স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ৩৮ স্কুলের পুরনো অবকোঠামো বা ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আর ওই ঝুঁকির মধ্যেই চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। এ নিয়ে চরম আতঙ্কে রয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবক ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। এতে স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা দিন দিন হ্রাসও পেতে শুরু করেছে। কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় একশত ৬৯ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এরমধ্যে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে, দক্ষিণ বাহাগিলি কদমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, পশ্চিমবদি সরকারী দক্ষিণ কালিকাপুর ইউসুফ আলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড় ডুমরিয়া মাইজালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সিঙ্গেরগাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়ভিটা ঘোনপাড়া জোবান উদ্দিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভেড়ভেড়ি মাঝাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গাড়াগ্রাম দোলাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মেলাবর পশ্চিপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাগুড়া পীর ফকিরপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনসহ ৩৮টি বিদ্যালয়। গত দুই দিনে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় জরাজীর্ণ বিদ্যালয় ভবনগুলোর ছাদ, বিম ও দেয়াল থেকে খসে পড়েছে পলেস্তরা। বেরিয়ে এসেছে ছাদ ও বিমে মরীচিকা ধরা রড।
সামান্য বৃষ্টিতেই ভবনের ছাদ থেকে চুইয়ে চুইয়ে পানি পড়ছে শ্রেণীকক্ষে। কদমতলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাদের কংক্রিট খসে পড়েছে।
রুয়েট শিক্ষক লাঞ্ছিত
রাবি সংবাদদাতা ॥ রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) জিয়া হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এক শিক্ষককে আটকে রেখে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলবার রাতে রুয়েটের উপ-ছাত্রকল্যাণ পরিচালক এবং মহানগর আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায়কে প্রাধ্যক্ষের কক্ষে এক ঘণ্টা ধরে আটকে রাখা হয়। পরে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করেন। রুয়েট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রুয়েটের জিয়া হল থেকে চারটি ল্যাপটপ চুরি হয়। হারানো ল্যাপটপ উদ্ধার করতে রুয়েটের সহকারী ছাত্রকল্যাণ পরিচালক সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় ওই হলের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি চালাতে গেলে রুয়েট ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সাকিল কবীর বাধা দেন। এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সিদ্ধার্থ শঙ্কর সাকিলকে চড় মারেন। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ওই শিক্ষককে প্রাধ্যক্ষের কক্ষে আটকে রাখেন। এ সময় তাকে লাঞ্ছিতও করা হয়। এ নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং রুয়েট ছত্রলীগের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
ননদ হত্যার দায়ে ভাবির যাবজ্জীবন
স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ গোদাগাড়ীতে প্রতিবন্ধী ননদ রুশনারাকে (৪৫) গলা টিপে হত্যার দায়ে ভাবিকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছে আদালত। বুধবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় স্পেশাল জজকোর্টের বিচারক বেগম জাকিয়া এ রায় দেন। দ-প্রাপ্ত ভাবির নাম সেরিয়ারা খাতুন (৩৫)। তিনি গোদাগাড়ির রসুলপুর কুমদপুর এলাকার মনিরুলের মেয়ে। উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ৭ জুলাই গোদাগাড়ীর কাঁকনহাট এলাকায় রুশনারাকে গলা টিপে হত্যা করে সেরিয়ারা।
শিক্ষক দম্পতিকে কুপিয়ে জখম
নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ৯ নবেম্বর ॥ গভীর রাতে নিজ বাসায় হামলার শিকার হয়েছেন কলেজ শিক্ষক দম্পতি। দুর্র্বৃত্তরা তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে হাউজিং এলাকায়। হামলার শিকার দম্পতি হলেন, কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রধান আলী ইসা এবং তার স্ত্রী কেএসএম কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের প্রভাষক সামসুন্নাহার খানম (৪৫)।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: