এনআরবি নিউজ, নিউইয়র্ক থেকে ॥ তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের যুবসমাজকেও গড়ে তোলার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান ‘হোসনা-হোসাইন টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট’। নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা সদর থেকে ১২ কিলোমিটার দূরে গোপালপুর শান্তিরহাটের পশ্চিম পার্শ্বে বিজবাগে তিন বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এ টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এখন এলাকায় কারিগরি শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে উদাহরণে পরিণত হয়েছে। জেনারেল মেকানিক, জেনারেল ইলেক্ট্রিক, সিভিল কনস্ট্রাকশন, কম্পিউটার ও তথ্যপ্রযুক্তি ট্রেডে শিক্ষা দেয়া হচ্ছে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অনুমোদন পেয়ে। ‘হোসনা-হোসাইনের শিক্ষা উন্নত জীবন ও ভাল মানুষের দীক্ষা’- এই সেøাগানে উজ্জীবিত এ ইনস্টিটিউট পরিচালিত হচ্ছে ‘কামরুল-জান্নাতুল কল্যাণ ট্রাস্ট’র উদ্যোগে। আর এ ট্রাস্ট গঠিত হয়েছে পেনসিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের ফিলাডেলফিয়ায় বসবাসরত কামরুল ইসলাম এবং জান্নাতুল ফেরদৌস দম্পতির কষ্টার্জিত অর্থে। প্রতিষ্ঠানটির সাফল্যের চতুর্থ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে গত মাসে ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে বর্ণাঢ্য এক অনুষ্ঠানে বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শনকারী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। এ সময় জনপ্রতিনিধি ছাড়াও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সবাই প্রবাসী দম্পতির এ উদ্যোগের সাফল্য কামনার পাশাপাশি সার্বিক সহায়তার আশ্বাস দেন। ‘কামরুল-জান্নাতুল কল্যাণ ট্রাস্ট’র প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ স্বপ্ন দেখে নিজেকে নিয়ে এবং নিজের জন্য। যখন থেকে আমি স্বপ্ন দেখতে শিখি, আমি দেখি মা, মাটি ও মানুষকে নিয়ে। এখন স্বপ্ন দেখি বাংলাদেশের মানুষকে জনশক্তিতে রূপান্তর করার। আর সেই স্বপ্নের বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যেই ২০১১ সালে গঠন করি এই কল্যাণ ট্রাস্ট।’ ইন্সটিটিউটের সুপারিনটেন্ডেন্ট বিলকিছ আরা বেগম বলেন, ভৌগোলিক কারণেই নবীপুর ইউনিয়নের মানুষ উপজেলা সদরের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকে চরমভাবে বঞ্চিত। ডিজিটাল বাংলাদেশ কার্যক্রম সাফল্যজনকভাবে এগিয়ে চললেও এ অঞ্চলের মানুষের কাছে এখনও সে সুবিধা তেমনভাবে পৌঁছেনি। সেদিক বিবেচনায় রেখেই আমরা কাজ করছি। সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে বিশ্বমানের শিক্ষায় এ এলাকার তরুণ-তরুণীদের শিক্ষিত করার জন্য।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ঠিকানা সম্পাদক লাবলু আনসার বলেন, ‘এলাকাবাসীর অকুণ্ঠ সমর্থনে এ ইন্সটিটিউটের এগিয়ে চলার অনেক কাহিনী শুনেছি কামরুল দম্পতির কাছে। অনেক সময়েই তা বিশ্বাস হতে চায়নি। আজ এখানে এসে আমি অভিভূত এবং গর্ববোধ করছি নিজেও একজন প্রবাসী হিসেবে। গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি এ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে জড়িত সকলের প্রতি।’
সজীব ওয়াজেদ জয়ের দিকনির্দেশনায় ডিজিটাল বাংলাদেশ রচনার চলমান কর্মসূচীকে পরিপূর্ণ করার ক্ষেত্রে সামান্য হলেও এ ইনস্টিটিউট ভূমিকা রাখছে বলে উল্লেখ করেন সাংবাদিক লাবলু আনসার।
প্রবাসী দম্পতির উদ্যোগে হোসনা-হোসাইন টেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট
গড়ে তুলছে দক্ষ মানবসম্পদ
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: