ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

দিল্লীতে স্কুল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ

বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ছে, প্রধান শিকার ঢাকা গাজীপুর, না’গঞ্জ

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ৮ নভেম্বর ২০১৬

বায়ু দূষণের মাত্রা বাড়ছে, প্রধান শিকার ঢাকা গাজীপুর, না’গঞ্জ

শাহীন রহমান ॥ দেশে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে চলেছে বায়ু দূষণের মাত্রা। এর মাত্রা ক্রমেই অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে মানবস্বাস্থ্যের ওপর। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে শিশু। পরিবেশ অধিদফতরের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে শুষ্ক মৌসুমে বায়ু দূষণ বহুগুণে বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন এ সময় মূলত ক্ষতিকর রাসায়নিক গ্যাস বা পদার্থ বায়ুতে মিশে জীবজগতের স্বাভাবিক বিকাশের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে কার্বন মনোক্সাইড, সালফার ডাইঅক্সাইড, ক্লোরোফ্লোরোকার্বন বায়ু-দূষণের অন্যতম নিয়ামক হিসেবে কাজ করছে। রাজধানী ঢাকা ও আশপাশে বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান উৎস ইটভাঁটি, যানবাহনের জীবাশ্ম জ্বালানি দহন ও শিল্প-কারখানার দূষিত ধোঁয়ার মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শীতকালেই বায়ু দূষণের মাত্রা অনেক বেড়ে যাচ্ছে। পরিবেশ অধিদফতরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান জনকণ্ঠকে বলেন, শীতকালে বায়ুম-লে মিশে থাকা দূষণকারী পদার্থ উপরে উঠতে পারে না। বায়ুম-লের একটি নির্দিষ্ট স্তরে অবস্থান করে ধোঁয়াশার সৃষ্টি করে। ফলে দূষণের মাত্রা অনেকগুণ বেড়ে যায়। ফলে শ্বাসজনিত রোগের প্রকোপ বেশি দেখা যায় এ সময়ে। আর শিশুরা এর শিকার হচ্ছে বেশি। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনসহ নানা কারণে দেশে বায়ু দূষণের ঝুঁকি অনেক বাড়ছে। তিনি উল্লেখ করেন, বায়ু দূষণের সবচেয়ে বেশি শিকার হচ্ছে রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ শহর। যানবাহনের ধোঁয়া ও ইটভাঁটির কারণে ঢাকার বাতাসে প্রতিনিয়ত দূষণের ঝুঁকি বাড়ছে। অপর দিকে গাজীপুরের ইটভাঁটি ও কলকারখানার ধোঁয়া এবং নারায়ণগঞ্জে সিমেন্ট ফ্যাক্টরির কারণে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। বায়ু দূষণের প্রকোপ এতই বেশি যে দিল্লীতে দীপাবলি অনুষ্ঠানের আলোক প্রজ্বলন ও বাজি পোড়ানোর কারণে আকাশ জুড়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে। দূষণ এতই ভয়াবহ হয়ে উঠৈছে যে এর হাত থেকে শিশুদের রক্ষার জন্য দিল্লীর সবগুলো স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বায়ু দূষণ বিশেষ একক পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকি। সম্প্রতি এ সংস্থার পক্ষ থেকে ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হিসেবে বায়ু দূষণকে দায়ী করা হয়েছে। এ বছর আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় বলা হয়েছে বায়ু দূষণের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর ৫৫ লাখের বেশি মানুষ মারা যায়। