ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

তালিকাভুক্ত ৫ হাজার

রাজধানীর আবাসিক এলাকা থেকে মাত্র ৭২ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ৮ নভেম্বর ২০১৬

রাজধানীর আবাসিক এলাকা থেকে মাত্র ৭২ অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ

মশিউর রহমান খান ॥ রাজধানীর আবাসিক এলাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বেঁধে দেয়া ৬ মাস সময়েও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতে পারেনি রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। অপরদিকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবৈধ কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মালিকদের তাদের স্থাপনা অন্যত্র সরিয়ে নিতে দেখা যায়নি। আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে সরকারের দেয়া ঘোষণা অনুযায়ী বেঁধে দেয়া সময়ের পর সকল অবৈধ প্রতিষ্ঠানের সেবা সংযোগ যেমন বিদ্যুত, গ্যাস, পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়ার পাশপাশি ব্যবসা পরিচালনাকারী তালিকাভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের বৈধ অনুমোদন হিসেবে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করার কথা থাকলেও আজও তার বাস্তবায়ন দেখা যায়নি। সিটি কর্পোরেশন ও জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষও এ বিষয়ে তেমন কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন তাদের পক্ষ থেকে অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতে কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠানের মালিকদের কাছে চিঠি দিলেও নিদিষ্ট সময় শেষে সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আর কোন ভূমিকাই তারা পালন করছেন না। এর ফলে আবাসিক এলাকাকে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানমুক্ত করতে সরকারের নেয়া মহৎ উদ্যোগ আদৌ বাস্তবায়ন করা সম্ভব কি না তা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। গত ৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর সকল আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনা সরিয়ে আবাসিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে কঠোর নির্দেশ দেন। এ সময় আবাসিক এলাকায় স্থাপিত সকল প্রকার অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা সরাতে প্রয়োজনীয় সবধরণের ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেনের নির্দেশে মাঠে নামে রাজউক। গত ৪ নবেম্বর প্রধানমন্ত্রীর বেঁধে দেয়া সময়সীমা শেষ হয়। কিন্তু নির্দেশের ৬ মাস পরেও তালিকাভুক্ত প্রায় ৫ হাজার অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনার মধ্যে মাত্র ৭২টি স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে রাজউক। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রাজউকের মতে, সময়মতো ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ না পাওয়া, অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা নির্মাণকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় নিজ উদ্যোগে কোন প্রতিষ্ঠান না সরানোসহ বিভিন্ন কারণে তারা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হচ্ছেন না। তবে আবাসিক এলাকায় তৈরিকৃত তালিকাভুক্ত সকল বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। রাজউক ঘোষিত সকল আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক স্থাপনা সরিয়ে পরিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় ফিরিয়ে আনার বছরব্যাপী মোবাইল কোর্ট অভিযান চালিয়ে এসব স্থাপনা উচ্ছেদ করে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাজধানীর আবাসিক এলাকায় থাকা প্রায় ৭ হাজার বাণিজ্যিক স্থাপনার মধ্যে ৭২টির মতো স্থাপনা অপসারণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানা গেছে। অভিযানকালে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন জনকণ্ঠকে বলেন, আবাসিক এলকায় গড়ে তোলা অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা সরাতে যতটুকু কঠোর হওয়া প্রয়োজন তাই করা করা হবে। সমাজের কোন প্রভাবশালীর অবৈধ স্থাপনাই এর হাত থেকে রক্ষা পাবেন না। এমনকি আবাসিক এলাকায় তার নিজেরও কোন প্রকার বাণিজ্যিক স্থাপনা থাকলে তাও ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে। রাজউকের হিসাব মতে, তাদের আটটি জোনে ২ দফায় তৈরি অবৈধ স্থাপনার সংখ্যা প্রায় ৫ হাজার। চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত রাজউক কর্তৃক পরিচালিত অভিযান সম্পর্কিত এক রিপোর্ট পর্যালোচনা করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এতে সংস্থাটি গত ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত