে শেয়ারবাজারে আসতে চাচ্ছে ইনডেক্স এগ্রো

প্রকাশিত: ০৪:১৭, ১০ নভেম্বর ২০১৬

অবৈধ এমডি নিয়ে শেয়ারবাজারে আসতে চাচ্ছে ইনডেক্স এগ্রো

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ অবৈধ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়ে শেয়ারবাজারে আসতে চাচ্ছে ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ। ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইন অমান্য করে ইনডেক্স এগ্রোতে অবৈধভাবে মাহিন বিন মাজহার এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বাজারে আসার আগেই আইন লংঘনের কারণে কোম্পানিটিতে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি বেশি থাকে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তবে কোম্পানির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ব্যবস্থাপনা পরিচালকের একাধিক পদে থাকার বিষয়ে অনুমোদন নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, ১৯৯৪ সালের কোম্পানি আইনের ১০৯ ধারায় বলা হয়েছে, এই আইন প্রবর্তনের পর কোন পাবলিক কোম্পানি এবং তার অধীনস্থ কোন প্রাইভেট কোম্পানি কোন ব্যক্তিকে এমডি পদে নিয়োগ করিবে না, যদি তিনি অন্ততপক্ষে অপর একটি কোম্পানির এমডি বা ম্যানেজার পদে থাকেন। কিন্তু এই আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ইনডেক্স এগ্রোতে এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাহিন বিন মাজহার। কোম্পানিটির তথ্যকণিকা অনুসারে, মাহিন বিন মাজহার এক্স সিরামিকস, মোনালিসা সিরামিকস, ইনডেক্স পল্ট্রি ও ইনডেক্স হোল্ডিংস এ এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন মাহিন বিন মাজহার। একই সঙ্গে তিনি তালিকাভুক্ত হতে চলা পাবলিক কোম্পানি ইনডেক্স এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজে একই পদে রয়েছেন। ফলে তিনি আইনকে অমান্য করে অবৈধভাবে দায়িত্ব পালন করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। তবে কোম্পানিটির উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুমুন রশিদ জানান, কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন নিয়ে এই পদে বহাল থাকা যাবে। এছাড়া কোম্পানিটির প্রধান অর্থ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, বৃহস্পতিবারেই বাণিজ্য মন্ত্রণলায় থেকে এই বিষয়ে অনুমোদন পাওয়া যাবে। অন্যদিকে একাধিক পদে থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের সাবেক হেড অব ইন্টারনাল অডিট সামসুর রহমান (এফসিএমএ) বলেন, কোন ব্যক্তি পাবলিক লিমিটেড কোম্পানিতে এমডি পদে নিয়োগ পেতে পারেন না, যদি তিনি অন্য কোন কোম্পানিতে একই পদে থাকেন। এটা স্পষ্ট। যদি কেউ থাকেন তাহলে তা হবে অবৈধ। জানা গেছে, এর আগে বঙ্গজ, খান ব্রাদার্স পিপি ওভেন ব্যাগসহ অসংখ্য কোম্পানিতে এমন অবৈধ এমডির দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। তবে নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকি ও মিডিয়ায় এ বিষয় প্রচারের পরে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ তা সংশোধন করে আনে। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আইপিওর মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের প্রায় ৯৫ শতাংশ তথা ৩৮ কোটি টাকা ব্যয় করবে ব্যবসা সম্প্রসারণ ও প্রজেক্ট স্থাপনে। এর মধ্যে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ব্রিডার ফার্মের সম্প্রসারণ করা হবে ১০ কোটি ৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে। ময়মনসিংহের ভালুকায় ১২ কোটি ৯৪ লাখ ১৬ হাজার টাকা ব্যয়ে করে ফিস প্লান্ট এবং ফিড মিল সম্প্রসারণ করা হবে। ৯ কোটি ৯৫ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে বগুড়াতে ব্রিডার ফার্মের সম্প্রসারণ করা হবে।
×