ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নিজেকে কখনও ‘শিহাব’ কখনও ‘ডিজিটাল আকাশ’ বলে পরিচয় দেয়

শাহজালালে ছুরিকাঘাতে আনসার হত্যা ॥ ঘাতকের পরিচয় নিশ্চিত নয় এখনও

প্রকাশিত: ০৫:৪৭, ৮ নভেম্বর ২০১৬

শাহজালালে ছুরিকাঘাতে আনসার হত্যা ॥ ঘাতকের পরিচয় নিশ্চিত নয় এখনও

আজাদ সুলায়মান ॥ একটি বেসরকারী কোম্পানির কর্মী পরিচয়ে দ্রুত শাহজালাল বিমানবন্দরে ঢোকার চেষ্টা চালায় শিহাব। কর্তব্যরত এপিবিএন’র এক সদস্য বাধা দিতেই তাকে ছুরিকাঘাত করে ভোঁ দৌড় দিয়ে ওপরে উঠে যায়। পথে যেই-ই বাধা দিয়েছে তাকেই ছুরি মেরেছে ওই উন্মত্ত ঘাতক। শেষে ৩নং গেটের কাছে কর্তব্যরত নিরস্ত্র আনসার সদস্য সোহাগ আলী তাকে জাপটে ধরতেই তার বুকে সজোরে ছুরি বসিয়ে দেয় সে। তারপর ভেতরে ঢুকতেই পুলিশ ও সাধারণ যাত্রী তাকে ধরে পুলিশে সোপর্দ করে। রবিবার সন্ধ্যায় তার মাত্র পাঁচ মিনিটের তা-বে হতবাক বিমানবন্দরের সব নিরাপত্তা সংস্থা। এয়ারপোর্ট আর্মড পুিলশ জানিয়েছে, হামলায় একজন আনসার নিহত হলেও বিমানবন্দরের যাত্রীদের রক্ষা করাই ছিল তাদের প্রধান লক্ষ্য। কর্তব্যরত নিরাপত্তাকর্মীরা নিজের জীবন বিসর্জন দিয়ে বড় ধরনের হতাহতের ঘটনা প্রতিহত করেছে। তবে এ ঘটনায় বিস্মিত বিমানবন্দরবাসীর একটাই প্রশ্ন, এত নিñিদ্র নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেদ করে কিভাবে একটা যুবক ছুরি দিয়ে একজনকে হত্যা ও তিনজনকে জখম করতে পারল। সোমবার শাহজালাল বিমানবন্দরে গিয়ে দেখা যায়, ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অন্যদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে জানা যায়, বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাতেই আনসার সোহাগ মিয়ার (২৮) মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত কর্মকর্তা ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক ডাঃ আবুল খায়ের মোহাম্মদ শফিউজ্জামান জানিয়েছেন, ছুরিকাঘাতে বুকের বাঁ পাশে বড় গর্তে হয়ে যায়। আর ওই আঘাতেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে দুপুর বারোটার দিকে আনসার কর্তৃপক্ষের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর নিহতের চাচা রমিজ উদ্দিনের কাছে লাশ বুঝিয়ে দেয় আনসার কর্তৃপক্ষ। পরে লাশ নিয়ে তিনি গ্রামে রওনা হন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিহাব এখন অনেকটাই আশঙ্কামুক্ত। আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ জেসমিন নাহার জানান, শিহাব বর্তমানে আশঙ্কামুক্ত। তার মাথার আঘাত ও পায়ে জখম ছিল। সেসব স্থানে সেলাই করা হয়েছে। শিহাবকে কয়েকদিন মেডিক্যালে থাকতে হবে। বর্তমানে শিহাবকে ক্যাজুয়ালিলিটি ব্লকের অধীনে ৩৬ নম্বর কেবিনে পুলিশী পাহারায় ভর্তি রাখা হয়েছে। সোমবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় সোমবার বিমানবন্দর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত কমিটি গঠন হয়েছে একটি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন আনসারের কোম্পানি কমান্ডার আশরাফুল ইসলাম। সোমবার দুপুরে বিমানবন্দর থানায় তিনি এই মামলা করেন। বিমানবন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নূরে আজম মিয়া