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির এক বিজ্ঞান উৎসবে ইন্টারন্যাশনাল গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ প্রজেক্টের রিপোর্টের উল্লেখ করা হয়েছে বায়ু দূষণের জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী বিদ্যুত কেন্দ্র, কারখানা, যানবাহন থেকে নির্গত ধোঁয়া। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্ব জুড়ে মানুষের মৃত্যুর ক্ষেত্রে বাযু দূষণ এখন চার নম্বর বড় ঝুঁকি। বায়ু দূষণের কারণে যে ক্ষুদ্রকণা মানুষ শ্বাসের সঙ্গে টেনে নেয় তা হৃদরোগ এবং নানা ধরনের শ্বাসরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে বায়ু দূষণের মৃত্যুর হার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি চীনে। এরপরেই রয়েছে ভারতের অবস্থান। বাংলাদেশেও প্রতিনিয়ত বায়ু দূষণের ঝুঁকি বাড়ছে। তবে পরিবেশ অধিদফতরের জরিপে বলা হয়েছে দেশে বর্তমানে বায়ু দূষণের সীমা সহনীয় মাত্রার চেয়ে অনেক বেশি। তাদের জরিপে বলা হযেছে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম বাদ দিলে বাকি সব সময়ই বায়ু দূষণের সীমা অতিক্রম করছে। বায়ুর মান পরিমাণের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষ থেকে ঢাকাসহ দেশের ১১টি স্থানে দূষণের মান পরীক্ষণ যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে। এই যন্ত্রের সাহায্যে বায়ুর মান পরীক্ষা করে দেখা গেছে ঢাকার বায়ু দূষণ শুষ্ক মৌসুমে বিশেষ করে নবেম্বর থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত অসহনীয় পর্যায়ে চলে যাচ্ছে। এ সময় বায়ু দূষণের অন্যতম উপাদান যেমন পার্টিক্যাল ম্যাটার বা বস্তুকণা-১০ ও বস্তুকণা ২.২৫ বছরের অন্যান্য সময়ের চেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। আর এই দূষণ বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে রাজধানী ও এর আশপাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাঁটি, শহরাঞ্চলের যানবাহনের জীবাশ্ম জ্বালানি। যানবাহনের জ্বালানি দহনের ফলে বস্তুকণা ছাড়াও অক্সাইড অব নাইট্রোজেন, অক্সাইড অব সালফার ও হাইড্রোজেন উৎপন্ন হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুষ্ক মৌসুমে বায়ু দূষণের মূল কারণ হলো ইটভাঁটি চালু হওয়া, বৃষ্টিপাত কম হওয়া। এ ছাড়া বাতাসের গতিবেগ কম থাকার কারণে রাস্তাঘাটে বস্তুকণার উপস্থিতি প্রচুর পরিমাণে লক্ষ্য করা যায়। তারা বলছেন, যানবাহন থেকে নির্গত এসব দূষিত পদার্থ সূর্য রশ্মির সংস্পর্শে ওজোনে পরিবর্তিত হয়। রাজধানী ঢাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য শহরে বায়ু সহনীয় মাত্রার চেয়ে বেশি দূষিত। দেশের প্রধান প্রধান শহর ও নগরগুলোর বায়ু দূষণের অন্যতম উৎস হিসেবে বলা হয়েছে পুরনো বাস, ট্রাক, হিউম্যান হলার। এ ছাড়াও বায়ু দূষণকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে সিমেন্ট, স্টিল ও রিরোলিং, গ্লাস, সিরামিকস, প্লাস্টিক কারখানা। এ ছাড়াও ব্যাটারি রিসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের ক্ষুদ্র শিল্প-কারখানা। যার সবগুলোর ঢাকা ও এর আশপাশে রয়েছে। মূলত এসব ক্ষতিকারক পদার্থ বাতাসে মেশার ফলে বায়ু দূষণ হচ্ছে প্রতিনিয়ত। বায়ু দূষণের ফলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি, পরিবেশ এবং সম্পদও নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে