ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

জাহাজ ভাড়ার পেছনে বছরে ব্যয় ৫ বিলিয়ন ডলার

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৯ নভেম্বর ২০১৬

জাহাজ ভাড়ার পেছনে বছরে ব্যয় ৫ বিলিয়ন ডলার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জাহাজ রফতানি করলেও আমদানি-রফতানি পণ্যের সিংহভাগ পরিবহন করে বিদেশী জাহাজ। এতে জাহাজ ভাড়ার পেছনে বছরে ব্যয় হওয়া ৫ বিলিয়ন ডলারের পুরোটাই চলে যাচ্ছে বাইরে। জাহাজ মালিকরা জানান, বিশ্ব শিপিং ব্যবসায় মন্দা, ফ্ল্যাগ প্রটেকশন আইনের যথাযথ ব্যবহার না হওয়া এবং বিদেশী বন্দরে বিভিন্ন খরচের জন্য ফান্ড ট্রান্সফারে জটিলতাসহ নানা কারণে সমুদ্রগামী দেশীয় জাহাজের সংখ্যা ক্রমশ কমছে। বিদেশী জাহাজ ভাড়ায় বছরে ব্যয় হওয়া ৫ বিলিয়ন ডলার। এজন্য সরকারী নীতি সহায়তা চান ব্যবসায়ীরা। এ্যাঙ্কটাডের প্রকাশিত আন্তর্জাতিক মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট রিপোর্ট অনুসারে আন্তর্জাতিক রুটে সমুদ্র পথে পণ্য পরিবহনকারী জাহাজের সংখ্যা ১ লাখ ৩৫ হাজার। এর মধ্যে বাংলাদেশী পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা মাত্র ৩৬টি। দেশীয় জাহাজ কম থাকায়, গেল বছরে সমুদ্র পথে বাংলাদেশের ৭০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যের জন্য বিদেশী জাহাজের ভাড়া বাবদ ব্যয় হয়েছে কয়েক বিলিয়ন ডলার। মেরিন এ্যাফেয়ার্স ইউনিটের কর্মকর্তারা জানান, এতে বিপুল অংকের বৈদেশিক মুদ্রা বাইরে চলে যাচ্ছে। তেমনি সমুদ্রগামী দেশীয় জাহাজ না থাকায় মেরিন ক্যাডেটরা প্রশিক্ষণ নিতে পারছে না। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, আমদানি ও রফতানি পণ্য পরিবহনে দেশীয় জাহাজ প্রাধান্য না পাওয়া, ফান্ড ট্রান্সফার জটিলতাসহ নানা সমস্যার কারণে সমুদ্রগামী দেশীয় জাহাজের সংখ্যা ক্রমশ কমেছে। মংলা কাস্টমস কমিশনারকে প্রত্যাহার দাবি বন্দর ব্যবহারকারীদের সংবাদ সম্মেলন স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা অফিস ॥ মংলা বন্দর ব্যবহারকারী সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে মঙ্গলবার দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে মংলা কাস্টম হাউসে দৈনন্দিন কাজে বহুমুখী সমস্যা নিয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, মংলা কাস্টমস হাউসের দৈনিন্দিন কাজে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। বারবার বলা হলেও মংলা কাস্টম কমিশনারের অসহযোগিতার কারণে সমস্যাগুলি নিরসন হচ্ছে না বরং বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং মংলা বন্দরে ক্রমাগত আমদানি হ্রাস পাচ্ছে। সংবাদ সম্মেলনে মংলা বন্দরকে সচল রাখার স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা এবং মংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার ড. আল আমিন প্রামাণিককে আগামী ৭ (সাত) কার্যদিবসের মধ্যে মংলা কাস্টম হাউস থেকে প্রত্যাহার করাসহ বিভাগীয় শাস্তির দাবি জানান হয়। অন্যথায় তাদের কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকাসহ কঠোর কর্মসূচী গ্রহণ করতে বাধ্য হবে বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।
×