সংস্থাটি মাত্র ৬৭টি অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা সরাতে সক্ষম হয়েছে। গত কয়েকদিনে এর সাথে আরও কয়েকটি স্থাপনা যোগ হয়েছে মাত্র। জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল সচিবালয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম মন্ত্রিসভা বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের বিভিন্ন সুপারিশ উপস্থাপন করা হয়। এর মধ্যে রাজধানীর আবাসিক এলাকা থেকে সব ধরনের অবৈধ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনা ৬ মাসের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী গত ৪ নবেম্বর শুক্রবার শেষ হয় মন্ত্রিসভার বেঁধে দেয়া ৬ মাস সময়। কিন্তু এর মধ্যে আবাসিক এলাকার কোনা বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নিজ থেকে সরে যায়নি। বরং মন্ত্রিসভার এমন সিদ্ধান্তের পর রাজধানীর হোটেল মালিক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন সংবাদ সম্মেলন, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানায়। সর্বশেষ তথ্যমতে, অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান সরাতে বিভিন্ন সময় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় রাজউকের ভ্রাম্যমাণ আদালতকে স্থানীয় জনসাধারণ সর্বোচ্চ সহায়তা করতে দেখা গেছে। উল্লেখ্য, গত ৪ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, ৬ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানগুলো সরে না গেলে তাদের গ্যাস-বিদ্যুত ও পানির লাইন কেটে দেয়া হবে, ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হবে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে কোন কর ও মূসক নেয়া হবে না। সুপারিশ অনুযায়ী বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেয়ার তারিখ (৪ এপ্রিল) থেকে ছয় মাস পর সম্মিলিতভাবে (সিটি করপোরেশন, রাজউক, গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ ও অন্যান্য) উচ্ছেদের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সকল অননুমোদিত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে সিটি করপোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স বাতিল ও ইউটিলিটি সেবা বন্ধ করে দেয়া হবে। এরপর গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলায় ১৭ বিদেশীসহ অন্তত ২২ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভার বৈঠকে এসব এলাকায় অননুমোদিত এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে রাজউকের দাবি, তাদের জোন ৪ এর অধীনে গুলশান-বারিধারা এলাকার ৫শ’ ৫২টি ভবনের প্রথমিক তালিকা তৈরি করে, যার মধ্যে ২৫টি ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে। রাজউকের একটি সূত্র জানায় অভিযানে এসব এলাকার ২৩৪টি র‌্যাম্প, ৯২টি পার্কিং স্পেসে উদ্ধার করে তারা। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে প্রাথমিকভাবে উচ্ছেদের জন্য ১ হাজার ৬৫২টি আবাসিক ভবনের তালিকা তৈরি করে রাজউক। পরবর্তীতে বাড়িয়ে প্রায় ৩ হাজার ৩শ’ ভবনের তালিকা তৈরি করে সংস্থাটি। কিন্তু অপর একটি সূত্র জানায়, রাজধানীতে আবাসিক এলাকার বাণিজ্যিক স্থাপনার সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার। রাজউকের নকশা অনুযায়ী, রাজধানীর দুই সিটি কর্পোরেশনের ৩ লাখ ২০ হাজার হোল্ডিংয়ের মধ্যে প্রায় পৌনে ৩ লাখই আবাসিক ভবন। এর মধ্যে অনুমোদিত ৫৪ হাজার আবাসিক ভবন ও ৭ হাজার সরকারী প্লটে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। বর্তমানে রাজধানীর বনানী, গুলশান, বারিধারা, উত্তরা, ধানম-ি, মিরপুর ও মোহাম্মদপুর এলাকায় রাজউক এবং পূর্ত বিভাগের দেয়া আবাসিক প্লট রয়েছে। এসব আবাসিক এলাকার বেশকিছু ভবনে চলছে বাণিজ্যিক কার্যক্রম। এর মধ্যে বনানীতে ৩৯৯, গুলশানে ৯০৪, উত্তরায় ১ হাজার ৪৯, মিরপুরে ১ হাজার ৮৩৬, মোহাম্মদপুরে ১ হাজার ৫৫২ ও ধানম-িতে ১ হাজার ১৭০টি আবাসিক ভবনসহ মোট ৬ হাজার ৯১০টি ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে। এছাড়া বারিধারার কয়েকটি ভবনেও বাণিজ্যিক কার্যক্রম চলছে বলে রাজউক সূত্রে জানা গেছে। বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে দেখা যায়, রাজউকের জোন ৪-এর অধীনে গুলশান বারিধারা এলাকার ৫শ’ ৫২টি ভবনের প্রাথমিক তালিকা তালিকা করে রাজউক, যার মধ্যে ২৫টি ভবনে বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করেছে রাজউক। একই ভাবে জোন ৫-এর অধীনে ধানম-ি লালবাগ এলাকায় ১শ’ ৭৩টির মধ্যে এলাকায় ১৪টি, জোন ২-এর অধীনে উত্তরা এলাকায় ২শ’ ১৫টি ১৬টি এবং জোন ৬-এর অধীনে বনশ্রী এলাকায় ১২টি আবাসিক ভবনে অবৈধ বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ করে রাজউক। রাজউকের একটি সূত্র জানায়, তালিকায় থাকা ভবনের নাম