ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

এনবিআরকে চিঠি দিয়েছে এএইচসিএবি

বেনাপোল বন্দরে পোলট্রি খাদ্যের উপকরণ আমদানিতে জটিলতা

প্রকাশিত: ০৪:০৬, ৯ নভেম্বর ২০১৬

বেনাপোল বন্দরে পোলট্রি খাদ্যের উপকরণ আমদানিতে জটিলতা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পোলট্রি, মৎস্য ও পশুখাদ্য তৈরির পুষ্টি উপাদান বা ফিড এ্যাডিটিভ আমদানি শুল্কমুক্ত হলেও বেনাপোল বন্দরে এর ওপর শুল্কারোপ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আমদানিকারকরা। চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে এসব পণ্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি হলেও বেনাপোল দিয়ে আমদানি করতে ৩৭ শতাংশ শুল্ক দিতে হচ্ছে। সম্প্রতি এনবিআরকে দেয়া এক চিঠিতে এ ধরনের পণ্য আমদানিকারকদের সংগঠন এ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এএইচসিএবি) এই অভিযোগ করেছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) লেখা চিঠিতে এএইচসিএবি বলেছে, এসব ফিড এ্যাডিটিভ ২৩০৯.৯০.১০ এইচএস কোডে আমদানি হতো। সম্প্রতি বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব পণ্যকে ৩৮২৪.৯০.৯০ এইচএস কোডে শ্রেণী বিন্যাসিত করে উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করছে। এতে প্রাণী খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জানা গেছে, বাংলাদেশের কৃষিজ অর্থনীতিতে প্রাণিজ খাত এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ব্যক্তি উদ্যোক্তা, খামারি এবং সরকারের সমন্বিত প্রয়াসে বাংলাদেশ আজ পোল্ট্রি ও মৎস্য খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ। বিগত দুই দশক যাবত পোল্ট্রি ও মৎস্য শিল্প দেশের সাধারণ মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে ডিম, মুরগীর মাংস ও মাছ সরবরাহ করে আসছে। এটা সম্ভব হয়েছে এই শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে সরকার তথা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রত্যক্ষ সহযোগিতার কারণে। কিন্তু বর্তমানে বেনাপোল বন্দরের কিছু অতিউৎসাহী কর্মকর্তাদের কারণে এ সেক্টরে আমদানিকৃত পণ্য সামগ্রী ছাড়করণের ক্ষেত্রে চরম অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পোল্ট্রি সেক্টরের পুষ্টিপণ্যসহ অন্যান্য প্রায় সকল সামগ্রী বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে এএইচসিএবির মহাপরিচালক এম নজরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ ফিড এ্যাডিটিভ আমদানিতে ৩৭ শতাংশ আমদানি শুল্কারোপ করছে। ব্যবসায়ীরা লোকসান দিয়ে ব্যবসা করবেন না। ফলে পণ্যের দাম বেড়ে যাবে, যা চূড়ান্তভাবে ভোক্তাকেই বহন করতে হবে। এতে প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে সরকারের উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) লেখা চিঠিতে এএইচসিএবি বলেছে, এসব ফিড এ্যাডিটিভ ২৩০৯.৯০.১০ এইচএস কোডে আমদানি হতো। সম্প্রতি বেনাপোল কাস্টমস কর্তৃপক্ষ এসব পণ্যকে ৩৮২৪.৯০.৯০ এইচএস কোডে শ্রেণী বিন্যাসিত করে উচ্চহারে শুল্কারোপ করছে। এতে প্রাণী খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেনাপোল বন্দরের সংশ্লিষ্ট শুল্ক কর্মকর্তাগণ এসআরও এর শর্তমোতাবেক নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য অধিদফতরের আমদানির অনাপত্তি সনদ (ঘঙঈ) কে আমলে নিচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকগণ বর্ণিত বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের বোনাপোল বন্দরের সংশ্লিষ্ট শুল্ক কর্মকর্তার নিকট উপস্থিত হলে তাদের কথা বলারও সুযোগ দেয়া হচ্ছে না বরং ক্ষেত্র বিশেষে অপমানিত করা হচ্ছে। আমদানিকৃত পণ্যসমূহ সংরক্ষণের জন্য যথাযথ তাপনিয়ন্ত্রণ করতে হয়। বেনাপোল বন্দরে এ ধরনের সুবিধা বিদ্যমান না থাকায় আমদানিকৃত কোটি কোটি টাকার পণ্য সামগ্রীর গুণগত মানও নষ্ট হওয়ার উপক্রম হয়েছে।
×