ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

হোস্টেল ইনচার্জেও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ ॥ ১০ ছাত্রী বহিষ্কার

প্রকাশিত: ০৪:০২, ১০ নভেম্বর ২০১৬

হোস্টেল ইনচার্জেও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ ॥ ১০ ছাত্রী বহিষ্কার

স্টাফ রিপোর্টার, যশোর অফিস ॥ নার্সিং ইনস্টিটিউটের হোস্টেল থেকে ১০ ছাত্রীকে বেরিয়ে যেতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গত ৫ নবেম্বর লিখিত আদেশে ১০ নবেম্বরের মধ্যে তাদের বের হয়ে যেতে বলা হয়। বহিষ্কৃত ছাত্রীরা ইতিমধ্যে হোস্টেল ছেড়েছে। ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন পুষ্পের চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ওই ১০ ছাত্রীর বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে। হোস্টেল ইনচার্জ এমন গুরুতর সিদ্ধান্ত এককভাবে নিতে পারেন না বলেও জানায় সংশ্লিষ্টরা। আদেশ হাতে পেয়ে হোস্টেল থেকে বেরিয়ে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালের আশপাশে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছে। তবে প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে তাদের বের করে দেয়া হয়েছে বলে ইনচার্জ জানিয়েছেন। একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগে জানা যায়, গত ২৯ অক্টোবর শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়। ওই অনুষ্ঠানের খরচ বাবদ মেস ম্যানেজার রিজিয়াকে ৩১৫ জনের কাছ থেকে ১২০ টাকা হারে চাঁদা তোলার দায়িত্ব দেন ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন পুষ্প। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এর প্রতিবাদ করেন। তারা অভিযোগ করেন, অনুষ্ঠানটিতে সাকুল্যে ১০ হাজার টাকা খরচ হতে পারে। অথচ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয়েছে প্রায় ৩৮ হাজার টাকা। উদ্বৃত্ত টাকা মেরে দিয়েছেন ইনচার্জ সেলিনা। এই তঞ্চকতার প্রতিবাদ করায় তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠেন ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন পুষ্প। এই অপরাধে তিনি ১০ শিক্ষার্থীর ডিউটি বন্ধ করে ১০ নবেম্বরের মধ্যে হোস্টেল ছেড়ে দিতে বলেন। শাস্তির মুখে শিক্ষার্থীরা ডিপ্লোমা ইন মিডওয়াইফারির তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী মনিরা ইয়াসমিন, একই বর্ষের কবিতা খাতুন, শ্যামলী আক্তার, রেশমা খাতুন, ইয়াসমিন খাতুন, বেবী খানম, সেলিনা খানম, দীপা বিশ্বাস এবং নার্সিং সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী দীপ্তি ও দীপালি মজুমদার। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণ না থাকায় ইনচার্জ সেলিনা ইয়াসমিন পুষ্প নিজের ইচ্ছামাফিক প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন। তার একতরফা সিদ্ধান্তের কারণে ছাত্রীরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এখন তাদের বাড়ি থেকে বাড়তি টাকা এনে পড়াশোনা করতে হবে। এ ব্যাপারে জেনারেল হাসপাতালের উপ-পরিচালক শ্যামলকৃষ্ণ সাহা বলেন, ছাত্রীদের বের করে দেয়ার বিষয়টি আমি জানি না। তবে তিনি বলেন, ছাত্রী হোস্টেল থেকে কাউকে বের করে দিতে হলে তদন্ত কমিটি করতে হয়। তদন্ত কমিটির রিপোর্টের ভিত্তিতে কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।
×