জানান, তদন্ত কাজ শুরু হয়ে গেছে। এর আগে এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে আমর্ড ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন)। কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এপিবিএন’র অতিরিক্ত ডিআইজি হাসিব আজিজকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগের এক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা জানান- ছুরিকাঘাতে আনসার সদস্য সোহাগকে হত্যাকারী ওই তরুণ কখনও ‘শিহাব’, কখনও আবার ‘ডিজিটাল আকাশ’ বলে পরিচয় দিচ্ছে। তার বাড়ি কোথায়, বাবা-মায়ের নাম কী, এ সব বিষয়ে কিছু বলছে না সে। তবে পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারেছে শিহাব কুষ্টিয়ার মিরপুর থানার পুরশা গ্রামের মান্দার আলীর ছেলে। পেশাগত পরিচয় সম্পর্কে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সে কোন জঙ্গী সংগঠন বা অন্য কোন অপরাধচক্রের সঙ্গে জড়িত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে তাকে মাদকাসক্ত বলে মনে হচ্ছে। জিজ্ঞাসাবাদে সবই জানা যাবে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকাবস্থাতেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার এক কর্মকর্তা জানান, এ ঘটনা পরিকল্পিত। যে কারণে শিহাব বিমানবন্দরে পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব থাকা বেসরকারী সংস্থা একে ট্রেডার্সের ইউনিফর্মের মতোই হলূদ টিশার্ট পরে নিরাপত্তাকর্র্মীদের ধোঁকা দিয়ে ভেতরে ঢুকতে চেয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছে কিভাবে সে ভেতরে এতদূর ছুরি নিয়ে প্রবেশ করতে পারল। আর কি বা ছিল তার মোটিভ। মাদকাসক্ত হলেও সে তো বিশেষ একটি মিশন নিয়েই এভাবে ছুরি মারতে মারতে দোতলা দিয়ে অনেকটা চ্যালেঞ্জ করেই ভেতরে ঢুকতে চেয়েছিল। এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে এ ঘটনায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও বড় ধরনের প্রশ্ন উঠেছে। রবিবার রাতে ঘটনার পর সোমবারও বিমানবন্দর এলাকায় সবার মুখে মুখেই ঘুরেফিরে ঘাতকের পরিচয় সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছে। তাদের সবার প্রশ্ন- কিভাবে এত নিñিদ্র নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেদ করে একা একটা যুব্ক শুধু একটা ছুরি দিয়ে একজনকে হত্যাসহ তিনজনকে জখম করতে পারল। অবিশ্বাস্য কায়দায় তা-ব চালানোর পুরো ঘটনার ভিডিও চিত্রে নিরাপত্তাকর্মীদের সমন্বয়হীনতাই ফুটে উঠেছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ঠিক সন্ধ্যা ছয়টা ৩৪ মিনিটে উত্তর দিকের কার পার্কিংয়ের পাশ দিয়ে দোতলায় ওঠার সময়েই কর্তব্যরত এক এপিবিএন সদস্য বাধা দেয় শিহাবকে। হলুদ বর্ণের টি-শার্ট পরিহিত শিহাব নিজেকে বিমানবন্দরের নিরাপত্তাকর্মী পরিচয় দিলে এপিবিএন সদস্য তার পরিচয়পত্র দেখতে চায়। তখন কোমর থেকে ছুরি বের করে আঘাত করে এক দৌড় সোজা দোতলায় আউটগেটের পাশে পৌঁছে। এখানেও অপর এক এপিবিএন সদস্য তাকে আটকের চেষ্টা করলে তাকে ছুরিকাঘাত করে চার নং গেটের কাছে যায়। ছুরিহাতে তাকে দৌড়াতে দেখে সামনে যে সব নিরাপত্তাকর্মী ছিল তারাও ভয়ে সামনের দিকে নিরাপদ আশ্রয়ে দৌড়াতে থাকে। ৩ নং গেটের কাছাকাছি আসতেই