বায়ুম-লের ওজোন স্তর পাতলা হয়ে যায়। এর প্রভাব পড়ছে জলবায়ুর ওপর। বায়ু দূষণের অন্যমত কারণ হিসেবে বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবকে দায়ী করা হয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আমাদের দেশে মূলত পেট্রোল, ডিজেল এবং কাঠসহ নানা ধরনের কার্বন-যুক্ত জ্বালানি আধপোড়া হলে এই রংবিহীন, গন্ধবিহীন গ্যাস তৈরি হয়। সিগারেট পোড়ালেও এই গ্যাস বের হয়। এই গ্যাস আমাদের রক্তে অক্সিজেন গ্রহণের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। এই গ্যাসের প্রতিক্রিয়ায় আমাদের প্রতিবর্ত ক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সব সময় ঝিমোনো ভাব আসে। বিভিন্ন ব্যাপারে সিদ্ধান্তহীনতারও শিকার হতে হয়। তাদের মতে, কার্বন ডাইঅক্সাইড মানুষের নানা কর্মকা-ের ফলে নির্গত প্রধান গ্রিন হাউস গ্যাস। কয়লা, তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস পোড়ানোর ফলে নির্গত হয়। ক্লোরোফ্লুরোকার্বন মূলত রেফ্রিজারেটর ও এয়ারকন্ডিশনিং মেশিন থেকে এই গ্যাস নির্গত হয়। বাতাসে এই গ্যাস নির্গত হওয়ার পরে বায়ুম-লের স্ট্র্যাটেস্ফিয়ারে চলে যায়। সেখানে অন্যান্য ্যাসের সংস্পর্শে আসে। এর ফলে ওজোন স্তর পাতলা হয়ে যায়। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির বিকিরণ থেকে রক্ষা পাওয়ার স্বাভাবিক ক্রিয়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাংলাদেশ সেন্টাল ফর ন্যাশনাল স্টাডিজ এক গবেষণায় বলা হয়েছে দেশে এয়ারকন্ডিশন (এসি) ও রেফ্রিজারেটরে (ফ্রিজ) ব্যবহারে বছরে প্রায় ১শ’ মেট্রিকটন গ্যাস বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে। প্রতিষ্ঠানটির রিসার্স ফেলো ড. মইনুল ইসলাম শরীফ উল্লেখ করেন এই গ্যাস ব্যবহারের ফলে সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল গ্রীনহাউস গ্যাসে পরিণত হচ্ছে। লেড বা সিসা পদার্থটি লেড বা সিসা, পেট্রোল, ডিজেল, হেয়ারডাই, রং প্রভৃতি পণ্যে পাওয়া যায়। সিসা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুদের ক্ষতি করে থাকে। এটির প্রভাবে হজমের প্রক্রিয়া ও স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতি হয়। কয়েকটি ক্ষেত্রে ক্যান্সারও হতে পারে। নাইট্রোজেন অক্সাইড গ্যাসের প্রভাবে ধোঁয়াশা তৈরি হয় এবং এ্যাসিড বৃষ্টি হয়। পেট্রোল, ডিজেল, কয়লার মতো জ্বালানি পোড়ানোর ফলে এই গ্যাস নির্গত হয়। নাইট্রোজেন অক্সাইডের প্রভাবে বাচ্চাদের শীতের সময় সর্দিকাশি হতে পারে। সাসপেনডেড পার্টিকুলার গ্যাস মূলত ধোঁয়া, ধুলো, বাষ্প এবং একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে বাতাসে ভেসে থাকা কঠিন পদার্থের কণা। এটি বায়ু দূষণের অন্যতম প্রধান কারণ। বাতাসে ধোঁয়াশা তৈরির একটা অন্যতম কারণ এসপিএম। এসপিএম বেশি থাকলে দূরের জিনিস দেখার ক্ষেত্রে খুব অসুবিধা হয়। এই ধরনের পদার্থের ক্ষুদ্রতম কণা ফুসফুসে প্রবেশ করে শরীরের এই অন্যতম প্রধান অঙ্গের ক্ষতি করতে পারে। নিঃশ্বাস প্রশ্বাসের ক্ষেত্রে সমস্যসৃষ্টি করে। সালফার ডাইঅক্সাইড মূলত তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রে কয়লা পোড়ানোর ফলে এই গ্যাস নির্গত হয়। অন্যন্য ল্পজাত প্রক্রিয়ার ফলেও এই গ্যাস নির্গত হয় যেমন কাগজ উৎপাদন