কোনক্রমেই প্রকাশ করতে রাজি নয় রাজউক। অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, বিভিন্ন সময় উচ্ছেদ অভিযানের জন্য যেসব তালিকা করা হয় সেই তালিকায় প্রতিষ্ঠান মালিকরা জানতে পারলে অভিযানের আগেই রাজউকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীর সাথে যোগসাজোশে তালিকা থেকে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে নাম থাকলেও এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোন প্রকার এ্যাকশানে যেতে রাজি হয় না। ফলে অভিযানের মূল উদ্দেশ্য মারাত্মকভাবে ব্যহত হয়। তবে, অভিযানের আগে পরে কোন প্রকার তদবির বা অর্থের লেনদেন হয় এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করেন রাজউকের কর্মকর্তা কর্মচারীরা। রাজাউক কর্মকর্তারা জানান, আবাসিক এলাকার কোন প্লটের বেজমেন্ট বা ভূ-তলের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা বন্ধ রেখে তা বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহার করলে সেগুলো উচ্ছেদ করার পাশাপাশি স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, রেস্তরাঁ, হোটেল, বেসরকারী অফিস, মার্কেটসহ স্থায়ী ও অস্থায়ী স্থাপনার তালিকা তৈরি করা রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান দেশের অর্থনৈতিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট, মানুষের সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান হওয়ায় উচ্ছেদ করা খুব সহজ কাজ না। এছাড়া এসব অবৈধ স্থাপনার মালিকরা সবাই প্রভাবশালী। তাই একটু সময় নিয়ে উচ্ছেদ করতে হচ্ছে বলে জানান একাধিক কর্মকর্তা। সরেজমিনে দেখা গেছে, এসব স্থাপনাগুলোর মধ্যে বেশিরভাগই রাজউক থেকে আবাসিক স্থাপনার অনুমতি নিয়ে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন থেকে ব্যবসার জন্য নামমাত্র একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এসব প্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশনে দেয়া এসব স্থাপনার ঠিকানা রাজউক নির্ধারিত কমার্শিয়াল এলাকায় দেয়া হলেও অনুমতি না নিয়েই সম্পূর্ণ আবাসিক এলাকায় বাড়িভাড়া করে এসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে। যদিও দুই সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষের দাবি, দীর্ঘদিন যাবত আবাসিক এলাকায় কমার্শিয়াল প্রতিষ্ঠান স্থাপন বন্ধ করতে এসব এলাকায় কোন ট্রড লাইসেন্স দেয়া হয় না। উল্লেখ্য, মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্তের পর গত ১ জুলাই রাজধানীর গুলশানের হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার পর ঢাকার বিভিন্ন আবাসিক এলাকার অবৈধ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এর প্রেক্ষিতে ২০ জুলাই সারাদেশের আবাসিক এলাকার ১২ হাজার ৯৫৭টি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে নোটিস দেয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, আবাসিক এলাকায় থাকা সকল অবৈধ বাণিজ্যিক স্থাপনা সরাতে রাজউকের নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে। মন্ত্রিসভার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এরই অংশ হিসেবে আমরা রবিবারও ভ্রাম্যমাণ আদালত দিয়ে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছি। এটি আমাদের নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চলমান রয়েছে। অভিযানে বাণিজ্যিক অবৈধ ভবন সিলগালাসহ বিদ্যুত, পানি, গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করাসহ লাখ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। তবে অভিযান পরিচালনার সময় সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে সাথে নিয়ে আমরা উচ্ছেদ কার্যক্রম পরিচালনা করি বিধায় মাঝে মাঝে পুলিশসহ কয়েকটি সংস্থার সমস্যা থাকায় উচ্ছেদ কার্যক্রমের জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে কার্যক্রম বাস্তবায়নে কিছুটা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তালিকাভুক্ত সকল অবৈধ স্থাপনাই আমরা উচ্ছেদ করব তবে এজন্য একটু সময় লাগবে। এ বিষয়ে আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যহত রয়েছে। সরকারের দেয়া নির্দিষ্ট সময় ৬ মাস পেরিয়ে গেছে বাস্তবায়নের হার এত কম কেন ও এ বিষয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনা কি এ প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে খুব শীঘ্রই বিষয়টির দ্রুত সমাধানে আমাদেরসহ সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাকে নিয়ে ভবিষ্যত করণীয় সম্পর্কে একটি বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। মূলত বাণিজ্যিক স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই এ বিষয়ে বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।
×