মোঃ মামুন রশীদ ॥ দলের প্রয়োজনে অনেক ভূমিকাতেই দেখা গেছে তাকে। জাতীয় দলে ওয়ানডেতে চার নম্বরে জায়গাটা নির্দিষ্ট হয়ে গেছে। তবে ৫, ৬ ও ৭ এমনকি ৩ নম্বরেও ব্যাট হাতে নেমেছেন। টেস্ট ক্রিকেট আসলে পাঁচ নম্বরে আর টি২০ ক্রিকেটে লোয়ার অর্ডারে ব্যাটিং করেন। কিন্তু মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ দলের পরিস্থিতি বিবেচনায় এবং ম্যানেজমেন্ট যেভাবে চেয়েছে ব্যাট করেছেন সবসময়। কখনও ঠাণ্ডা মস্তিষ্কে ধীরস্থির থেকেছেন, আবার কখনও ব্যাট চালিয়েছেন উচ্চ মেজাজে। টি২০ ক্রিকেটে বিধ্বংসী মনোভাব থাকাটাই জরুরী। মাহমুদুল্লাহ দাবি জানিয়েছেন দলের প্রয়োজনে তিনি আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে চান। মঙ্গলবার মিরপুর ক্রিকেট একাডেমি মাঠে অনুশীলন শেষে এসব কথা বলেন তিনি।
গত আসরে বরিশাল বুলসের অধিনায়কত্ব করেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি২০ আসরে। দারুণ নেতৃত্ব গুণ দিয়ে দলকে রানার্সআপ করিয়েছেন। এবার নতুন দল খুলনা টাইটান্সের অধিনায়কত্ব মাহমুদুল্লাহর কাঁধে। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমি এ রকম দলকে অধিনায়কত্ব করতে উপভোগ করি। ঢাকা, চিটাগং, কুমিল্লা দলে বড় বড় নাম আছে। আরও বড় বড় খেলোয়াড় আছে। আমি গত বছরই এটা অনুভব করেছি যে যদি নির্দিষ্ট দিনে আপনি নৈপুণ্য দেখাতে পারেন কেউ আপনাকে হারাতে পারবে না। আমার এটাই লক্ষ্য থাকে। চেষ্টা করব এভাবেই যেন টুর্নামেন্টে এগুতে পারি। চলতি বছর নতুন করে মাহমুদুল্লাহকে চিনেছে ক্রিকেট বিশ্ব। মূলত দলের প্রয়োজনে ধীরস্থির ভঙ্গিতে শীতল মনোভাবেই ব্যাট চালিয়ে থাকেন তিনি। কিন্তু টি২০ এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে ঝড়ো ব্যাটিং করেছেন মাহমুদুল্লাহ। আক্রমণাত্মক মেজাজটা অবশ্য এবার আফগানিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে মাহমুদুল্লাহ বলেন, দল যেভাবে চায়, দলের সমন্বয় যেভাবে চায়, অধিনায়ক হিসেবে আমারও কিছু দায়িত্ব থাকবে। দায়িত্ব অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব। দলের যদি চাহিদা থাকে আরও আক্রমণাত্মক খেলতে হবে তাহলে প্রয়োজনে আরও আক্রমণাত্মক হওয়ার চেষ্টা করব। যদি দলের চাহিদা থাকে দেখে শুনে খেলা তাহলে সেভাবেই খেলব।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখন পর্যন্ত অধিনায়কত্ব করার সুযোগ হয়নি মাহমুদুল্লাহর। ২০১১ সালে জিম্বাবুইয়ে সফরের পরই মুশফিকুর রহীম বাংলাদেশ দলের অধিনায়কত্ব পান। তার ডেপুটি হিসেবে মাহমুদুল্লাহ দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিতই দলকে নেতৃত্ব দেন এবং দলের জন্য সফলতাও এনেছেন। নিজের অধিনায়কত্ব নিয়ে এ অলরাউন্ডার বলেন, চ্যাম্পিয়নশিপের দাবিদার প্রায় সবগুলো। সাতটা দলই এ লক্ষ্যেই নামবে। তবে ভাল ক্রিকেট খেলাটাই মূল লক্ষ্য। কম তারকাপূর্ণ দলের নেতৃত্ব দেয়া একটা ভাল চ্যালেঞ্জ। কিন্তু ঘরোয়া ক্রিকেটে অধিনায়কত্ব করা তখনই সহজ হয় যখন খেলোয়াড়রা পারফর্ম করে। এই বিশ্বাসটা যদি আপনি খেলোয়াড়দের দিতে পারেন, স্বাধীনতা দেয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। এ জিনিসটা আমি সবসময় বিশ্বাস করি। আমি চাই আমার ক্রিকেটাররা সবসময় এটা বিশ্বাস করেই খেলুক। এভাবেই নিজ দলের ড্রেসিং রুমের পরিবেশটা হাসিখুশি রাখতে চান মাহমুদুল্লাহ। সেই সঙ্গে নিজের নৈপুণ্য দিয়ে দারুণ কিছু উপহার দিতে চান দলকে।
