ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জাতীয় দলে ফিরতে বিপিএলে ভাল খেলার জন্য তৈরি এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান

সুযোগের অপেক্ষায় বিজয়

প্রকাশিত: ০৬:৩৭, ৭ নভেম্বর ২০১৬

সুযোগের অপেক্ষায় বিজয়

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ (বিপিএল) টি২০ আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে খেলেছিলেন সে সময় মাত্র ১৯ বছর বয়সী তরুণ এনামুল হক বিজয়। তখন যুব দলের হয়ে সবেমাত্র শেষ করেছেন দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখান এ ওপেনার। ২০১২ সালের সেই বিপিএল আসরে দলের হয়ে শিরোপা জয়ের স্বাদ নিয়েছিলেন। ১২ ম্যাচে ২৫.৭৬ গড়ে ১৭৬ রানও করেছিলেন। এরপরই নজরে আসেন নির্বাচকদের। সে বছরই নবেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে ওয়ানডে অভিষেক হয় তার। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ম্যাচেই ১২০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে বিজয়ী করেন। নিয়মিত সদস্যই ছিলেন, কিন্তু দুর্ভাগ্য বয়ে আনলো গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ইনজুরি নিয়ে মাঝপথে দেশে ফেরেন। সেসব পেছনে ফেলে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে এসেও রানের মধ্যেই আছেন। কিন্তু জাতীয় দলে ফেরা হয়নি। এমনকি ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরের প্রাথমিক দলেও এবার ঠাঁই হয়নি। এবার বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের হয়ে খেলবেন তিনি। বিজয় জানালেন ভাল খেলে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ তিনি। দাবি করেন ভাল খেলে যেতে পারলে অবশ্যই সুযোগ সবসময় আসবে। তাই চেষ্টা করে যেতে চান বলেই জানালেন রবিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামের একাডেমিতে অনুশীলন শেষে। ইনজুরিতে পড়ার পর বিসিবির যে তত্ত্বাবধান ছিল সেটাতে দারুণ সন্তোষ প্রকাশ করেন বিজয়। তিনি নিজেও চেষ্টা করেছেন নিয়মিত রানিং, জিম করে ফিটনেসের পর্যায়টা সঠিক অবস্থানে নিয়ে আসার। বিসিবির সহযোহিতা ছিল সবসসময়। দ্রুতই প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেটে ফিরে বেশ রানের মধ্যেই ছিলেন। ক্যারিয়ারের শুরুতে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা বিজয় ইনজুরির কারণে সেই যে বাদ পড়েছেন এরপর নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেটে রান করে গেলেও জাতীয় দলে ফেরা হয়নি। নিজের চেষ্টা এরপরও থামিয়ে রাখেননি। বিজয় বলেন, ‘প্রিমিয়ার লীগের পরেই তিনমাস আলাদাভাবে কোচের অধীনে কাজ করেছি। ব্যাটিংয়ে তো অবশ্যই কিছু পরিবর্তন এসেছে। অবশ্যই উন্নতির দিকে যাচ্ছি। অবশ্যই সবসময় সচেষ্ট থাকব নিজেকে সুস্থ রাখার, যে ইনজুরি থেকে ফিরেছি সেটা যেন আবার না হয় সেজন্যও সতর্ক আছি। আলাদা জিম করছি, রানিং চলছেÑ ফিটনেস লেভেলটা ঠিক রাখার চেষ্টা করছি।’ ৩০ ওয়ানডে খেলে ৩৫.১৮ গড়ে ৩ সেঞ্চুরি ও ৩ হাফসেঞ্চুরিসহ ৯৫০ রান করেছেন বিজয়। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটেও নিয়মিত ভাল খেলে যাচ্ছেন। কিন্তু ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফরের প্রাথমিক দলেও জায়গা হয়নি এ ডানহাতি টপঅর্ডার ব্যাটসম্যানের। এ বিষয়ে বিজয় বলেন, ‘আশাকরি যে বিপিএলে ওই ধারাবাহিকতাটা রাখার চেষ্টা করব। বিপিএলটা অবশ্যই বড় একটা মঞ্চ। আমার এই মঞ্চ থেকেই জাতীয় দলে উঠে আসা। সবসময় মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি বিপিএলটা আমার জন্যই বেশ সৌভাগ্যের কিছু একটা।’ বিজয় ফিরতে চাইলেও জাতীয় দলের প্রাথমিক স্কোয়াডে নাম নেই তার। কিন্তু এটা নিয়ে তেমন মাথা ঘামাচ্ছেন না কুষ্টিয়ার এ ক্রিকেটার। তিনি বলেন, ‘আগেও অনেক ভাল খেলেছি এবং ভাল খেলে যাচ্ছি। জাতীয় দল থেকে যখন ইনজুরির কারণে বাদ পড়লাম তারপরও দুই/তিনটা টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ কিংবা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান করেছি। প্রিমিয়ার লীগেও বেশ ভাল গেছে। বিপিএলটা ভাল যায়নি সত্যি কথা বলতে। কিন্তু সার্বিকভাবে প্র্যাকটিস ম্যাচগুলো বেশ ভাল খেলেছি। সবসময়ই আশাবাদী জাতীয় দলের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে মাঠে নামব। জাতীয় দলের সাদা ড্রেসটা পরে গ্রীন ক্যাপে মাঠে নামব সবসময়ই আশাবাদী। এবার প্রাথমিক দলে নেই। শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করছি। সবারই তো জাতীয় দলই মূল লক্ষ্য থাকে, আমার লক্ষ্যটাও আছে জাতীয় দলে ফিরে আসার। দেশের হয়ে খেলা, দেশের জন্য খেলার। এই জিনিসগুলো সবসময় মাথায় আছে। বিপিএল দিয়ে চেষ্টা করব আবার জাতীয় দলে ফেরার। সুযোগতো সবসসময় আসতেই থাকবে আশাকরি। কারণ ভাল খেলছি, ভাল খেলার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করে রেখেছি নিজেকে। অবশ্যই চেষ্টা করব এখানে ভাল খেলে আবার জাতীয় দলে ফিরে আসার। ভাল খেলতে থাকি, জাতীয় দলে যদি সুযোগ আসে তাহলে যেন সেটার জন্য প্রস্তুত থাকি।’
×