কর্তব্যরত নিরস্ত্র আনসার সোহাগ আলী তাকে জাপটে ধরেন। তখন তার বুক ও ঘাড়ে ছুরিকাঘাত করলে তিনি মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। হামলাকারী শিহাব দৌড় দিয়ে ৩ নং গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। এ সময় ক্রাইসিস রেসপন্স টিমের সদস্যরা তার পা লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি করলে সে পড়ে যায়। এখানেই নিরাপত্তাকর্মীরা উপস্থিত দর্শকদের সহায়তা শিহাবকে আটক করে পরে তাকে ধোলাই দেয়। প্রত্যক্ষদর্শী এক গাড়ি ব্যবসায়ীর ভাষ্যমতে-বিমানবন্দরের নিরাপত্তা নিয়ে এত পদক্ষেপ নেয়ার পরও একজন যুবক একটা ছুরি দিয়েই গোটা এয়ারপোর্টে যে তা-ব চালিয়েছে তাতে নতুন করে নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবার সময় এসেছে। ৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ের রেড লাইন আর লাখ লাখ টাকা বেতনে এভসেক গঠন করা হয়েছে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য । তাদের দায়িত্ব ও ভূমিকাই বা কি ছিল? তিনি বলেন, নিরাপত্তা দেবে দূরের কথা-উল্টো শিহাবের তা-ব দেখে দৌড়ে পালাতে দেখা গেছে এভসেক ও রেডলাইনের সদস্যদের। বড় ধরনের হতাহতের হাত থেকের রক্ষা জন্য এপিবিএন ও আনসার জীবন বাজি কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করে পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। তবে আনসার সদস্য মারা যাওয়ার পর টনক নড়েছে সিভিল এ্যাভিয়েশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর। শাহজালালসহ দেশের সবকটি বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। তারপরও স্বস্তি পাচ্ছে না কেউ। এ ঘটনা নিরাপত্তার ঘাটতি ও নিরাপত্তার্মীদের মধ্যে সমন্বয়হীনতারই প্রমাণ মেলে। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সিভিল এ্যাভিয়েশনের মধ্যে সমন্বয়ের অভাব দেখা দিয়েছে। ব্রিটিশ নিরাপত্তা সংস্থা রেড লাইনের কৌশলও কাজে আসছে না। এ সম্পর্কে এয়ারপোর্ট আর্মড ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাশেদুল ইসলাম রিপন জনকণ্ঠকে বলেন, ছুরিকাঘাত করে এক আনসার সদস্যকে হত্যাসহ আরও দুজনকে আহত করলেও সে কোন যাত্রী বা দর্শকের কোন ক্ষতি করতে পারেনি। এপিবিএন সে বিষয়টাকেই প্রাধান্য দিয়ে দায়িত্ব পালন করেছে। হামলাকারী যুবক নিরাপত্তার প্রথম ধাপ পেরিয়ে যাবার পর থেকেই নিরাপত্তাকর্মীরা তাকে ঘিরে ফেলতে সক্ষম হয়েছে বলেই সে কোন সাধারণ যাত্রীর ক্ষতি করতে পারেনি। এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আনসার সোহাগ আলী হামলাকারীকে কাছে আসতে দেখেই তাকে জাপটে ধরেন। তখনই হামলাকারী তাকে ছুরিকাঘাত করে। এ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জনকণ্ঠকে বলেন, রবিবারের ঘটনাটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এতে বিমানবন্দরের নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই। তারপরও যুবকটি ছুরি নিয়ে কিভাবে ভেতরে ঢুকল তা উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। কেন সে আনসারকে মেরে ফেলেছে সেই কারণও বের করা হবে। ওই যুবকের অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল কিনা তাও আমরা খতিয়ে