ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে ॥ পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সৌজন্যবোধ তিরোহিত

নয়া প্রেসিডেন্টের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ সংঘাতময় রাজনীতি

প্রকাশিত: ০৩:৪৫, ১০ নভেম্বর ২০১৬

নয়া প্রেসিডেন্টের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ সংঘাতময় রাজনীতি

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক অস্বাভাবিক দায়িত্ব নিয়ে ওভাল অফিসে পৌঁছবেন : অর্থনীতিকে উন্নত করা, জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষা করা এবং অভিবাসন ও স্বাস্থ্যসেবার মতো জটিল সমস্যাগুলোর সমাধান করা। কিন্তু এসব প্রকৃত চ্যালেঞ্জের সামনে ম্লান হয়ে পড়ে আর সেটি হলো ২০১৬-এর নির্বাচন উপলক্ষে চালানো কলহপূর্ণ ও যন্ত্রণাদায়ক প্রচার তৎপরতার প্রতিক্রিয়া প্রশমিত করা। খবর ওয়াশিংটন পোস্টের। নতুন প্রেসিডেন্টের সামনের বাধা সীমাহীন। রাজনৈতিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। সদিচ্ছা অন্তর্হিত হয়ে গেছে। প্রচার চলাকালে বিরাজমান সন্দেহবোধ ও বৈরিতাই বিরোধের পটভূমি তৈরি করেছে। অতীতের বছরগুলোতে আমেরিকানরা আশার প্রেরণা নিয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ফলাফলকে সাধারণভাবে স্বাগত জানিয়েছে। এবার এমনকি ভোট দেয়ার আগেই কয়েকদিন ধরে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু হচ্ছিল। হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচারে স্বাভাবিক কিছুই ছিল না। নির্বাচনের দিন ভীতি, আশা, ক্রোধ, আবেগ, হতাশা ও সন্ত্রস্তভাব বয়ে আনে। অধিকাংশ আমেরিকানের মতে, ২০১৬ সালের প্রচার অভিযান এক দীর্ঘস্থায়ী ও উৎসাহ শূন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতাই ছিল যা গভীরভাবে বিভক্ত এক দেশের শক্তিশালী ও টিকে থাকার সামর্থ্য পরীক্ষা করেছিল। এ নির্বাচনে বর্ণ, লিঙ্গ, ধর্ম ও অর্থনৈতিক অসাম্যের বিষয়ে এবং কেন্দ্রীয় সরকার ও ক্রমশ সন্দিহান এমন এক জনগোষ্ঠীর মধ্যকার সম্পর্ক নিয়ে বড় বড় প্রশ্ন জড়িত ছিল। এটি সমাজের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক এলিটগণ এবং জনসংখ্যার অবশিষ্টাংশের মধ্যকার বিরাট ব্যবধান ও তুলে ধরে। নির্বাচনী প্রচার এক গোষ্ঠীকে অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লেলিয়ে দেয়, বন্ধু ও প্রতিবেশীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়। সোশ্যাল মিডিয়া ওই উত্তেজনায় ইন্ধন যুগিয়ে বিভেদ আরও প্রকট করে তোলে। ট্রাম্প তার কথায় ও কাজে এ উত্তেজনা সৃষ্টির জন্য অনেকাংশে দায়ী। নিউইয়র্কের ব্যবসায়ী হিসপ্যানিক, মুসলিম ও মহিলাদের আহত করেন। তিনি এক বিশিষ্ট প্রবীণ যোদ্ধা ও সাবেক যুদ্ধবন্দী এবং পঙ্গু রিপোর্টারকে অপমান করেন। তিনি তার কথাবার্তায় ছিলেন বল্গাহীন এবং এক প্রার্থী হিসেবে উচ্ছৃঙ্খল। তার কোন নির্দিষ্ট আদর্শ ছিল না এবং কোন প্রেসিডেন্টের অবশ্যই নখদর্পণে থাকতে হবে এমন সব বিষয়ের বিস্তারিত দিক সম্পর্কে সামান্য জ্ঞানই ছিল। তিনি তার নিজস্ব দলকে ভাগ করেন এবং এর নেতাদের ঘৃণার চোখে দেখেন।
×