ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম মেলায় ৫১৭ কোটি টাকা কর আদায়

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৯ নভেম্বর ২০১৬

চট্টগ্রাম মেলায় ৫১৭ কোটি টাকা কর আদায়

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রামে সপ্তাহব্যাপী আয়কর মেলায় প্রায় ৫১৭ কোটি টাকা কর আদায় হয়েছে। এবারের মেলায় সেবাগ্রহণ করেন প্রায় আড়াই লাখ মানুষ। মেলাঙ্গনে প্রতিদিনই ছিল সাধারণ মানুষের ভিড়। ফলে আয়কর নিয়ে মানুষের মনে যে ভীতি ছিল তা ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে বলে মনে করছেন আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। বিশেষ করে এবারের মেলায় আগ্রহীদের যে সাড়া মিলেছে তাতে এক ধরনের আশাবাদের সৃষ্টি হয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অভ্যন্তরেও বাংলাদেশে একটি আয়করবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির তাগিদ অনুভূত হয়েছে। চট্টগ্রামে আয়কর বিভাগের চার অঞ্চল সূত্রে জানা যায়, ১ নবেম্বর শুরু হওয়া এই আয়কর মেলার প্রতিদিনই যে পরিমাণ মানুষের সমাগম ঘটেছে তা আশাব্যঞ্জক। একটি স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়তে নিজস্ব উৎস থেকে আয় বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি দীর্ঘদিন থেকেই বলা হয়ে আসছে। কিন্তু যথাযথ পরিবেশ পেলে সাধারণ মানুষও যে কর প্রদানে আগ্রহী সেটিই প্রমাণিত হয়েছে চট্টগ্রামের আয়কর মেলায়। শুধু তাই নয়, সারাদেশের আয়কর মেলাগুলোতেও ছিল একই চিত্র। আয়কর বিভাগ সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে সাতদিনের আয়কর মেলায় এবার কর আদায় হয়েছে ৫১৬ কোটি ৯৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৯১ টাকা। এই আদায় গতবারের চেয়ে ৩৪ কোটি টাকা বেশি। ২০১৫ সালের মেলায় আয়কর আদায় হয়েছিল ৪৮২ কোটি ৫৫ লাখ ৯৩ হাজার ৫৪৪ টাকা। এবার মেলায় এসে সেবা গ্রহণ করেছেন ২ লাখ ৭৩ হাজার ২০১ জন। গত বছর মেলা থেকে সেবা নিয়েছিলেন ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৮৩ জন। এবার আয়কর মেলায় রিটার্ন গৃহীত হয়েছে ১৮ হাজার ৩৪৯টি। এ সংখ্যাও গত বছরের চেয়ে বেশি। গত বছর রিটার্ন জমা পড়েছিল ১৭ হাজার ৪২০টি। নতুন ই-টিআইএন গ্রহণের ক্ষেত্রেও ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়েছে। এবার চট্টগ্রাম আয়কর মেলা থেকে নতুন ইটিন গ্রহণ করেছেন ২ হাজার ৯০১ জন। গত বছর সংগৃহীত হয়েছিল ১০৬০টি। চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি কনভেনশন হলে সপ্তাহব্যাপী এই আয়কর মেলায় প্রতিদিনই মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। বিশাল পরিসরে ছিল ব্যাংকের শাখা ছাড়াও অসংখ্য টেবিল। কর বিভাগের কর্মকর্তা কর্মচারীরা সার্বক্ষণিক উপস্থিত থেকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করেছেন। আগ্রহী করদাতারা জেনে নিয়েছেন করের খুঁটিনাটি। তারাও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এই সেবা কার্যক্রমে। লোক সমাগম বেশি থাকায় অবশ্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কিছুটা হিমশিমও খেতে হয়। ফলে মেলার শেষদিন ৭ নবেম্বর সময় এক ঘণ্টা বৃদ্ধি করতে হয়। এরপরও অনেকেই সেবা গ্রহণ করতে পারেননি। ফলে তারা হতাশা ব্যক্ত করেন। তবে কর বিভাগ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে যে, মেলা শেষ হলেও আয়কর অফিসে গিয়ে এ ধরনের সেবাই পাবেন করদাতারা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও একটি করবান্ধব সংস্কৃতি সৃষ্টির ওপর জোর দিয়েছে।
×