ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

গোলবন্যার জয়ে শীর্ষে চেলসি

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৭ নভেম্বর ২০১৬

গোলবন্যার জয়ে শীর্ষে চেলসি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ শিরোপা পুনরুদ্ধারের মিশনে দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলেছে চেলসি। নতুন কোচ এ্যান্টোনিও কন্টের অধীনে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলে শীর্ষে উঠে এসেছে দ্য ব্লুজরা। শনিবার রাতে নিজেদের মাঠ লন্ডনের স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চেলসি ৫-০ গোলে হারিয়েছে এভারটনকে। ব্লুজরা জয় পেলেও বেহাল দশা অব্যাহত ম্যানচেস্টার সিটির। এবার ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে নীচের সারির দল মিডলসবরোর সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে পেপ গার্ডিওলার দল। পয়েন্ট তালিকার এক নম্বরে ওঠার সুযোগ হারিয়েছে আর্সেনাল। রবিবার সন্ধ্যায় নিজেদের মাঠ ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে টটেনহ্যাম হটস্পারের বিরুদ্ধে জিততে পারলেই শীর্ষে উঠে যেতে গানার্সরা। কিন্তু টটেনহ্যামের সঙ্গে কোনরকমে ১-১ গোলে ড্র করে আর্সেনাল। ৪২ মিনিটে উইমারের আত্মঘাতি গোলে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। বিরতির পর ৫১ মিনিটে হ্যারি কানের পেনাল্টি গোলে সমতা ফেরায় অতিথি টটেনহ্যাম। বর্তমানে ১১ টি করে ম্যাচ শেষে শীর্ষে ওঠা চেলসির পয়েন্ট ২৫। সমান ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে ম্যানসিটি। সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে আর্সেনাল। ২৩ পয়েন্ট নিয়ে চার নম্বরে লিভারপুল। স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে শুরু থেকেই অতিথি এভারটনের ওপর চড়াও হয়ে খেলতে থাকে স্বাগতিক চেলসি। ৭০ সেকেন্ডের ব্যবধানে দুই গোল পায় তারা। ১৯ মিনিটে দিয়াগো কোস্টার পাস থেকে গোল করেন বেলজিয়ামের ইডেন হ্যাজার্ড। পরের মিনিটের গোলেও অবদান রাখেন দিনি। হ্যাজার্ডের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোস্টা বল বাড়ান ডি বক্সে। সেখান থেকে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মার্কোস এ্যালোনসো। ৩৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট হয়। এ্যালোনসোর ক্রসে নাইজিরিয়ার মিডফিল্ডার ভিক্টর মোজেজের ভলি পোস্টে লেগে প্রতিহত হয়। ৪২ মিনিটে তিন নম্বর গোল পায় স্বাগতিকরা। কর্নার থেকে আসা বলে হেড করে পিছনে পাঠান নেমানিয়া মাটিচ। ফাঁকায় দাঁড়ানো কোস্টা সহজেই লক্ষ্যভেদ করেন। চলতি মৌসুমে ১১ ম্যাচে কোস্টার এটা নবম গোল। আর লীগে সর্বোচ্চ আটটি। বিরতির পর ৫৬ মিনিটে দারুণ এক গোলে ব্যবধান আরও বাড়িয়ে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন হ্যাজার্ড। ৬৫ মিনিটে গোলের মিছিলে নাম লেখান সাবেক বার্সিলোনা ফরোয়ার্ড পেড্রো। ম্যাচ শেষে দলের পারফর্মেন্সে সন্তোষ প্রকাশ করেন চেলসি কোচ এ্যান্টোনিও কন্টে। সংবাদ সম্মেলনে ইতালির সাবেক কোচ বলেন, এই জয় প্রমাণ করে সুন্দর ফুটবল খেলেও জয় ছিনিয়ে আনা যায়। আমার দলের খেলোয়াড়রা সবাই প্রতিভাবান। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হলো, এই খেলোয়াড়দের এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করে দিতে হবে, যেখানে তারা নিজেদের প্রতিভার সর্বোচ্চ ব্যবহারটা করতে পারে। কন্টে বলেন, মাঠের পরিবেশ ছিল দুর্দান্ত। সমর্থকরা খেলোয়াড়দের জন্য দারুণ একটি পরিবেশ তৈরি করে দিয়েছিলেন। আমাদের সবারই একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে। খেলোয়াড়, ক্লাবকর্তা, সমর্থক সবাইকে। ধাপে ধাপে আরও উন্নতি করতে হবে। আমরা উন্নতি করতে পারি। আমরা অবশ্যই উন্নতি করতে পারি। জোড়া গোলদাতা হ্যাজার্ডের পারফর্মেন্সেও দারুণ খুশি কন্টে। বলেন, হ্যাজার্ড দুর্দান্ত ফুটবল খেলছে। সে তার প্রতিভার প্রমাণ রাখছে। এভারটনের কোচ রোনাল্ড কোম্যানেরও মুগ্ধতা ছিল চেলসির কৌশল নিয়ে। কন্টের প্রশংসা করে ?সাবেক এই ডাচ তারকা বলেন, আমি এর আগে কখনই এই কৌশলে কাউকে এত ভালা খেলত দেখিনি। চেলসি যে কৌশলে খেলেছে, সে কৌশলের কোন দলের বিরুদ্ধে খেলাটা সত্যিই অনেক কঠিন। মিডলসবরোর বিরুদ্ধে জয়ের সন্নিকটে যেয়েও হতাশ হতে হয় ম্যানসিটিকে। ৪৩ মিনিটে সার্জিও এ্যাগুয়েরোর গোলেই জয়ের দিকে এগুচ্ছিল পেপ গার্ডিওলার দল। এই গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল দলটি। কিন্তু ম্যাচের শেষ মুহূর্তে (৯১ মিনিট) ডাচ মিডফিল্ডার ডি রুন গোল করে মিডলসবরোকে মূল্যবান এক পয়েন্ট পাইয়ে দেন। শেষ মুহূর্তে জয় হাতছাড়া হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেন সিটি কোচ গার্ডিওলা। দল জয় না পেলেও ম্যাচে এক গোল করে সিটির জার্সিতে ১৫০ গোলের মাইফলক স্পর্শ করেছেন এ্যাগুয়েরো। এর মধ্য দিয়ে সিটির সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার আরও কাছে পৌঁছে গেছেন আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকার। বর্তমানে ম্যানসিটির ক্লাব ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে এ্যাগুয়েরো। শীর্ষে থাকা ক্লাবের প্রয়াত ইংলিশ কিংবদন্তি এরিক বরুকের ১৭৭ গোলের রেকর্ড থেকে আর মাত্র ২৭ গোল দূরে এ্যাগুয়েরো।
×