ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

প্রিন্স হেনরি স্নাল

সড়কপথ হোক নিরাপদ!

প্রকাশিত: ০৩:৪১, ১০ নভেম্বর ২০১৬

সড়কপথ হোক নিরাপদ!

আধুনিক যুগে ছুটে চলার এই জীবনে দু’চাকা তিন চাকা বা চারচাকা যানবাহন হলো প্রয়োজনীয় বিষয়। সবাইকে পেছনে ফেলে, সর্বাগ্রে থাকার প্রতিযোগিতায় থাকতে গিয়েই অনেকের জীবনে নেমে আসছে আবার অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা। ‘একটি দুর্ঘটনা, সারা জীবনের কান্না।’ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-এর ২০১৫ সালের সড়ক দুর্ঘটনা সংবলিত প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতিবছর ২১ হাজার মানুষের সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটে। তবে, দেশের আনাচে কানাচে নিত্যদিনই ঘটে সড়ক দুর্ঘটনা, যা খবরের কাগজে বা মিডিয়ায় আসে না। অর্থাৎ সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর সড়ক দুর্ঘটনার দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান হলো ১৩তম এবং এশিয়ায় সপ্তম। বিষেজ্ঞদের মত অনুযায়ী প্রধানত তিনটি কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে- মত্রাতিরিক্ত গতি, বিপজ্জনকভাবে যানবাহন অতিক্রম এবং ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন ও রাস্তাঘাট। এ ছাড়া আরও নানা কারণ বিদ্যমানÑ চালকের অসতর্কতা, অজ্ঞানতা ও বেপরোয়া চালনা এবং চালকদের ড্রাইভিং সনদ যথাযথভাবে প্রাপ্ত কিনা তাও প্রশ্নসাপেক্ষ। কেননা বিআরটিএ সরকারী সংস্থা, যেখানে যানবাহন ও চালকের বৈধতার বিষয়টি দেখভাল করা হয়, সেটির অনিয়ম, ঘুষ, অব্যবস্থা, দুর্নীতি ও স্বেছাচারিতার কথা সর্বজনবিদিত, তাই মানুষ টাকা দিয়ে দ্রুত ড্রাইভিং লাইসেন্স ক্রয় করে দক্ষ চালক বনে যায়। ফলে অবৈধ চালকের কারণে বিভিন্ন দুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলছে। অন্যদিকে, বাস, ট্রাক, লরি, মিনিবাস, নসিমন, করিমন ও ভটভটিসহ অন্যান্য বাহনের হেলপারদের তো আবার পোয়াবারো ওস্তাদ যদি একটু দয়া করে একটা সুযোগ দেয় তাহলে শুরু হয়ে যায় তার কেরামতি, গাড়ির স্টিয়ারিং হুইল ধরে নিজেকে তখন সে ভাবে শাহেনশাহ। সম্প্রতি ঢাকা মেডিক্যালের সম্মুখের দুর্ঘটনায় গর্ভের সন্তানসহ মোট ৫ জনের মৃত্যু এর বড় প্রমাণ। কিছুদিন আগে এক নেতা বলেছিলেন, চালকদের শিক্ষিত হওয়ার প্রয়োজন নেই, শুধু যানবাহন চালানোর সময় মানুষ, গরু-ছাগলের তফাত বুঝলেই চলবে। কথাটি কতটুকু যুক্তিযুক্ত? ঘোষগাঁও, ময়মনসিংহ থেকে
×