ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে বসানো হচ্ছে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৯ নভেম্বর ২০১৬

চট্টগ্রামে বসানো হচ্ছে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গ্যাসের অপচয় রোধে এবার চট্টগ্রামে প্রিপেইড মিটার বসাতে যাচ্ছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। আগামী বছরের শুরুর দিকে পর্যায়ক্রমে এই সেবা দেয়া হবে নগরীর ৬০ হাজার গ্রাহককে। এই পদ্ধতিতে গ্যাস সঙ্কট নিরসনের পাশাপাশি উপকৃত হবে গ্রাহকরা। সরকার ও জাপানি সংস্থা জাইকার অর্থায়নে এই প্রকল্পে ব্যয় হবে ২৪৭ কোটি টাকা। রান্না হোক বা নাই হোক বাসাবাড়িতে গ্যাসের চুলা জালিয়ে রাখা নতুন কিছু নয়। এমনকি গ্যাস পুড়িয়ে কাপড় শুকানোর দৃশ্যও চোখে পড়ে হর হামেশা। ব্যবহার কম বা বেশি যাই হোক গ্রাহককে মাস শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিতে হয় বলে বাসাবাড়ি থেকে কলকারখানা সব জায়গায় হরদম চলে জাতীয় সম্পদ গ্যাস অপচয়ের মহোৎসব। এ অবস্থায় গ্যাসের অপচয় ঠেকাতে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি চট্টগ্রামে বসাতে যাচ্ছে গ্যাসের প্রিপেইড মিটার। গ্রাহকরা বলেন, যত টাকা ঢুকানো হবে ততখানি গ্যাস ব্যবহার হবে। এতে গ্যাস খরচ কম হবে বলে জানান তারা। প্রিপেইড পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট বুথে গিয়ে দেয়া কার্ডটিতে ঢুকাতে হবে টাকা। আর বাড়ির আঙ্গিনায় বসানো মিটারে কার্ডটি রিচার্জ করলেই টাকার পরিমাণে পাওয়া যাবে গ্যাস। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড প্রকল্প পরিচালক প্রকৗশলী খায়েজ আহম্মদ মজুমদার বলেন, মিটার ইনস্টলেশনের সঙ্গে সঙ্গে একটি কার্ড দেয়া হবে। কার্ড রিচার্জ করলে গ্যাস পাওয়া যাবে। এদিকে এই পদ্ধতি গ্রাহক বান্ধব উল্লেখ করে এর নানা সুবিধার কথা জানালেন তিনি। প্রকৌশলী খায়েজ আহম্মদ মজুমদার বলেন, প্রায় ছয় লাখ আবাসিক গ্রাহক রয়েছে। সবাইকে মিটার সিস্টেমে আনতে পারলে গ্যাস খরচ অনেক কমে যাবে বলে মনে করেন তিনি। চট্টগ্রামে আবাসিক বাণিজ্যিক মিলে গ্রাহক সংখ্যা ৬ লাখ। প্রাথমিকভাবে আগামী বছরের শুরুতে নাসিরাবাদ ও খুলশী আবাসিক এলাকায় বসানো হবে তিন হাজার গ্যাসের প্রিপেইড মিটার। পর্যায়ক্রমে চাঁন্দগাও, খুলশী ও চকবাজারসহ নগরীর ৬০ হাজার গ্রাহক আসবে এই সেবার আওতায়। চুরি যাওয়া অর্থ ফেরত আনতে ম্যানিলায় বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে চুরি যাওয়া অর্থের উদ্ধার হওয়া অংশ ফিরিয়ে আনতে ফিলিপাইনে গেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। সোমবার তারা ম্যানিলায় পৌঁছেছেন বলে বার্তা সংস্থা রয়র্টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার চুরি করে হ্যাকাররা। এ অর্থ ফিলিপাইনের মাকাতি সিটির রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংকের কয়েকটি এ্যাকাউন্টে জমা হয়। সেখান থেকে পরে তা উত্তোলন করে সরিয়ে নেয় হ্যাকাররা। পরবর্তীতে ফিলিপাইনের ক্যাসিনো জাঙ্কেট অপারেটর কিম অং জানান, তার কাছে চুরি যাওয়া অর্থের কিছু অংশ রয়েছে এবং তিনি এ অর্থ ফেরত দিতে প্রস্তুত। আদালতের নির্দেশে ফিলিপাইনের দুর্নীতি দমন কর্তৃপক্ষের কাছে ১৫ মিলিয়ন ডলার ফেরত দেন তিনি। এ অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংককে ফেরত দিতে গত সেপ্টেম্বরে নির্দেশ দেয় ম্যানিলার একটি আদালত। গত সপ্তাহে এ অর্থ গোনার সময় উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ। তিনি জানিয়েছেন, বর্তমানে ওই ১৫ মিলিয়ন ডলার ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্টে গচ্ছিত রয়েছে।
×