পদ্ধতিতে, ধাতু গলানোর ক্ষেত্রে। এই গ্যাস ধোঁয়াশা সৃষ্টির একটি প্রধান কারণ। সালফার ডাইঅক্সাইডের প্রভাবে ফুসফুসের নানা ধরনের জটিল রোগ হয়। সম্প্রতি জাতিসংঘের শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) এর এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বিশ্বে প্রতিবছর বায়ু দূষণের কারণে পাঁচ বছর বয়সী ছয় লাখ শিশুর মৃত্যু ঘটে। ‘ক্লিয়ার দ্য এয়ার ফর চিলড্রেন’ শীর্ষক ওই গবেষণায় দেখা গেছে বিশ্বের ৩০ কোটি শিশু এমন এলাকায় বাস করছে, যেখানকার বায়ু অত্যধিক দূষিত। এসব এলাকার বায়ু বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিত নিরাপদ সীমার ছয়গুণ বেশি দূষিত। ডব্লিউএইচও নির্ধারিত সীমার ছয় গুণ বেশি মাত্রায় দূষিত এলাকায় যে ৩০ কোটি শিশু বাস করছে তার মধ্যে ২২ কোটির বাস দক্ষিণ এশিয়ায়। বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের সংখ্যা ভারতেই বেশি। আর সাত কোটি শিশু বাস করে পূর্ব এশিয়ায়, বিশেষত চীনে। গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বের ৯০ শতাংশ (২০০ কোটি) শিশু বাস করে এমন জায়গায়, যেখানে বাইরের বায়ু দূষণের মাত্রা বেশি। যানবাহনের দূষণ, জীবাশ্ম জ্বালানির অতিরিক্ত ব্যবহার, ধুলা এবং বর্জ্য পোড়ানোর ফলে সৃষ্ট ধোঁয়া বাইরের দূষণের মূল কারণ। দক্ষিণ এশিয়ার ৬২ কোটি শিশু এমন পরিবেশে বাস করে। বিশ্বের অন্য অঞ্চলগুলোর তুলনায় দক্ষিণ এশিয়ায় বাইরের বায়ু দূষণের হার অনেক বেশি। ইউনিসেফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বায়ু দূষণের কারণে শিশুরা বিশেষভাবে ঝুঁকিতে রয়েছে। কারণ, তারা প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিদের তুলনায় দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়। এ ছাড়া শিশুদের ফুসফুসের কোষের স্তর দূষিত কণায় অনেক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পাশাপাশি ক্ষুদ্র দূষিত কণা মস্তিষ্কের রক্ত প্রবাহের ঝিল্লি ভেদ করে। এতে শিশুর বুদ্ধির বিকাশে স্থায়ী ক্ষতি সাধিত হয়। এমনকি দূষিত বায়ুতে শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ভ্রƒণও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে বায়ু দূষণকে বিশ্বের একক বড় পরিবেশগত স্বাস্থ্যঝুঁকি বলে বর্ণনা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী আব্দুস সোবহান আর উল্লেখ করেন বায়ু দূষণের হাত থেকে রক্ষা পেতে হলে ঢাকা আশপাশের ইটভাঁটিগুলো উন্নত প্রযুক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। সরকার ২০১৪ সাল থেকে উন্নত প্রযুক্তি ইটভাটি রূপান্তরের সময়সীমা বেঁধে দিলেও তা আজও কার্যকরী হয়নি। যেগুলো কার্যকরী হয়েছে সেখানে অত্যন্ত নিম্নমানে কয়লা পড়ানো হচ্ছে। নিম্নমানে কয়লা বায়ু দূষণের হার বাড়িয়ে দিচ্ছে। এটি রোধ করা অবশ্যই প্রয়োজন। এছাড়া তিনি উল্লেখ করেন প্রতিনিয়ত যানবাহনে নির্গত কালো ধোঁয়া রোধ করা সম্ভব। এটি শুধু সচ্ছিদা ও সরকারের নজরদারিই যথেষ্ট। এছাড়া তিনি বলেন, পরিবেশবান্ধব জ্বালানির ব্যবহারের দিকে নজর দিলে বায়ু দূষণের হাত থেকে শিশুসহ সাধারণ মানুষকে মুক্তি দেয়া সম্ভব হবে। তিনি বলেন, দূষণের মাত্রা শিশুদের মধ্যে বেশি ক্রিয়া করে। ফলে দেখা যায় প্রাপ্ত বয়স্কদের চেয়ে শিশুরাই বেশি আক্রান্ত হয়ে পড়ে।
×