দেখছি। তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সিভিল এ্যাভিয়েশনের মধ্যে সমন্বয় আছে। শাহজালালসহ সবকটি বিমানবন্দরে আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হচ্ছে। যেসব স্থানে নিরাপত্তার ঘাটতি আছে তা পর্যক্ষেণ করা হচ্ছে। একই কথা বলেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক। তিনি বলেন, শাহজালালের নিরাপত্তার কোন ঘাটতি নেই। সমন্বয় করেই নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। রবিবারের ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা চলছে। নিরাপত্তার বিষয়ে কোন ছাড় দেয়া হচ্ছে না। কিছুতেই দেশের সুনাম নষ্ট হতে দেয়া হবে না। এদিকে সিভিল এ্যাভিয়েশন সূত্র জানায়, এয়ারপোর্ট আর্মড ব্যাটালিয়ন, সবকটি গোয়েন্দা সংস্থা, ব্রিটিশ নিরাপত্তা সংস্থাা রেডলাইন ও সিভিল এ্যাভিয়েশনের মধ্যে নেই কোন সমন্বয়। এক স্স্থংা আরেক সংস্থাকে সহ্য করতে পারে না। সিভিল এ্যাভিয়েশনের কর্মকর্তারা অভিযোগ করেছেন, নিরাপত্তার নামে এপিবিএন বেশি বাড়াবাড়ি করে। তাদের কিছু সদস্য মানব পাচারসহ অন্যান্য অপরাধে জড়িত আছে। আবার এপিবিএন’র এক কর্মকর্তা জানান, সিভিল এ্যাভিয়েশনের লোজনই বেশি অপরাধে জড়ায়। এই কারণে তারা আমাদের সহ্য করতে পারে না। বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের সিনিয়র এএসপি তানজিনা আক্তার ইভা বলেন, বিমানবন্দরের নিরাপত্তায় আর্মড পুলিশ সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছে। সবার সঙ্গে সমন্বয় করেই নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে। পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের এক কর্মকর্তা জানান, বিমানবন্দরের ভেতরে স্পেশাল ব্রাঞ্চের তৎপরতা আগের চেয়ে অনেক বেশি জোরদার করা হয়েছে। বিমানবন্দরের স্ক্যানিং তল্লাশির সক্ষমতা বাড়ানোসহ যাত্রী ও কার্গোর নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার তাই করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য ও অস্ট্রেলিয়াসহ অন্যান্য দেশের স্ক্যানিং টেকনোলজির আলোকে আমরা সেদিকে যাচ্ছি। কিন্তু রবিবারের ঘটনা আমাদের আরও উদ্বেগ বাড়িয়ে তুলেছে। তারপরও আমরা আশা ছেড়ে দিচ্ছি না। নিরাপত্তা আরও জোরদার করতে একটি বিশেষ বাহিনী গঠন করার পরিকল্পনা আছে। বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ১০ হাজার ৬শ ৯৪ জন। এই বাহিনীর পেছনে ব্যয় ধরা হয়েছে মাসে ২১ কোটি ১৭ লাখ এবং বছরে প্রায় ২৫৪ কোটি টাকা। তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার জন্য তিন সেট এক্সপোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম (ইডিএস), ছিট-কম্পিউটেড টমোগ্রাফি, ৮ সেট ডুয়েল ভিউ এক্সরে স্ক্যানিং মেশিন, ১৪ সেট ডুয়েল ভিউ এক্সরে স্ক্যানিং মেশিন ফর কেবিন উইথ ট্রে রিটার্ন সিস্টেম, ৯ সেট আন্ডার ভেহিকল স্ক্যানিং মেশিন, ১৪ সেট এক্সপ্লোসিভ ট্রেস ডিটেক্টর (ইডিটি), ছয় সেট লিকুইড এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশন সিস্টেম ও একটি ডাবল ক্যাব পিকআপ, ইটিভি কনসুমাবেলস ফর এক্সপ্লোসিভ ট্রান্স ডিটেক্টর মেশিন শীঘ্রই দেশের বাইরে থেকে আনা হচ্ছে। তাছাড়া দেশে অন্য বিমানবন্দরগুলোতেও একই ধরনের নিরাপত্তা দেয়া হবে।
×