ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বিএনপি এবার ১৩ নবেম্বর সমাবেশ করতে চায় সোহরাওয়ার্দীতে

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৯ নভেম্বর ২০১৬

বিএনপি এবার ১৩ নবেম্বর  সমাবেশ করতে চায় সোহরাওয়ার্দীতে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অনুমতি পেয়েও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সমাবেশের করছে না বিএনপি। তবে ১৩ নবেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চায়। মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারের উদ্দেশে বলেন, আমরা আবারও বলছি, গণতান্ত্রিক স্বাভাবিক কর্মসূচী পালন করতে দিন। সংবিধান লঙ্ঘন করবেন না। ১৩ নবেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আমাদের সামাবেশ করার অনুমতি দিন। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাওয়া হবে। গণতন্ত্রকে তার নিজস্ব ধারায় চলতে দিন। উল্লেখ্য, বিএনপি প্রতিবছরের মতো এবারও ৭ নবেম্বরকে ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করতে প্রথমে ৭ নবেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাছে আবেদন করে। পরে ৮ নবেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়ে তারা আবার আবেদন করে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সোহওরায়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি দেয়া হবে না। এরপর ৮ নবেম্বর নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ফের আবেদন করে বিএনপি। তাতেও সাড়া না পেয়ে সোমবার বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, এক দিন পিছিয়ে ৯ নবেম্বর অনুমতি পেলেও তারা রাজি। তারপরও পুলিশের কাছ থেকে কোন খবর না আসায় মঙ্গলবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ১৩ নবেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার ঘোষণা দেন। তার এ ঘোষণার কিছুক্ষণ পর ডিএমপি বিএনপিকে ২৭টি শর্তে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনিস্টিটিউশনে সমাবেশ করার অনুমতি দেয়। সংবাদ সম্মেলনে ১৩ নবেম্বর সমাবেশ করার অনুমতি না পেলে বিএনপি কি করবে এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি তাই আমরা অনুমতি চাইতেই থাকব। যদি অনুমতি না পাই তা হলে কর্মসূচীর কথা পরে জানাব। সাংবাদিকদের উদ্দেশে ফখরুল বলেন, আপনারা পার্টি অফিসের চিত্র দেখেছেন। মনে হচ্ছে একটি যুদ্ধক্ষেত্র তৈরি করা হয়েছে। যেমন করা হয়েছিল ২০১৩, ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে। ওই সময় দলীয় অফিসকে কারাগারে পরিণত করা হয়েছিল। আমাদের নেতা রুহুল কবির রিজভীকে বন্দী করা হয়েছিল। এখনও দেখে তাই মনে হচ্ছে। ফখরুল বলেন, সব রাজনৈতিক দলের আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই কেবল রাজনৈতিক সঙ্কটের নিরসন সম্ভব। এমতাবস্থায় সংলাপের কোন বিকল্প নেই। সড়কে সমাবেশ নিষিদ্ধ ঢাকা দক্ষিণ সিটি করর্পোরেশনের এমন নির্দেশনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সড়কে যদি সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলো কোথায় যাবে? অনুমতি পেয়েও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সমাবেশের করছে না বিএনপি ॥ অনুমতি পেয়েও ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে সমাবেশের করবে না বিএনপি। মঙ্গলবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ডিএমপি। তবে ডিএমপির দেয়া এ অনুমতির পর নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের কাছে দেয়া তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ছাড়া অন্য কোন স্থানে সমাবেশ করবে না বিএনপি। উল্লেখ্য, ২৭ শর্তে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিএনপিকে সমাবেশ করার অনুমতি দেয় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। এ সময় রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন প্রমুখ। কেন সমাবেশ করতে পারব না জবাব চাই- দুদু ॥ সরকারকে উদ্দেশ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, আপনাদের কাছে আমরা জবাব চাই কেন আমরা সমাবেশ করতে পারব না। সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আবার রক্ষীবাহিনী আনলেও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে নির্বাচন কিংবা গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আপনাদের পরাজিত করা হবে। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘জাতীয়তাবাদী কারানির্যাতিত ফোরাম’ নামক একটি সংগঠন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের কড়া পাহারা ॥ বিএনপি নেতাকর্মীরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে এমন পূর্বাভাস পেয়ে মঙ্গলবার সকাল থেকে দিনভর রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ছিল পুলিশের কড়া প্রহরা। এ সময় সেখানে সাঁজোয়া যান ও জলকামানও রাখা হয়।
×